ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জনজোয়ারে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার

অনিয়ম প্রমাণ হলেও উখিয়ার সেই ‘আলোচিত’ কাজী বহাল! নেপথ্যে সমাজসেবা কর্তা?

১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার আগেই বিয়ে করাতে পারদর্শী তিনি, কৌশল করে সম্পন্ন করেছিলেন অগ্রিম ৪০ টি বিয়ের নিকাহনামা।

২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার তথা  কাজী আখতার হোসাইনের এমন অনিয়মের হাতে নাতে প্রমাণ পান উখিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসাইন।

সেসময় এই ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়, আড়াই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বহাল তবিয়তে দায়িত্বে আছেন তিনি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, তৎকালীন ইউএনও ইমরান হোসেন সজীবের নির্দেশে নিজের সহকর্মী শিশু সুরক্ষা কর্মী নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে আখতারের অনিয়ম প্রমাণ করেন ৪ বছর ধরে উখিয়ায় কর্মরত সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসাইন।

রহস্যজনকভাবে যথেষ্ট প্রমাণ থাকার পরও আখতারের বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সূত্র বলছে, নিজে প্রমাণ করার পরও আখতারের কাছে পাওয়া মোটা অংকের উৎকোষে তার পক্ষে অবস্থান নেন আল মাহমুদ এবং দফারফা করেন মাহমুদের সহযোগী নজরুল ইসলাম।

এবিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ফোন করা হলেও সমাজসেবা কর্মকর্তার উত্তর মেলেনি।

আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সহযোগিতায় নিকাহ রেজিস্ট্রার হওয়া আখতার হলদিয়াপালংয়ে স্থায়ী বাসিন্দা নন, যা আইন বহির্ভূত।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী রামুর খুনিয়াপালংয়ের ছৈয়দুর রহমানের এই পুত্র নিজের কাজী অফিসকে বানিয়েছেন দুর্নীতির আঁতুড়ঘর।

অর্থের বিনিময়ে ভুয়া কাবিননামা, বাল্য বিবাহ করানো সহ নানা অনিয়মে আখতার জড়িত জানিয়ে তার নিয়োগ বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে। প্রকাশ্যে অনিয়ম ধরা পড়লেও অভিযোগ এড়িয়ে যান আলোচিত এই কাজী।

তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসাইন চৌধুরী।

ভুক্তভোগী সহ হলদিয়াপালংয়ের স্থানীয়দের প্রত্যাশা অচিরেই আখতারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিবে প্রশাসন, কমবে জনভোগান্তি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

অনিয়ম প্রমাণ হলেও উখিয়ার সেই ‘আলোচিত’ কাজী বহাল! নেপথ্যে সমাজসেবা কর্তা?

আপডেট সময় : ০৬:১১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার আগেই বিয়ে করাতে পারদর্শী তিনি, কৌশল করে সম্পন্ন করেছিলেন অগ্রিম ৪০ টি বিয়ের নিকাহনামা।

২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার তথা  কাজী আখতার হোসাইনের এমন অনিয়মের হাতে নাতে প্রমাণ পান উখিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসাইন।

সেসময় এই ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়, আড়াই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বহাল তবিয়তে দায়িত্বে আছেন তিনি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, তৎকালীন ইউএনও ইমরান হোসেন সজীবের নির্দেশে নিজের সহকর্মী শিশু সুরক্ষা কর্মী নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে আখতারের অনিয়ম প্রমাণ করেন ৪ বছর ধরে উখিয়ায় কর্মরত সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসাইন।

রহস্যজনকভাবে যথেষ্ট প্রমাণ থাকার পরও আখতারের বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সূত্র বলছে, নিজে প্রমাণ করার পরও আখতারের কাছে পাওয়া মোটা অংকের উৎকোষে তার পক্ষে অবস্থান নেন আল মাহমুদ এবং দফারফা করেন মাহমুদের সহযোগী নজরুল ইসলাম।

এবিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ফোন করা হলেও সমাজসেবা কর্মকর্তার উত্তর মেলেনি।

আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সহযোগিতায় নিকাহ রেজিস্ট্রার হওয়া আখতার হলদিয়াপালংয়ে স্থায়ী বাসিন্দা নন, যা আইন বহির্ভূত।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী রামুর খুনিয়াপালংয়ের ছৈয়দুর রহমানের এই পুত্র নিজের কাজী অফিসকে বানিয়েছেন দুর্নীতির আঁতুড়ঘর।

অর্থের বিনিময়ে ভুয়া কাবিননামা, বাল্য বিবাহ করানো সহ নানা অনিয়মে আখতার জড়িত জানিয়ে তার নিয়োগ বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে। প্রকাশ্যে অনিয়ম ধরা পড়লেও অভিযোগ এড়িয়ে যান আলোচিত এই কাজী।

তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসাইন চৌধুরী।

ভুক্তভোগী সহ হলদিয়াপালংয়ের স্থানীয়দের প্রত্যাশা অচিরেই আখতারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিবে প্রশাসন, কমবে জনভোগান্তি।