ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গোপন ‘গুদামে’ মাদক রাখে কারা? নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ইমাম হোসেন: দ্রুত গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো প্রাণ মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই : প্রেস উইং নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এবার শূকর ও কুকুরের প্রাণহানি প্রেসক্লাবের ইফতার সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি মাধ্যম-ইউএনও চকরিয়া আবুল কাসেম বাবুর ২য় মৃত্যু বার্ষিকীতে জেলা খেলাঘরের স্মরণ সভা বিয়ের দু’মাসেই সড়ক দূর্ঘটনায় দম্পতি: স্বামী নিহত স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি উত্তর ধূরুং ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন উখিয়ায় তরুণ সংবাদকর্মীদের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন “মোহাম্মদ জাবেরের সন্ধান চাই” আমরা দুনিয়ার মাঠে খেলার খেলোয়াড়, ছোট মাঠের না: প্রধান উপদেষ্টা যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ মাদককারবারি আটক এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে হত্যার ৮ ঘন্টার ব্যবধানে তিন সহোদরসহ গ্রেফতার চার পেকুয়ায় সাপের কামড়ে মৃত্যু: ওঝার কাছে যাওয়ায় দেরি হয় হাসপাতালে নিতে

নারী সহ ‘আপত্তিকর অবস্থা’য় উখিয়ার এক ইউপি চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল!

সিসিটিভি ক্যামেরার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সুসজ্জিত অফিস কক্ষে এক নারীকে জড়িয়ে ধরেছেন এক ব্যক্তি।

আপত্তিকর দৃশ্যের ঐ ভিডিওটিতে দেখা যাওয়া সেই ব্যক্তি হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ছৈয়দ আলম, তবে মিলেনি নারীর পরিচয়।

২০২১ সালের নভেম্বরে পতিত স্বৈরাচার আমলে আওয়ামী লীগের সমর্থনে বিতর্কে জড়ানো ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক এই সহ সভাপতি।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন উঠছে, একজন জনপ্রতিনিধি কিভাবে ইউনিয়ন পরিষদে নিজের অফিস কক্ষে এমন অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটাতে পারেন?

রেজাউল করিম নামে জালিয়াপালংয়ের এক বাসিন্দা ভিডিও নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “নিজের আরাম আয়েশ ফুর্তির জন্য বিশাল বহুল কক্ষ বানিয়েছেন মানলাম কিন্তু সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কি দরকার ছিল চাচা”।

সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ” জনপ্রতিনিধির মতো পবিত্র দায়িত্বে থেকে জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান যে কান্ড ঘটিয়েছেন, তা সত্যিই নেক্কারজনক। ভিডিও ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে নৈরাজ্য চালানো আওয়ামী লীগের নেতাদের অবক্ষয় হওয়া নষ্ট চরিত্রের প্রমাণ।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর হামলা সহ বিভিন্ন অভিযোগে এসএম ছৈয়দ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

এসএম ছৈয়দ আলম (জি.আর ৪৩/২০২৫, ৫৫/২০২৫, ৭১/২০২৫)  তিনটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসাইন।

স্থানীয় সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এলাকায় অবস্থান করলেও গত দুই মাস ধরে এস এম ছৈয়দ আলম পলাতক রয়েছেন।

ভিডিও প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে তার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সূত্র – দৈনিক আমার দেশ

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গোপন ‘গুদামে’ মাদক রাখে কারা?

This will close in 6 seconds

নারী সহ ‘আপত্তিকর অবস্থা’য় উখিয়ার এক ইউপি চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল!

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

সিসিটিভি ক্যামেরার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সুসজ্জিত অফিস কক্ষে এক নারীকে জড়িয়ে ধরেছেন এক ব্যক্তি।

আপত্তিকর দৃশ্যের ঐ ভিডিওটিতে দেখা যাওয়া সেই ব্যক্তি হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ছৈয়দ আলম, তবে মিলেনি নারীর পরিচয়।

২০২১ সালের নভেম্বরে পতিত স্বৈরাচার আমলে আওয়ামী লীগের সমর্থনে বিতর্কে জড়ানো ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক এই সহ সভাপতি।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন উঠছে, একজন জনপ্রতিনিধি কিভাবে ইউনিয়ন পরিষদে নিজের অফিস কক্ষে এমন অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটাতে পারেন?

রেজাউল করিম নামে জালিয়াপালংয়ের এক বাসিন্দা ভিডিও নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “নিজের আরাম আয়েশ ফুর্তির জন্য বিশাল বহুল কক্ষ বানিয়েছেন মানলাম কিন্তু সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কি দরকার ছিল চাচা”।

সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ” জনপ্রতিনিধির মতো পবিত্র দায়িত্বে থেকে জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান যে কান্ড ঘটিয়েছেন, তা সত্যিই নেক্কারজনক। ভিডিও ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে নৈরাজ্য চালানো আওয়ামী লীগের নেতাদের অবক্ষয় হওয়া নষ্ট চরিত্রের প্রমাণ।”

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর হামলা সহ বিভিন্ন অভিযোগে এসএম ছৈয়দ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

এসএম ছৈয়দ আলম (জি.আর ৪৩/২০২৫, ৫৫/২০২৫, ৭১/২০২৫)  তিনটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসাইন।

স্থানীয় সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এলাকায় অবস্থান করলেও গত দুই মাস ধরে এস এম ছৈয়দ আলম পলাতক রয়েছেন।

ভিডিও প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে তার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সূত্র – দৈনিক আমার দেশ