ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার ধর্ষণের মামলা ৯০ দিনে শেষ করতে আইন হচ্ছে : উপদেষ্টা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হলেন কাজল বদরখালীতে মহেশখালী পারাপারের গাড়ি যখন ইচ্ছে আটকে দিচ্ছে কতিপয় লোকজন কন্যা শিশুদের সাথে লেডিস ক্লাব, কক্সবাজারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উখিয়ায় পরিত্যক্ত ব্যাগে মিললো ৫০ হাজার ইয়াবা
মতামত

কক্সবাজারকে নিরাপদ রাখা কেনো জরুরী?

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 473

এটি খুবই উদ্বেগের বিষয় যে বিভিন্ন ঘটনার কারণে, তাকে আমরা যতই বিচ্ছিন্ন বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলি না কেন, দিন দিন কক্সবাজার পর্যটন শহরের নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের মনে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।

অনেকে মনে করছে কক্সবাজারে দিনদিন বাড়ছে ছিনতাই, খুন, চাঁদাবাজী, অপহরণ, মাদক ব্যবসা, মানব পাচার, পর্যটক হয়রানি ইত্যাদি। অবনতি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অনিরাপদ হয়ে উঠছে কক্সবাজার শহর বিভিন্ন দিক দিয়ে। নিশ্চয় এটি অস্বীকার করবে না কেউ।

যেখানে কক্সবাজার, বাংলাদেশের অনন্য পর্যটন শহর হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা সেখানে কক্সবাজারের বিভিন্ন ঘটনা দিন দিন ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের মনে।

কক্সবাজারকে দেশের শ্রেষ্ঠতম পর্যটন শহর হিসাবে গড়ে তোলা এবং পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করার প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে সকলের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আগে নিরাপত্তা পরে পর্যটন। কক্সবাজারকে চারিদিক দিয়ে নিরাপদ শহর হিসাবে নিশ্চিত করতে পারলেই এখানে বিকশিত হবে পর্যটন শিল্প আর অগ্রসর হতে থাকবে কক্সবাজারের পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি।

কক্সবাজারকে ২৪ ঘণ্টার শহর হিসাবে গড়ে তোলতে হবে আর কক্সবাজারের প্রতিটি স্পটকে যেন পর্যটকরা নিজের বাড়ির আঙ্গিনার মতো মনে করতে পারে সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা কি পারি না, কক্সবাজারকে বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ ও সুন্দর শহর হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে! আমরা যদি কক্সবাজার শহরকে নিরাপদ শহর হিসাবে নিশ্চিত করতে পারি, এর প্রভাবে নিরাপদ হয়ে উঠবে কক্সবাজার জেলার প্রতিটি জনপদ।

মানুষকে যদি প্রশ্ন করা হয়, দেশের সবচেয়ে নিরাপদ ও সুন্দর শহর কোনটি? সকলের মুখে যেন একই উত্তর উচ্চারিত হয় – কক্সবাজার।

আমরা সবাই জানি কক্সবাজার বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলা। অস্থিতিশীল রাষ্ট্র মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধ। তার উপর মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের এখানে আশ্রয় নেওয়ার কারণে কক্সবাজারের বিভিন্ন দিক থেকে বিরাজ করছে এক ভঙ্গুর ও সংকটময় পরিস্থিতি। এ অবস্থায় বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা শহরের তুলনায় কক্সবাজার আলাদা ও বিশেষ শহর।

তার উপর কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী পর্যটকপ্রিয় শহর। কক্সবাজারের অবস্থান যখন এই, তখন কক্সবাজারের প্রশাসন ব্যবস্থা, পুলিশি ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, ট্রাফিক ব্যবস্থা ইত্যাদি হওয়া উচিৎ ছিল বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা শহরের চেয়ে আরো উচ্চ, উন্নত ও শক্তিশালী।

কিন্তু এ পর্যন্ত তা হয়ে উঠেনি। অতএব, কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে সেরকম যে কোন ছোট ঘটনাও কক্সবাজারকে বড় সংকটের মুখে ফেলে দিতে পারে।

অপেক্ষার আর সময় নাই। কক্সবাজার নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে, পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, পদক্ষেপ নিতে হবে।

নীলোৎপল বড়ুয়া

লেখক-শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী কক্সবাজার।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম!

