ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ: ‘উখিয়া স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি’র অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন সাংবাদিক সরওয়ার আজম মানিকের মায়ের ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক কক্সবাজারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা লজ্জাজনক- জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ চকরিয়ায় কাভার্ডভ্যানের নিচে মোটর সাইকেল: নিহত-২ প্রার্থী চুড়ান্ত করা ,তারেক জিয়ার দেশে ফেরা, এনসিপির সাথে জোট প্রসঙ্গে যা বললেন সালাউদ্দিন আহমেদ প্রস্তুতি ছিলো চুড়ান্ত: আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড়ার আগেই স্থগিত স্বীকৃতি ঘোষণার ১১ দিনের মাথায় ‘আন্তর্জাতিক’ স্বীকৃতি হারাল কক্সবাজার বিমানবন্দর বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্টগার্ডের অভিযান: নারী ও শিশুসহ ৪৪ অ’প’হৃ’ত উদ্ধার শাশুড়ির ১২ লাখ টাকার কিলারে খুন হন সালমান শাহ! যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কখনো মাথা নত করব না—কেন হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন দুদিন পতনের পর স্বর্ণের দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, যা বললো এনসিপি এনসিপি থেকে পদত্যাগ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর খুটাখালীতে চাঁ’দার টাকায় অতিষ্ঠ লবণ চাষীরা : প্রতিবাদে মানববন্ধন টেকনাফে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে অপহৃত কিশোর উদ্ধার
ক্রীড়া সংস্থা বলছে দায় ইজারাদারের

ইজারাদার বলছে প্রতারক চক্র বিশৃঙ্খলা করেছে

  • আফজারা রিয়া
  • আপডেট সময় : ০৯:০০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 458

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শুক্রবার বিপুল দর্শকের চাপে ভেস্তে যায়। গ্যালারির ধারণক্ষমতার তিনগুণ দর্শক মাঠে ঢুকে পড়ায় খেলা স্থগিত হয়ে যায়। ঘটনাটিকে ঘিরে টিকিট বিক্রি ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্রীড়া সংস্থা এবং টিকিট ইজারাদারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

শনিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান নিজেদের নির্দোষ দাবি করে। তাদের বক্তব্য, তারা ৫০ টাকার টিকিট বৈধভাবে ছাপিয়ে বিক্রি করেছে। কিন্তু এক অসাধু চক্র বদর মোকাম সড়কের একটি ছাপাখানায় হাজার হাজার ভুয়া টিকিট ছাপিয়ে ফাইনালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এমনকি তারা অবিক্রিত টিকিটও গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করেছে।

ইজারাদাররা বলেন, “আমরা অতিরিক্ত টাকার লোভে টিকিট বিক্রি করিনি। বরং প্রতারক চক্রের কারণে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। দর্শকরা গেট ভেঙে ঢুকে পড়ে, ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগ করে খেলা নষ্ট করেছে।”

অন্যদিকে, ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানান, টিকিট ছাপানো বা বিক্রির সাথে ক্রীড়া সংস্থা কোনোভাবেই জড়িত নয়। নিলামের মাধ্যমে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। টিকিট ব্যবস্থাপনা, বিক্রয়মূল্য, দর্শক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা সবকিছুর দায়িত্ব ছিল ঠিকাদারদের।

তিনি বলেন, “আমরা শুধু ভিআইপি গ্যালারি নিলামমুক্ত রেখেছিলাম। ৩০০ আসনের সেই গ্যালারিতে আমন্ত্রিত অতিথিরাই বসার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সাধারণ টিকিট বিক্রয়ের বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না।”

বেশি দামে টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে আলাউদ্দিন বলেন, “খেলার আগের দিন ঠিকাদাররা বলেছিলো তারা ৫ হাজার টিকিট ছাপিয়েছে। কিন্তু খেলার দিন সকালে রামুর ইউএনও আমাকে জানান, একটি টিকিটে দুইজনকে গণনা করা হচ্ছে। পরে ঠিকাদাররা নিজেরাই স্বীকার করেছে যে চাহিদার কারণে তারা টিকিটের মুড়ির অংশকেও আলাদা টিকিট হিসেবে ধরেছে। এতে করে ৫ হাজার টিকিটে ১০ হাজার দর্শক মাঠে প্রবেশ করেছে।”

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ: ‘উখিয়া স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি’র অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন

This will close in 6 seconds

ক্রীড়া সংস্থা বলছে দায় ইজারাদারের

ইজারাদার বলছে প্রতারক চক্র বিশৃঙ্খলা করেছে

আপডেট সময় : ০৯:০০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শুক্রবার বিপুল দর্শকের চাপে ভেস্তে যায়। গ্যালারির ধারণক্ষমতার তিনগুণ দর্শক মাঠে ঢুকে পড়ায় খেলা স্থগিত হয়ে যায়। ঘটনাটিকে ঘিরে টিকিট বিক্রি ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্রীড়া সংস্থা এবং টিকিট ইজারাদারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

শনিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান নিজেদের নির্দোষ দাবি করে। তাদের বক্তব্য, তারা ৫০ টাকার টিকিট বৈধভাবে ছাপিয়ে বিক্রি করেছে। কিন্তু এক অসাধু চক্র বদর মোকাম সড়কের একটি ছাপাখানায় হাজার হাজার ভুয়া টিকিট ছাপিয়ে ফাইনালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এমনকি তারা অবিক্রিত টিকিটও গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করেছে।

ইজারাদাররা বলেন, “আমরা অতিরিক্ত টাকার লোভে টিকিট বিক্রি করিনি। বরং প্রতারক চক্রের কারণে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। দর্শকরা গেট ভেঙে ঢুকে পড়ে, ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগ করে খেলা নষ্ট করেছে।”

অন্যদিকে, ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানান, টিকিট ছাপানো বা বিক্রির সাথে ক্রীড়া সংস্থা কোনোভাবেই জড়িত নয়। নিলামের মাধ্যমে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। টিকিট ব্যবস্থাপনা, বিক্রয়মূল্য, দর্শক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা সবকিছুর দায়িত্ব ছিল ঠিকাদারদের।

তিনি বলেন, “আমরা শুধু ভিআইপি গ্যালারি নিলামমুক্ত রেখেছিলাম। ৩০০ আসনের সেই গ্যালারিতে আমন্ত্রিত অতিথিরাই বসার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সাধারণ টিকিট বিক্রয়ের বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না।”

বেশি দামে টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে আলাউদ্দিন বলেন, “খেলার আগের দিন ঠিকাদাররা বলেছিলো তারা ৫ হাজার টিকিট ছাপিয়েছে। কিন্তু খেলার দিন সকালে রামুর ইউএনও আমাকে জানান, একটি টিকিটে দুইজনকে গণনা করা হচ্ছে। পরে ঠিকাদাররা নিজেরাই স্বীকার করেছে যে চাহিদার কারণে তারা টিকিটের মুড়ির অংশকেও আলাদা টিকিট হিসেবে ধরেছে। এতে করে ৫ হাজার টিকিটে ১০ হাজার দর্শক মাঠে প্রবেশ করেছে।”