ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বড়ঘোপ বাজার কালী মন্দির পাড়ায় অগ্নিকান্ডে ৬ বসতঘর, ২ দোকান পুড়ে ছাই টেকনাফে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন: শাহ জাহান চৌধুরী ও সেলিনা সুলতানা নিশীতার ঐক্যের ডাক নারীদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের চিন্তা করলে ভুল হবে: সেনাপ্রধান ভালো ফল করেও অনার্স শেষ হলোনা রামুর সেই উষা বড়ুয়ার রামুর আলেচিত টমটম চালক সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজারে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে পুলিশ দেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, শহুরে কর্মজীবীদের তিন-চতুর্থাংশই ভুক্তভোগী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টা আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর মহেশখালী-কুতুবদিয়া সংসদীয় আসনের জন্য এনসিপি থেকে মনোনয়ন ফরম নিলেন এডভোকেট নাজমুস সাকিব বেঁচে থাকাটাই আনন্দের: বিদ্যা সিনহা মিম যেদিন সম্পদ ও সন্তান কোনো কাজে আসবে না উখিয়ার খালে মিলল নারীর বস্তাবন্দি ম’র’দে’হ, প’লা’তক স্বামী ‘চুমু’ নিয়ে প্রেমিকা শিপুর সাথে অভিমানে সৌরভের আ’ত্ম’হত্যা! – দাবী বন্ধুদের ‘লক্ষী আসন’ খ্যাত কক্সবাজার-৪ এ এনসিপির প্রার্থী হচ্ছেন ক্রীড়া সংগঠক হোসাইন

উখিয়া ও চন্দনাইশের ওসির প্রচেষ্টায় পিতার কোলে ফিরল ৩ বছরের অপহৃত শিশু

কক্সবাজারের উখিয়ার ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলার সময় রোহিঙ্গা শিশু মোহাম্মদ ইছা (৩) কে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।

গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে ইছা নিখোঁজের পর দুশ্চিতায় পড়ে তার পরিবার, একই দিন অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন করে চাওয়া হয় দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ।

এঘটনায় ক্যাম্প প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ইছার পিতা মোহাম্মদ আমির আলী।

পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করা হলে সংশ্লিষ্ট থানায় অধিযাচন পত্র পাঠান উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক।

বার্তা পেয়ে জরুরি সাড়া দিয়ে ইছাকে উদ্ধারে অভিযানে নামে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। টানা একদিন চেষ্টার পর অক্ষত অবস্থায় সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে মুক্তিপণ ছাড়া ইছা’কে উপজেলার দোহাজারী থেকে উদ্ধার করা হয়।

চন্দনাইশের ওসি গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘ পরিকল্পনা অনুযায়ী, মুক্তিপণের টাকা নিতে অপহরণকারীকে আসতে বলা হয়। নির্দিষ্ট স্থানে আসলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইছা’কে অপহরণকারী পালিয়ে যায়।’

আইনি প্রক্রিয়া শেষে ইছাকে সোমবার বিকালে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।

উখিয়ার ওসি জিয়াউল হক বলেন, ‘ দুই থানার সমন্বিত প্রচেষ্টায় শিশুটিকে বড় ধরনের ক্ষতি ছাড়া উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি এবং এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সরজমিনে উখিয়ার  ৪নং ক্যাম্পের বি ব্লকের শেডে গিয়ে দেখা যায়, পিতা-মাতার সাথে ইছার খুনসুটি। মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হলেও ইছার শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানিয়েছে পরিবার।

পুত্রকে পেয়ে খুশি পিতা আমীর আলী বলেন, ‘ আমার ছেলেকে পাবো আশা করিনি, সে আমার কোলে ফিরে এসেছে এর চেয়ে আনন্দের কিছু নেই। উখিয়া ও চন্দনাইশের ওসি স্যার অনেক কষ্ট করেছেন তারা না থাকলে জানিনা কি হত।’

সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্প ও উখিয়া-টেকনাফের সংলগ্ন এলাকা থেকে শিশু অপহরণ বেড়েছে। দুই কর্মকর্তার মতো প্রশাসন ও পুলিশ আন্তরিক হলে অপহরণকারীদের দৌরাত্ম নিয়ন্ত্রণ সহ এধরণের ঘটনায় প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বড়ঘোপ বাজার কালী মন্দির পাড়ায় অগ্নিকান্ডে ৬ বসতঘর, ২ দোকান পুড়ে ছাই

This will close in 6 seconds

উখিয়া ও চন্দনাইশের ওসির প্রচেষ্টায় পিতার কোলে ফিরল ৩ বছরের অপহৃত শিশু

আপডেট সময় : ০৪:২২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়ার ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলার সময় রোহিঙ্গা শিশু মোহাম্মদ ইছা (৩) কে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।

গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে ইছা নিখোঁজের পর দুশ্চিতায় পড়ে তার পরিবার, একই দিন অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন করে চাওয়া হয় দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ।

এঘটনায় ক্যাম্প প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ইছার পিতা মোহাম্মদ আমির আলী।

পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করা হলে সংশ্লিষ্ট থানায় অধিযাচন পত্র পাঠান উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক।

বার্তা পেয়ে জরুরি সাড়া দিয়ে ইছাকে উদ্ধারে অভিযানে নামে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। টানা একদিন চেষ্টার পর অক্ষত অবস্থায় সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে মুক্তিপণ ছাড়া ইছা’কে উপজেলার দোহাজারী থেকে উদ্ধার করা হয়।

চন্দনাইশের ওসি গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘ পরিকল্পনা অনুযায়ী, মুক্তিপণের টাকা নিতে অপহরণকারীকে আসতে বলা হয়। নির্দিষ্ট স্থানে আসলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইছা’কে অপহরণকারী পালিয়ে যায়।’

আইনি প্রক্রিয়া শেষে ইছাকে সোমবার বিকালে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।

উখিয়ার ওসি জিয়াউল হক বলেন, ‘ দুই থানার সমন্বিত প্রচেষ্টায় শিশুটিকে বড় ধরনের ক্ষতি ছাড়া উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি এবং এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সরজমিনে উখিয়ার  ৪নং ক্যাম্পের বি ব্লকের শেডে গিয়ে দেখা যায়, পিতা-মাতার সাথে ইছার খুনসুটি। মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হলেও ইছার শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানিয়েছে পরিবার।

পুত্রকে পেয়ে খুশি পিতা আমীর আলী বলেন, ‘ আমার ছেলেকে পাবো আশা করিনি, সে আমার কোলে ফিরে এসেছে এর চেয়ে আনন্দের কিছু নেই। উখিয়া ও চন্দনাইশের ওসি স্যার অনেক কষ্ট করেছেন তারা না থাকলে জানিনা কি হত।’

সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্প ও উখিয়া-টেকনাফের সংলগ্ন এলাকা থেকে শিশু অপহরণ বেড়েছে। দুই কর্মকর্তার মতো প্রশাসন ও পুলিশ আন্তরিক হলে অপহরণকারীদের দৌরাত্ম নিয়ন্ত্রণ সহ এধরণের ঘটনায় প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।