This will close in 6 seconds

মতামত

কক্সবাজারকে নিরাপদ রাখা কেনো জরুরী?

আপডেট সময় : ০৭:৪০:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

এটি খুবই উদ্বেগের বিষয় যে বিভিন্ন ঘটনার কারণে, তাকে আমরা যতই বিচ্ছিন্ন বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলি না কেন, দিন দিন কক্সবাজার পর্যটন শহরের নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের মনে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।

অনেকে মনে করছে কক্সবাজারে দিনদিন বাড়ছে ছিনতাই, খুন, চাঁদাবাজী, অপহরণ, মাদক ব্যবসা, মানব পাচার, পর্যটক হয়রানি ইত্যাদি। অবনতি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অনিরাপদ হয়ে উঠছে কক্সবাজার শহর বিভিন্ন দিক দিয়ে। নিশ্চয় এটি অস্বীকার করবে না কেউ।

যেখানে কক্সবাজার, বাংলাদেশের অনন্য পর্যটন শহর হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা সেখানে কক্সবাজারের বিভিন্ন ঘটনা দিন দিন ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের মনে।

কক্সবাজারকে দেশের শ্রেষ্ঠতম পর্যটন শহর হিসাবে গড়ে তোলা এবং পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করার প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে সকলের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আগে নিরাপত্তা পরে পর্যটন। কক্সবাজারকে চারিদিক দিয়ে নিরাপদ শহর হিসাবে নিশ্চিত করতে পারলেই এখানে বিকশিত হবে পর্যটন শিল্প আর অগ্রসর হতে থাকবে কক্সবাজারের পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি।

কক্সবাজারকে ২৪ ঘণ্টার শহর হিসাবে গড়ে তোলতে হবে আর কক্সবাজারের প্রতিটি স্পটকে যেন পর্যটকরা নিজের বাড়ির আঙ্গিনার মতো মনে করতে পারে সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা কি পারি না, কক্সবাজারকে বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ ও সুন্দর শহর হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে! আমরা যদি কক্সবাজার শহরকে নিরাপদ শহর হিসাবে নিশ্চিত করতে পারি, এর প্রভাবে নিরাপদ হয়ে উঠবে কক্সবাজার জেলার প্রতিটি জনপদ।

মানুষকে যদি প্রশ্ন করা হয়, দেশের সবচেয়ে নিরাপদ ও সুন্দর শহর কোনটি? সকলের মুখে যেন একই উত্তর উচ্চারিত হয় – কক্সবাজার।

আমরা সবাই জানি কক্সবাজার বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলা। অস্থিতিশীল রাষ্ট্র মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধ। তার উপর মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের এখানে আশ্রয় নেওয়ার কারণে কক্সবাজারের বিভিন্ন দিক থেকে বিরাজ করছে এক ভঙ্গুর ও সংকটময় পরিস্থিতি। এ অবস্থায় বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা শহরের তুলনায় কক্সবাজার আলাদা ও বিশেষ শহর।

তার উপর কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী পর্যটকপ্রিয় শহর। কক্সবাজারের অবস্থান যখন এই, তখন কক্সবাজারের প্রশাসন ব্যবস্থা, পুলিশি ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, ট্রাফিক ব্যবস্থা ইত্যাদি হওয়া উচিৎ ছিল বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা শহরের চেয়ে আরো উচ্চ, উন্নত ও শক্তিশালী।

কিন্তু এ পর্যন্ত তা হয়ে উঠেনি। অতএব, কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে সেরকম যে কোন ছোট ঘটনাও কক্সবাজারকে বড় সংকটের মুখে ফেলে দিতে পারে।

অপেক্ষার আর সময় নাই। কক্সবাজার নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে, পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, পদক্ষেপ নিতে হবে।

নীলোৎপল বড়ুয়া

লেখক-শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী কক্সবাজার।