কক্সবাজারের উখিয়ায় তচ্ছাখালী খালে বস্তাবন্দী অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ ভেসে ওঠার পর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও শঙ্কা।
গেল ১৩ নভেম্বর উদ্ধারকৃত সেই লাশটি শনাক্ত হওয়ার পর জানা যায়-তিনি রহিমা আক্তার (৩০), যিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন এক সপ্তাহ আগে। আর এই ঘটনার সঙ্গে তার স্বামী জসিম উদ্দিনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠে আসে পরিবারের পক্ষ থেকে।
রহিমা আক্তার ছিলেন জালিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দীর্ঘ ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল পাশের ইউনিয়নের জসিম উদ্দিনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই জসিম শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। পারিবারিক জীবনে নানা বিষয় নিয়ে দাম্পত্য কলহ চললেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তেজনা বেড়ে যায়-পরিবারের দাবি, জসিম প্রায়ই তালাক দেয়ার হুমকি দিতেন।
০৬ নভেম্বর রাতে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু সেই রাতের পর থেকে আর তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের পর পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয়দের খোঁজাখুঁজির মধ্যেই লাশ পাওয়ার ঘটনায় এলাকায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
লাশ উদ্ধারের পর কক্সবাজারের র্যাব-১৫ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ৬ নভেম্বর থেকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আজ সোমবার ( ১ ডিসেম্বর ২৫) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থেকে জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া অফিসার) আ. ম. ফারুক। এসময় তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহ এবং পরিকল্পিত হত্যার তথ্য।
তবে তদন্ত এখনো চলমান, এবং মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের কাজও চলছে বলে জানান তিনি।
শামীমুল ইসলাম ফয়সাল 























