ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজনীতি চরিত্র বদলায়, কাহিনী বদলায় না ইসলামাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার একলাফে সাড়ে ১০ হাজার টাকা কমলো স্বর্ণের দাম পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল নিখোঁজের ২৫ ঘণ্টা পর বাঁকখালি নদী থেকে ইব্রাহিমের ম’র’দে’হ উদ্ধার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক কোনো ফ্লাইট-জরুরি অবতরণও নিষেধ যে কারণে.. সাগরজলে নারী পর্যটকের গোসলের ভিডিও ধারণ, টিকটকার গ্রেফতার কালারমারছড়ায় পুলিশের অভিযান: অস্ত্রসহ আটক ৩ মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্যে সাক্ষাৎ সীমান্তে ৪ লাখ ইয়াবা জব্দ : ৬ মাসে ৪০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের ইয়াবা উদ্ধার ৩৪ বিজিবির পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার হলো রংপুরের মোবারক আলী হত্যা মামলার মূলহোতা মমিনুল টেকনাফে ইয়াবাসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার মোনথা এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়, যাচ্ছে অন্ধ্রের দিকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৩ অস্ত্রধারীসহ ১৩ জন আনসার নিয়োজিত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

উড্ডয়নকালে কেন একই খাবার দেয়া হয় না পাইলট ও কো-পাইলট কে?

আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর অজানা এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হলো — বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটকে একসাথে এক ধরনের খাবার দেওয়া হয় না।

কারণ? নিরাপত্তার স্বার্থে দুজনেই যেন একসাথে অসুস্থ না হন, বিশেষ করে খাদ্যে বিষক্রিয়ার (Food Poisoning) আশঙ্কা থাকলে। বিশ্বের অনেক শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্স যেমন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, জাপান এয়ারলাইন্স এবং এমিরেটস-এর মতো প্রতিষ্ঠান এই নিয়ম মেনে চলে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন এবং ফার্স্ট অফিসার (co-pilot) সম্পূর্ণ আলাদা খাবার গ্রহণ করেন — কখনো আলাদা রন্ধনশৈলীতে তৈরি, কখনো ভিন্ন উৎস থেকে আসা খাবার।

১৯৮২ সালে একটি ফ্লাইটে দুইজন পাইলটই একই খাবার গ্রহণ করেছিলেন, এবং সেই খাবারেই ছিলো সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া। দুজনেই কিছুক্ষণের মধ্যে বমি ও দুর্বলতায় ভুগতে শুরু করেন। ফ্লাইটটি শেষ পর্যন্ত সহকারী স্টাফদের সহায়তায় নিরাপদে অবতরণ করলেও, এই ঘটনা বিমান চলাচল জগতে এক বড় সতর্কতা তৈরি করে।

অন্যদিকে, জাপান এয়ারলাইন্স ২০১৩ সালে এক বিবৃতিতে জানায়, আন্তর্জাতিক রুটে ক্যাপ্টেন ও কো-পাইলটকে ভিন্ন মেন্যু থেকে খাবার বেছে নিতে বলা হয়। পাইলট যদি “জাপানিজ মিল” নেন, কো-পাইলটকে নিতে হবে “ওয়েস্টার্ন মিল”।

ফ্লাইটে দুইজন পাইলটই যদি একই উৎসের খাবার খান এবং তা দূষিত হয়, তাহলে উভয়েরই অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।

বিমানের মাঝ আকাশে পাইলট-সহ পুরো ককপিট টিমের অসুস্থ হওয়া মানে বিপদের শঙ্কা, এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। সেজন্য এই নীতি গোপনে হলেও বহু বছর ধরে কার্যকর রয়েছে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, “বিমানের প্রতিটি বিষয়েই রয়েছে নিরাপত্তার উপর বাড়তি গুরুত্ব। খাবার সম্পর্কেও এমন নীতিমালা কেবলমাত্র যাত্রী নয়, বরং পুরো ফ্লাইট পরিচালনার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে।”

যাত্রীদের সেবা ও পাইলটদের সুস্থতা — উভয়ই এভিয়েশন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্যাপ্টেন ও কো-পাইলটের খাবার আলাদা রাখা যেন এক নীরব কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি হয়ে উঠেছে আধুনিক বিমান পরিবহনে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজনীতি চরিত্র বদলায়, কাহিনী বদলায় না

This will close in 6 seconds

উড্ডয়নকালে কেন একই খাবার দেয়া হয় না পাইলট ও কো-পাইলট কে?

আপডেট সময় : ০২:২৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর অজানা এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হলো — বিমানের পাইলট ও কো-পাইলটকে একসাথে এক ধরনের খাবার দেওয়া হয় না।

কারণ? নিরাপত্তার স্বার্থে দুজনেই যেন একসাথে অসুস্থ না হন, বিশেষ করে খাদ্যে বিষক্রিয়ার (Food Poisoning) আশঙ্কা থাকলে। বিশ্বের অনেক শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্স যেমন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, জাপান এয়ারলাইন্স এবং এমিরেটস-এর মতো প্রতিষ্ঠান এই নিয়ম মেনে চলে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন এবং ফার্স্ট অফিসার (co-pilot) সম্পূর্ণ আলাদা খাবার গ্রহণ করেন — কখনো আলাদা রন্ধনশৈলীতে তৈরি, কখনো ভিন্ন উৎস থেকে আসা খাবার।

১৯৮২ সালে একটি ফ্লাইটে দুইজন পাইলটই একই খাবার গ্রহণ করেছিলেন, এবং সেই খাবারেই ছিলো সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া। দুজনেই কিছুক্ষণের মধ্যে বমি ও দুর্বলতায় ভুগতে শুরু করেন। ফ্লাইটটি শেষ পর্যন্ত সহকারী স্টাফদের সহায়তায় নিরাপদে অবতরণ করলেও, এই ঘটনা বিমান চলাচল জগতে এক বড় সতর্কতা তৈরি করে।

অন্যদিকে, জাপান এয়ারলাইন্স ২০১৩ সালে এক বিবৃতিতে জানায়, আন্তর্জাতিক রুটে ক্যাপ্টেন ও কো-পাইলটকে ভিন্ন মেন্যু থেকে খাবার বেছে নিতে বলা হয়। পাইলট যদি “জাপানিজ মিল” নেন, কো-পাইলটকে নিতে হবে “ওয়েস্টার্ন মিল”।

ফ্লাইটে দুইজন পাইলটই যদি একই উৎসের খাবার খান এবং তা দূষিত হয়, তাহলে উভয়েরই অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।

বিমানের মাঝ আকাশে পাইলট-সহ পুরো ককপিট টিমের অসুস্থ হওয়া মানে বিপদের শঙ্কা, এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। সেজন্য এই নীতি গোপনে হলেও বহু বছর ধরে কার্যকর রয়েছে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, “বিমানের প্রতিটি বিষয়েই রয়েছে নিরাপত্তার উপর বাড়তি গুরুত্ব। খাবার সম্পর্কেও এমন নীতিমালা কেবলমাত্র যাত্রী নয়, বরং পুরো ফ্লাইট পরিচালনার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে।”

যাত্রীদের সেবা ও পাইলটদের সুস্থতা — উভয়ই এভিয়েশন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্যাপ্টেন ও কো-পাইলটের খাবার আলাদা রাখা যেন এক নীরব কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি হয়ে উঠেছে আধুনিক বিমান পরিবহনে।