ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে আটক-১ সাংবাদিক হাফিজের বাবার জানাজা সোমবার সকাল ১০ টায় সাংবাদিক হাফিজের বাবার ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক “গোলদীঘিতে ধরা পড়া কাতলা মাছটি ১১ কেজি নয়, প্রকৃত ওজন ৬ কেজি” আসছে “মন্থা”, কক্সবাজারে বৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে: আঘাত হানবে মঙ্গল বা বুধবার প্রথম দিনই ধরা পড়ল আড়াই কেজির ইলিশ, ৯২০০ টাকায় বিক্রি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কোথায়, কখন আঘাত হানতে পারে সবুজ ঘাসে ঢাকা চট্টগ্রামের উইকেট, কেমন হবে রান পাবনায় ট্রাকচাপায় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর

অস্বাস্থ্যকর খাবার: কক্সবাজারে হান্ডিসহ ৪ রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

কক্সবাজার শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আওতায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে চারটি রেস্টুরেন্টকে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা বেগমের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

জরিমানাপ্রাপ্ত রেস্টুরেন্টগুলো হলো, লাবণী পয়েন্টের হান্ডি রেস্টুরেন্ট ৩০ হাজার টাকা, সুগন্ধা পয়েন্টের কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্ট ৪০ হাজার টাকা ও ক্যাফে দরবার ৩০ হাজার টাকা, আর কলাতলী মেইন রোডের ক্যাফে জামান রেস্টুরেন্ট ১৫ হাজার টাকা।

কক্সবাজারে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত ও নামজাদা হান্ডি রেস্টুরেন্টেও এ ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, জনপ্রিয়তা ও সুনামের সুযোগ নিয়ে মালিকপক্ষ নিয়ম-কানুনকে অবহেলা করে চলছিল। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এ অভিযান ভোক্তাদের সচেতন করার পাশাপাশি মালিকপক্ষের জন্যও বড় সতর্কবার্তা।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা বেগম বলেন, “সব রেস্টুরেন্ট মালিকদের আমরা সতর্ক করছি। ভবিষ্যতে কেউ স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন নিশ্চিত না করলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,পর্যটন এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তা শুধু স্থানীয়দের নয়, পর্যটকদেরও ঝুঁকিতে ফেলে। এ ধরনের রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়ার পর খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো ঘটনা ঘটলে পর্যটন শিল্পের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্বাস্থ্যকর বা দূষিত খাবার খেলে দীর্ঘমেয়াদে হেপাটাইটিস, পেটের রোগ, খাদ্যে বিষক্রিয়া, এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে। বিশেষ করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যেখানে প্রতিদিন হাজারো দেশি-বিদেশি পর্যটক খাবারের জন্য এসব রেস্টুরেন্টে ভিড় জমায়, সেখানে এ ধরনের অনিয়ম জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৩ ও ৫২ ধারায় খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ বা অস্বাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহার, এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের দায়ে অর্থদণ্ড ও অন্যান্য শাস্তির বিধান রয়েছে। একই আইনে পুনরাবৃত্তি ঘটলে কারাদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

অস্বাস্থ্যকর খাবার: কক্সবাজারে হান্ডিসহ ৪ রেস্টুরেন্টকে লাখ টাকা জরিমানা

আপডেট সময় : ০৪:৫১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আওতায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে চারটি রেস্টুরেন্টকে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা বেগমের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

জরিমানাপ্রাপ্ত রেস্টুরেন্টগুলো হলো, লাবণী পয়েন্টের হান্ডি রেস্টুরেন্ট ৩০ হাজার টাকা, সুগন্ধা পয়েন্টের কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্ট ৪০ হাজার টাকা ও ক্যাফে দরবার ৩০ হাজার টাকা, আর কলাতলী মেইন রোডের ক্যাফে জামান রেস্টুরেন্ট ১৫ হাজার টাকা।

কক্সবাজারে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত ও নামজাদা হান্ডি রেস্টুরেন্টেও এ ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, জনপ্রিয়তা ও সুনামের সুযোগ নিয়ে মালিকপক্ষ নিয়ম-কানুনকে অবহেলা করে চলছিল। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এ অভিযান ভোক্তাদের সচেতন করার পাশাপাশি মালিকপক্ষের জন্যও বড় সতর্কবার্তা।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা বেগম বলেন, “সব রেস্টুরেন্ট মালিকদের আমরা সতর্ক করছি। ভবিষ্যতে কেউ স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন নিশ্চিত না করলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,পর্যটন এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তা শুধু স্থানীয়দের নয়, পর্যটকদেরও ঝুঁকিতে ফেলে। এ ধরনের রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়ার পর খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো ঘটনা ঘটলে পর্যটন শিল্পের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্বাস্থ্যকর বা দূষিত খাবার খেলে দীর্ঘমেয়াদে হেপাটাইটিস, পেটের রোগ, খাদ্যে বিষক্রিয়া, এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে। বিশেষ করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যেখানে প্রতিদিন হাজারো দেশি-বিদেশি পর্যটক খাবারের জন্য এসব রেস্টুরেন্টে ভিড় জমায়, সেখানে এ ধরনের অনিয়ম জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৩ ও ৫২ ধারায় খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ বা অস্বাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহার, এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের দায়ে অর্থদণ্ড ও অন্যান্য শাস্তির বিধান রয়েছে। একই আইনে পুনরাবৃত্তি ঘটলে কারাদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে।