ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কচ্ছপিয়ায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ইয়াবা বিক্রি: ইয়াবা’সহ ধৃত ভুট্টো সালাহউদ্দিন আহমদের জন্মদিনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের নানা আয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজ একাউন্টিং ক্লাবের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছা আগামী ২০ জুলাই থেকে শহীদ দৌলত ময়দানে হবে বৃক্ষ মেলা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নুরুল আবছারের পরিবারকে কোস্ট ফাউন্ডেশনের ১ লক্ষ টাকা অনুদান গর্জনিয়ার বড়বিল থেকে পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার : পৃথক ঘটনায় দুজন আটক উখিয়ার গফুর চেয়ারম্যানের দুই দিনের ‘রিমান্ড’ মঞ্জুর র‍্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা অপহরণ! দশজন ‘মূর্তি’ নিয়ে মেসি একা কী করবেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের অধিকতর কার্যকর ভূমিকা চেয়েছে বিএনপি সংস্কার প্রশ্নে দলগুলোর ঐকমত্য নিয়ে সংশয় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ৫ জন নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেফতার অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল, সাবেক ভিসিসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা বাংলাদেশে ব্যক্তিপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত কী? বেইজিংয়ে রোবোটিক্স-এআই মিশ্রণে ‘রোবো লিগ ফুটবল টুর্নামেন্ট’

হেডফোন ব্যবহারে মন ও মস্তিষ্কে যেসব মারাত্মক প্রভাব পড়ে

হেডফোন বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। গান শোনা, পড়াশোনা কিংবা জুম মিটিংয়ে অংশ নেওয়া- সবকিছুতেই হেডফোন ব্যবহৃত হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে মন ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করছেন না তো?

২০২২ সালে ইউনাইটেড স্টেটস স্ট্যাটিস্টা জরিপ অনুসারে, ১৯-২৯ বছর বয়সীরা প্রতি সপ্তাহে হেডফোন ব্যবহারে ৭.৮ ঘন্টা ব্যয় করে। এ ছাড়াও ৩০-৪০ বছর বয়সী লোকেরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫.৫ ঘণ্টা ব্যয় করে এবং ৫০-৭৯ বছর বয়সীরা সপ্তাহে ৫.২ ঘণ্টা হেডফোন ব্যবহার করে। সমস্যা হচ্ছে এটি একটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস যা আপনার শরীরের পাশাপাশি আপনার মনের জন্যও ক্ষতিকর।

হেডফোন ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ইয়ারফোনে যে শব্দ তরঙ্গ উৎপন্ন হয় তা আমাদের কানে পৌঁছায়, যার ফলে কানের পর্দা কম্পিত হয়। এই কম্পন ছোট হাড়ের মধ্য দিয়ে কক্লিয়ার (সেল আকৃতি হাড়) দিকে যায়। হেডফোন ব্যবহারের সময় কানের ভেতরে থাকা ছোট ছোট লোম শব্দ ও কম্পনের ফলে কাঁপতে শুরু করে। ধীরে ধীরে কানের কোষগুলো সংবেদনশীলতা হারাতে শুরু করে।

শ্রবণ ক্লান্তি বা শ্রবণশক্তি হ্রাস: দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্ক উত্তপ্ত হয় এবং স্নায়ু ক্লান্তিবোধ করে। ফলে শ্রবণশক্তিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কক্লিয়ার অঞ্চলের রক্তনালী সঙ্কুচিত ও শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। ফলে শ্রবণশক্তি মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।

কানে ব্যথা: হেডফোন ব্যবহারের ফলে কানে ব্যথা অনুভব করার পাশাপাশি ভার্টিগো বা মাথা ঘোরার সমস্যা বাড়তে পারে। দীর্ঘক্ষণ শব্দের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার কারণে, কানে রক্ত সঞ্চালন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মনোযোগের অভাব: হেডফোন যে শব্দ উৎপন্ন করে, তা কানের পর্দায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্নায়ুতন্ত্র কান থেকে মস্তিষ্কে শব্দ প্রেরণ করার ফলে প্রভাবিত হয়। যার ফলে মনোযোগের অভাব হয়। হেডফোনের অত্যধিক ব্যবহার মনোযোগ কমিয়ে দিতে পারে।

মস্তিষ্কে সমস্যা: দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করতে পারে। মস্তিষ্ক স্নায়ু তন্তুগুলোর মাধ্যমে কান থেকে সংকেত গ্রহণ করে। যা মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সমস্যা মোকাবিলায় হেডফোন ব্যবহারের সময় কমিয়ে আনুন। একান্তই যদি হেডফোন ব্যবহারের প্রয়োজন হয় তাহলে ৩০ মিনিট পরে অবশ্যই পাঁচ মিনিটের বিরতি নিন। ৬০ মিনিটে দশ মিনিটের বিরতি নিতে হবে। ক্ষতির মাত্রা কমাতে হেডফোন ব্যবহারের পরিবর্তে একটি স্পিকারফোন ব্যবহার করতে পারেন।

সূত্র: ইমিট

ট্যাগ :

কচ্ছপিয়ায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ইয়াবা বিক্রি: ইয়াবা’সহ ধৃত ভুট্টো

This will close in 6 seconds

হেডফোন ব্যবহারে মন ও মস্তিষ্কে যেসব মারাত্মক প্রভাব পড়ে

আপডেট সময় : ০৮:১৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

হেডফোন বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। গান শোনা, পড়াশোনা কিংবা জুম মিটিংয়ে অংশ নেওয়া- সবকিছুতেই হেডফোন ব্যবহৃত হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে মন ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করছেন না তো?

২০২২ সালে ইউনাইটেড স্টেটস স্ট্যাটিস্টা জরিপ অনুসারে, ১৯-২৯ বছর বয়সীরা প্রতি সপ্তাহে হেডফোন ব্যবহারে ৭.৮ ঘন্টা ব্যয় করে। এ ছাড়াও ৩০-৪০ বছর বয়সী লোকেরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫.৫ ঘণ্টা ব্যয় করে এবং ৫০-৭৯ বছর বয়সীরা সপ্তাহে ৫.২ ঘণ্টা হেডফোন ব্যবহার করে। সমস্যা হচ্ছে এটি একটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস যা আপনার শরীরের পাশাপাশি আপনার মনের জন্যও ক্ষতিকর।

হেডফোন ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ইয়ারফোনে যে শব্দ তরঙ্গ উৎপন্ন হয় তা আমাদের কানে পৌঁছায়, যার ফলে কানের পর্দা কম্পিত হয়। এই কম্পন ছোট হাড়ের মধ্য দিয়ে কক্লিয়ার (সেল আকৃতি হাড়) দিকে যায়। হেডফোন ব্যবহারের সময় কানের ভেতরে থাকা ছোট ছোট লোম শব্দ ও কম্পনের ফলে কাঁপতে শুরু করে। ধীরে ধীরে কানের কোষগুলো সংবেদনশীলতা হারাতে শুরু করে।

শ্রবণ ক্লান্তি বা শ্রবণশক্তি হ্রাস: দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্ক উত্তপ্ত হয় এবং স্নায়ু ক্লান্তিবোধ করে। ফলে শ্রবণশক্তিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কক্লিয়ার অঞ্চলের রক্তনালী সঙ্কুচিত ও শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। ফলে শ্রবণশক্তি মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়।

কানে ব্যথা: হেডফোন ব্যবহারের ফলে কানে ব্যথা অনুভব করার পাশাপাশি ভার্টিগো বা মাথা ঘোরার সমস্যা বাড়তে পারে। দীর্ঘক্ষণ শব্দের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার কারণে, কানে রক্ত সঞ্চালন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মনোযোগের অভাব: হেডফোন যে শব্দ উৎপন্ন করে, তা কানের পর্দায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্নায়ুতন্ত্র কান থেকে মস্তিষ্কে শব্দ প্রেরণ করার ফলে প্রভাবিত হয়। যার ফলে মনোযোগের অভাব হয়। হেডফোনের অত্যধিক ব্যবহার মনোযোগ কমিয়ে দিতে পারে।

মস্তিষ্কে সমস্যা: দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করতে পারে। মস্তিষ্ক স্নায়ু তন্তুগুলোর মাধ্যমে কান থেকে সংকেত গ্রহণ করে। যা মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সমস্যা মোকাবিলায় হেডফোন ব্যবহারের সময় কমিয়ে আনুন। একান্তই যদি হেডফোন ব্যবহারের প্রয়োজন হয় তাহলে ৩০ মিনিট পরে অবশ্যই পাঁচ মিনিটের বিরতি নিন। ৬০ মিনিটে দশ মিনিটের বিরতি নিতে হবে। ক্ষতির মাত্রা কমাতে হেডফোন ব্যবহারের পরিবর্তে একটি স্পিকারফোন ব্যবহার করতে পারেন।

সূত্র: ইমিট