ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি

উড্ডয়নকালে কেন একই খাবার দেয়া হয় না পাইলট ও কো-পাইলট কে?

আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর অজানা এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হলো — বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটকে একসাথে এক ধরনের খাবার দেওয়া হয় না।

কারণ? নিরাপত্তার স্বার্থে দুজনেই যেন একসাথে অসুস্থ না হন, বিশেষ করে খাদ্যে বিষক্রিয়ার (Food Poisoning) আশঙ্কা থাকলে। বিশ্বের অনেক শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্স যেমন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, জাপান এয়ারলাইন্স এবং এমিরেটস-এর মতো প্রতিষ্ঠান এই নিয়ম মেনে চলে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন এবং ফার্স্ট অফিসার (co-pilot) সম্পূর্ণ আলাদা খাবার গ্রহণ করেন — কখনো আলাদা রন্ধনশৈলীতে তৈরি, কখনো ভিন্ন উৎস থেকে আসা খাবার।

১৯৮২ সালে একটি ফ্লাইটে দুইজন পাইলটই একই খাবার গ্রহণ করেছিলেন, এবং সেই খাবারেই ছিলো সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া। দুজনেই কিছুক্ষণের মধ্যে বমি ও দুর্বলতায় ভুগতে শুরু করেন। ফ্লাইটটি শেষ পর্যন্ত সহকারী স্টাফদের সহায়তায় নিরাপদে অবতরণ করলেও, এই ঘটনা বিমান চলাচল জগতে এক বড় সতর্কতা তৈরি করে।

অন্যদিকে, জাপান এয়ারলাইন্স ২০১৩ সালে এক বিবৃতিতে জানায়, আন্তর্জাতিক রুটে ক্যাপ্টেন ও কো-পাইলটকে ভিন্ন মেন্যু থেকে খাবার বেছে নিতে বলা হয়। পাইলট যদি “জাপানিজ মিল” নেন, কো-পাইলটকে নিতে হবে “ওয়েস্টার্ন মিল”।

ফ্লাইটে দুইজন পাইলটই যদি একই উৎসের খাবার খান এবং তা দূষিত হয়, তাহলে উভয়েরই অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।

বিমানের মাঝ আকাশে পাইলট-সহ পুরো ককপিট টিমের অসুস্থ হওয়া মানে বিপদের শঙ্কা, এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। সেজন্য এই নীতি গোপনে হলেও বহু বছর ধরে কার্যকর রয়েছে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, “বিমানের প্রতিটি বিষয়েই রয়েছে নিরাপত্তার উপর বাড়তি গুরুত্ব। খাবার সম্পর্কেও এমন নীতিমালা কেবলমাত্র যাত্রী নয়, বরং পুরো ফ্লাইট পরিচালনার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে।”

যাত্রীদের সেবা ও পাইলটদের সুস্থতা — উভয়ই এভিয়েশন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্যাপ্টেন ও কো-পাইলটের খাবার আলাদা রাখা যেন এক নীরব কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি হয়ে উঠেছে আধুনিক বিমান পরিবহনে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে

This will close in 6 seconds

উড্ডয়নকালে কেন একই খাবার দেয়া হয় না পাইলট ও কো-পাইলট কে?

আপডেট সময় : ০২:২৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর অজানা এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হলো — বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটকে একসাথে এক ধরনের খাবার দেওয়া হয় না।

কারণ? নিরাপত্তার স্বার্থে দুজনেই যেন একসাথে অসুস্থ না হন, বিশেষ করে খাদ্যে বিষক্রিয়ার (Food Poisoning) আশঙ্কা থাকলে। বিশ্বের অনেক শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্স যেমন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, জাপান এয়ারলাইন্স এবং এমিরেটস-এর মতো প্রতিষ্ঠান এই নিয়ম মেনে চলে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন এবং ফার্স্ট অফিসার (co-pilot) সম্পূর্ণ আলাদা খাবার গ্রহণ করেন — কখনো আলাদা রন্ধনশৈলীতে তৈরি, কখনো ভিন্ন উৎস থেকে আসা খাবার।

১৯৮২ সালে একটি ফ্লাইটে দুইজন পাইলটই একই খাবার গ্রহণ করেছিলেন, এবং সেই খাবারেই ছিলো সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া। দুজনেই কিছুক্ষণের মধ্যে বমি ও দুর্বলতায় ভুগতে শুরু করেন। ফ্লাইটটি শেষ পর্যন্ত সহকারী স্টাফদের সহায়তায় নিরাপদে অবতরণ করলেও, এই ঘটনা বিমান চলাচল জগতে এক বড় সতর্কতা তৈরি করে।

অন্যদিকে, জাপান এয়ারলাইন্স ২০১৩ সালে এক বিবৃতিতে জানায়, আন্তর্জাতিক রুটে ক্যাপ্টেন ও কো-পাইলটকে ভিন্ন মেন্যু থেকে খাবার বেছে নিতে বলা হয়। পাইলট যদি “জাপানিজ মিল” নেন, কো-পাইলটকে নিতে হবে “ওয়েস্টার্ন মিল”।

ফ্লাইটে দুইজন পাইলটই যদি একই উৎসের খাবার খান এবং তা দূষিত হয়, তাহলে উভয়েরই অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।

বিমানের মাঝ আকাশে পাইলট-সহ পুরো ককপিট টিমের অসুস্থ হওয়া মানে বিপদের শঙ্কা, এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। সেজন্য এই নীতি গোপনে হলেও বহু বছর ধরে কার্যকর রয়েছে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, “বিমানের প্রতিটি বিষয়েই রয়েছে নিরাপত্তার উপর বাড়তি গুরুত্ব। খাবার সম্পর্কেও এমন নীতিমালা কেবলমাত্র যাত্রী নয়, বরং পুরো ফ্লাইট পরিচালনার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে।”

যাত্রীদের সেবা ও পাইলটদের সুস্থতা — উভয়ই এভিয়েশন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্যাপ্টেন ও কো-পাইলটের খাবার আলাদা রাখা যেন এক নীরব কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি হয়ে উঠেছে আধুনিক বিমান পরিবহনে।