ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপির সভাপতি’কে চাঁদা আদায়ে বাধা; মেম্বারের উপর হামলা এবার ঈদে টানা ৯ দিন সরকারি ছুটি সুখে থাকার দিন আজ ৪ মাস ধরে মাছ ব্যবসায়ী সেজে নারায়ণগঞ্জে ছিলেন আরসা প্রধান জুনুনি শুক্রবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল মহেশখালীতে সন্ত্রাসীদের কোস্টগার্ডের ধাওয়া, সন্ত্রাসীদের গুলিতে লবণচাষী নিহত দিল্লি নয়, ঢাকায় মিলবে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কারাগারে আতাউল্লাহ – আরসার দায়িত্ব  পলাতক ‘মুখপাত্র’ শেখ বোরহানের হাতে! হোটেল ওশানের জমকালো ইফতার পার্টির অতিথি শতাধিক এতিম শিক্ষার্থী উখিয়ার তানবীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম মাটির নিচে কমছে খাবার পানি: হাহাকার বাড়ছে কক্সবাজার শহরে পুলিশকে অপরাধের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন-ওসি চকরিয়া বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম-বিপিজেএফ উখিয়ার ইফতার মাহফিল সম্পন্ন  রামু প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা সম্পন্ন রোহিঙ্গাদের ‘খাদ্য বরাদ্দ’ কমাবে না বিশ্ব খাদ্য সংস্থা!- আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা

৯০ লাখ টাকা’র উৎস নিয়ে যা জানিয়েছে শিবির

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের এত টাকা কোথা থেকে আসে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। সম্পাদকের এই মন্তব্যের পর এবার ছাত্রদলের টাকার উৎস জানতে চেয়েছেন জবি শিবির সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম। একই সঙ্গে শিবিরের টাকার উৎস সম্পর্কেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে একটি জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন জবি শিবির সেক্রেটারি। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পোস্ট দিতেও দেখা যায়।

মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমাদের আয়ের উৎসগুলো আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্ট করে বলা আছে। অর্থ-ব্যবস্থা/বায়তুলমাল : ধারা-৩৬ : সংগঠনের প্রত্যেক স্তরে বায়তুলমাল থাকবে। কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান, সংগঠন-প্রকাশনীর মুনাফা এবং শরিয়ত অনুমোদিত অন্যান্য খাতসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থই হবে বায়তুলমালের আয়ের উৎস।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়। আমাদের বোনেরা রান্নার মুষ্টি চাল জমা করে আমাদের দিয়ে দেয়। আমাদের ভাইয়েরা তাদের বেতনের কষ্ট করা টাকা কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আমাদের দিয়ে দেয়। আমাদের সব সাবেক ভাইয়েরা আমাদের টাকা দেয়,বিপদের দিনে আশ্রয় দেয়।

শিবির সেক্রেটারি আরও বলেন, আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আয় নেই, কোনো ব্যক্তিগত ব্যয় নেই। আমাদের যা আয় যা ব্যয় সব সংগঠনের জন্য নিবেদিত। যারা আমাদের নিয়ে প্রশ্ন করেন তাদের অনুরোধ করবো বুকে হাত রেখে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলেন, আপনার দলের টাকা কোথা থেকে আসে?

এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে বলতে শুনেছি তারা প্রতিদিন গণ-ইফতার কর্মসূচিতে তিন লাখ টাকা ব্যয় করছেন। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, তারা এত টাকা কীভাবে উপার্জন করছেন। তাদের আয়ের উৎস কী? একটি সাধারণ ছাত্র সংগঠন মাসে ৯০ লাখ টাকা কোথায় পাচ্ছে, এই তথ্য আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে শিবিরের কাছে জানতে চাই।

সূত্র – ঢাকাপোস্ট

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

৯০ লাখ টাকা’র উৎস নিয়ে যা জানিয়েছে শিবির

আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের এত টাকা কোথা থেকে আসে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। সম্পাদকের এই মন্তব্যের পর এবার ছাত্রদলের টাকার উৎস জানতে চেয়েছেন জবি শিবির সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম। একই সঙ্গে শিবিরের টাকার উৎস সম্পর্কেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে একটি জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন জবি শিবির সেক্রেটারি। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পোস্ট দিতেও দেখা যায়।

মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমাদের আয়ের উৎসগুলো আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্ট করে বলা আছে। অর্থ-ব্যবস্থা/বায়তুলমাল : ধারা-৩৬ : সংগঠনের প্রত্যেক স্তরে বায়তুলমাল থাকবে। কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান, সংগঠন-প্রকাশনীর মুনাফা এবং শরিয়ত অনুমোদিত অন্যান্য খাতসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থই হবে বায়তুলমালের আয়ের উৎস।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়। আমাদের বোনেরা রান্নার মুষ্টি চাল জমা করে আমাদের দিয়ে দেয়। আমাদের ভাইয়েরা তাদের বেতনের কষ্ট করা টাকা কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আমাদের দিয়ে দেয়। আমাদের সব সাবেক ভাইয়েরা আমাদের টাকা দেয়,বিপদের দিনে আশ্রয় দেয়।

শিবির সেক্রেটারি আরও বলেন, আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আয় নেই, কোনো ব্যক্তিগত ব্যয় নেই। আমাদের যা আয় যা ব্যয় সব সংগঠনের জন্য নিবেদিত। যারা আমাদের নিয়ে প্রশ্ন করেন তাদের অনুরোধ করবো বুকে হাত রেখে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলেন, আপনার দলের টাকা কোথা থেকে আসে?

এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে বলতে শুনেছি তারা প্রতিদিন গণ-ইফতার কর্মসূচিতে তিন লাখ টাকা ব্যয় করছেন। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, তারা এত টাকা কীভাবে উপার্জন করছেন। তাদের আয়ের উৎস কী? একটি সাধারণ ছাত্র সংগঠন মাসে ৯০ লাখ টাকা কোথায় পাচ্ছে, এই তথ্য আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে শিবিরের কাছে জানতে চাই।

সূত্র – ঢাকাপোস্ট