ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
স্বাধীনতাবিরোধী ও সরকারসৃষ্ট দল দুটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়: হাফিজ উদ্দিন বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমানায় মাসব্যাপী জরিপ করবে নরওয়ে জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দিলে ‘খারাপ নজির’ সৃষ্টি হবে: সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে: সেনাপ্রধান যুবকের জরিমানাসহ ৭ বছরের কারাদণ্ড বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি অংশে জরিপে নামছে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে ৪ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব : আসিফ নজরুল তিস্তা প্রকল্পে চীনা ঋণ নিতে চায় সরকার, চেয়েছে ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ছাত্ররাজনীতিতে পরিবর্তন চান শিক্ষার্থীরা ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন ইনানীতে আত্মপ্রকাশ করলো শফির বিল জেলে কল্যাণ সমিতি ৮৫ কর্মকর্তাকে পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি ইসির মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলের পর প্রথম নির্বাচনের ঘোষণা জান্তা সরকারের

পেকুয়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ আরিফ(২০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত১১ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার রাজাখালী ইউপির নতুন ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জনে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় আসামিরা হলেন, কবির হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফ এবং এলাকার সর্দার রফিক আলম। অভিযুক্ত মোঃ আরিফ একই এলাকার কবির  হোসেন প্রকাশ নুদামাঝির ছেলে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশি আরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসলেও সে রাজি না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে অভিযুক্ত আরিফ ভিকটিম কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকার শুনে পিতা-মাতা এবং স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে আরিফকে  হাতেনাতে আটক করে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হলে সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম বিচার করার আশ্বাস দিয়ে আরিফকে তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন।

কিশোরীর পিতা বলেন, সর্দার রফিক আলম পরদিন সকালে বিচারের কথা বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং জানান, আরিফ পালিয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, সর্দার ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করেছেন। আমার তিন মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী। আমি মেয়ে ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।

এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন শহিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং ভিকটিমের পরিবারকে ধর্ষণের মামলা করতে থানায় যেতে বলেছি। ভিকটিমের পিতা একজন দিনমজুর এবং অত্যন্ত গরিব। ঘটনাটি খুব অমানবিক হয়েছে। তার একে একে ৩টি মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী।

অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম টমটম চালক বলে জানা গেছ। তার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম দাবি করেন, দু’পক্ষের সম্মতিতে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু ভিকটিমের পরিবার পরে তা মেনে নেয়নি। আরিফকে আমার জিম্মায় ছাড়া হয় নি। সিরাজুল ইসলাম নামের ভিকটিমের আত্মীয় আরিফকে ঘটনার দিন রাতে ছেড়ে দিয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংস করা যায় কি না জানতে চাইলে রফিক আলম বলেন, এ ধরণের অনেক ঘটনা আমরা স্থানীয়ভাবে আগেও নিষ্পত্তি করেছি। সে লক্ষে সমাধান করার চেষ্টা করছিলাম।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে গতকাল রাতে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতাবিরোধী ও সরকারসৃষ্ট দল দুটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়: হাফিজ উদ্দিন

This will close in 6 seconds

পেকুয়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

আপডেট সময় : ০১:০০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোঃ আরিফ(২০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত১১ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার রাজাখালী ইউপির নতুন ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জনে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় আসামিরা হলেন, কবির হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফ এবং এলাকার সর্দার রফিক আলম। অভিযুক্ত মোঃ আরিফ একই এলাকার কবির  হোসেন প্রকাশ নুদামাঝির ছেলে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশি আরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসলেও সে রাজি না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে অভিযুক্ত আরিফ ভিকটিম কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে তাকে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকার শুনে পিতা-মাতা এবং স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে আরিফকে  হাতেনাতে আটক করে। পরে স্থানীয়রা জড়ো হলে সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম বিচার করার আশ্বাস দিয়ে আরিফকে তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন।

কিশোরীর পিতা বলেন, সর্দার রফিক আলম পরদিন সকালে বিচারের কথা বলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং জানান, আরিফ পালিয়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, সর্দার ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করেছেন। আমার তিন মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী। আমি মেয়ে ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।

এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন শহিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং ভিকটিমের পরিবারকে ধর্ষণের মামলা করতে থানায় যেতে বলেছি। ভিকটিমের পিতা একজন দিনমজুর এবং অত্যন্ত গরিব। ঘটনাটি খুব অমানবিক হয়েছে। তার একে একে ৩টি মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী।

অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম টমটম চালক বলে জানা গেছ। তার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিক আলম দাবি করেন, দু’পক্ষের সম্মতিতে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু ভিকটিমের পরিবার পরে তা মেনে নেয়নি। আরিফকে আমার জিম্মায় ছাড়া হয় নি। সিরাজুল ইসলাম নামের ভিকটিমের আত্মীয় আরিফকে ঘটনার দিন রাতে ছেড়ে দিয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংস করা যায় কি না জানতে চাইলে রফিক আলম বলেন, এ ধরণের অনেক ঘটনা আমরা স্থানীয়ভাবে আগেও নিষ্পত্তি করেছি। সে লক্ষে সমাধান করার চেষ্টা করছিলাম।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে গতকাল রাতে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।