ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন মহেশখালীর সলিমুল্লাহ খানসহ ১০ জন কক্সবাজার শহরে নিম্নমানের সড়ক বাতি: সন্ধ্যা হলে জ্বলেনা মহেশখালীতে দিনে বালি পাচারের অভিযোগ: রাতে খননযন্ত্রসহ ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি অনুমোদন ১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য এবার ৫ স্কুলের ১৫০ শিক্ষার্থী পাচ্ছে সুন্দর হস্তাক্ষর পুরস্কার কুতুবদিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বিজিবি টেকনাফ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করলো যেভাবে! সেন্ট মার্টিনে কুকুর নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ বাঁচতে চায় জটিল রোগে আক্রান্ত আজিজ, সাহায্যের প্রয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব এবং উদ্ভাবনী ও উদ্যোক্তা মেলা শুরু ‘স্বেচ্ছায় পাচার’ হতে গিয়ে ফিরলেন লাশ হয়ে টেকনাফে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ পাপ্পু হুজি শহীদুলের আপন ভাতিজা নয়

সাগরপথে বাংলাদেশে এলো আরও ৩৬ রোহিঙ্গা

মাছ ধরা একটি নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ হয়ে টেকনাফে অনুপ্রবেশ করেছে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা। রোববার দুপুরে টেকনাফের সাবরাংয়ের মুন্ডারডেইল ঘাট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন তারা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানো হবে। তাদের মধ্য পাঁচজন নারী, ১০ জন শিশু ও ২১ জন পুরুষ রয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম বলেন, ‘মেরিন ড্রাইভের মুন্ডারডেইল ঘাট দিয়ে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া বাহারছড়া ঘাট দিয়ে আরও একটা রোহিঙ্গা বোঝাই বোট (নৌকা) সাগরে ভাসছে বলে জানা গেছে।’

চার দিন সাগরে ভাসমান থাকা আলম (৩০) নামে একজন বলেন, “মিয়ানমারের আকিয়াবের পূর্বে নাঁশং এলাকায় আমাদের গ্রাম। সেখানে ‘মগ বাগি’ আরকান আর্মি  রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তাই আমরা প্রাণে বাঁচতে একটি কাঠের বোট নিয়ে পাঁচ দিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করি। আজ আমাদের ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ায় একটি ট্রলার টেনে নিয়ে আমাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।”

একই এলাকার রোহিঙ্গা জাহের আলম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পাঁচটি মুসলিম গ্রাম আছে। সেখান থেকে জোর করে ধরে নিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দিয়ে জান্তার বিপক্ষে দাঁড় করাচ্ছে। ‘মগ বাগির’ দলে যোগ না দিলে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। মূলত রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে আরাকান আর্মি। যুদ্ধ করার চেয়ে বাংলাদেশে মরলে ভালো হবে। তাই বাংলাদেশে চলে আসি।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো.এহসান উদ্দিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’

টেকনাফ ২ বিজিবির মেজর ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘সাগরপথে ৩৬ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের প্রতিহত করা হবে।’

 

ট্যাগ :

কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’

This will close in 6 seconds

সাগরপথে বাংলাদেশে এলো আরও ৩৬ রোহিঙ্গা

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

মাছ ধরা একটি নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ হয়ে টেকনাফে অনুপ্রবেশ করেছে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা। রোববার দুপুরে টেকনাফের সাবরাংয়ের মুন্ডারডেইল ঘাট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন তারা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানো হবে। তাদের মধ্য পাঁচজন নারী, ১০ জন শিশু ও ২১ জন পুরুষ রয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম বলেন, ‘মেরিন ড্রাইভের মুন্ডারডেইল ঘাট দিয়ে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া বাহারছড়া ঘাট দিয়ে আরও একটা রোহিঙ্গা বোঝাই বোট (নৌকা) সাগরে ভাসছে বলে জানা গেছে।’

চার দিন সাগরে ভাসমান থাকা আলম (৩০) নামে একজন বলেন, “মিয়ানমারের আকিয়াবের পূর্বে নাঁশং এলাকায় আমাদের গ্রাম। সেখানে ‘মগ বাগি’ আরকান আর্মি  রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তাই আমরা প্রাণে বাঁচতে একটি কাঠের বোট নিয়ে পাঁচ দিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করি। আজ আমাদের ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ায় একটি ট্রলার টেনে নিয়ে আমাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।”

একই এলাকার রোহিঙ্গা জাহের আলম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পাঁচটি মুসলিম গ্রাম আছে। সেখান থেকে জোর করে ধরে নিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দিয়ে জান্তার বিপক্ষে দাঁড় করাচ্ছে। ‘মগ বাগির’ দলে যোগ না দিলে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। মূলত রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে আরাকান আর্মি। যুদ্ধ করার চেয়ে বাংলাদেশে মরলে ভালো হবে। তাই বাংলাদেশে চলে আসি।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো.এহসান উদ্দিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’

টেকনাফ ২ বিজিবির মেজর ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘সাগরপথে ৩৬ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের প্রতিহত করা হবে।’