ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ নিয়ে ব্যবস্থার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চকরিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেলো ট্রাক, চালক-হেলপার আহত শহরের শীর্ষ ছিনতাইকারী সাগর বাদশা ও সিহাব আটক রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু : দূর্ঘটনা নাকি আত্নহত্যা! তদন্তে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন স্থল নিম্নচাপ আরসা থেকে বের হয়ে নতুন করে সক্রিয় ‘হালিম গ্রুপ’ আরসা থেকে বের হয়ে নতুন করে সক্রিয় ‘হালিম গ্রুপ’ পক্ষপাতদুষ্ট’ হওয়ায় খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের তালিকা বাতিল আরাকানে রোহিঙ্গা-রাখাইন সম্প্রীতি ফেরাতে চেয়েছিলো ‘হয়রাতি সংগঠন’ জনগণ সচেতন হলে মব চাঁদাবাজি হবেনা- কক্সবাজারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশী অস্ত্রের কেনাবেচা করছে নবী হোসেন গ্রুপ’ “অবদান কখনো টাকা দিয়ে পোষানো যাবেনা” ১ দিনের সফরে সোমবার কক্সবাজার আসছেন ২ উপদেষ্টা “অরিত্র কোথায়? সে ফোন করে বলুক-বাবা আমি বেঁচে আছি” দৃশ্যমাধ্যম সমাজের উদ্যোগে ‘কইলজ্যা কাঁপানো ৩৬ দিন’

নামে-বেনামে প্রকল্প সাজিয়ে অনিয়ম করেন কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা!

  • আবুল কাশেম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • 974

কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এসএমএ করিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র ও সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তিনি টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্প থেকে নিয়মিত কমিশন আদায় করছেন।

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে নামে-বেনামে প্রকল্প দেখিয়ে টিআর ও কাবিখা-কাবিটা টাকা উত্তোলন করেছে। এসব প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের। কয়েকটি প্রকল্পের সভাপতি সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের সাথে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এসএমএ করিম তাদের না জানিয়ে প্রকল্পের সভাপতি করেন। হঠাৎ ফোন করে পিআইও অফিসে আসতে বলেন। আগে থেকে তৈরি করা কমিটিতে স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে পিআইও নিয়ে নেন বলে জানান।

এছাড়া ইউপি সদস্যদের নামে দেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের প্রথম ধাপের বরাদ্দ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৭ থেকে ১০ পার্সেন্ট।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়মিত অফিস না করে বাসায় বসেই প্রকল্পের ফাইল অনুমোদন করেন। তিনি গত ১০ অক্টোবর কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে নিয়মিত অফিসে না এসে বাসায় অফিসের কাজ করেন।

তাঁর বিরুদ্ধে অফিস ও বাসায় মাদকসেবনের অভিযোগ রয়েছে, রমজান মাসেও অফিসে বসে মাদকসেবন করেন।

বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিটিএনকে জানান, বিভিন্ন কারণে পিআইও কাছে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায় না, আসলেও অফিসে বসে সবার সামনে তিনি সিগারেট খান, সমসময় মাদকসেবিদের মত আচরণ করেন তিনি।

গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এসএমএ করিম সরকারি নানা কর্মসূচিতে তার অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। কুতুবদিয়ায় অবস্থান করেও স্বাধীনতা দিবসের মত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ না করার অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পিআইও অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরেছে স্থানীয়রা।

জেএম তারেক জিয়া নামে একজন লিখেছেন, পুরাতন প্রকল্পকে নতুন দেখিয়ে কুতুবদিয়া পিআইও অফিস লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছে এসব প্রকল্পে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বাদ জায়নি। তিনি এসব অনিয়ম তদন্ত করে পিআইও’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য পিআইও এসএমএ করিমের ব্যবহারিক মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, “অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত অফিস করা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। মাদকসেবনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ট্যাগ :

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ নিয়ে ব্যবস্থার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

This will close in 6 seconds

নামে-বেনামে প্রকল্প সাজিয়ে অনিয়ম করেন কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা!

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এসএমএ করিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র ও সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তিনি টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্প থেকে নিয়মিত কমিশন আদায় করছেন।

২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে নামে-বেনামে প্রকল্প দেখিয়ে টিআর ও কাবিখা-কাবিটা টাকা উত্তোলন করেছে। এসব প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের। কয়েকটি প্রকল্পের সভাপতি সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের সাথে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এসএমএ করিম তাদের না জানিয়ে প্রকল্পের সভাপতি করেন। হঠাৎ ফোন করে পিআইও অফিসে আসতে বলেন। আগে থেকে তৈরি করা কমিটিতে স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে পিআইও নিয়ে নেন বলে জানান।

এছাড়া ইউপি সদস্যদের নামে দেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের প্রথম ধাপের বরাদ্দ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৭ থেকে ১০ পার্সেন্ট।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়মিত অফিস না করে বাসায় বসেই প্রকল্পের ফাইল অনুমোদন করেন। তিনি গত ১০ অক্টোবর কুতুবদিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে নিয়মিত অফিসে না এসে বাসায় অফিসের কাজ করেন।

তাঁর বিরুদ্ধে অফিস ও বাসায় মাদকসেবনের অভিযোগ রয়েছে, রমজান মাসেও অফিসে বসে মাদকসেবন করেন।

বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিটিএনকে জানান, বিভিন্ন কারণে পিআইও কাছে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায় না, আসলেও অফিসে বসে সবার সামনে তিনি সিগারেট খান, সমসময় মাদকসেবিদের মত আচরণ করেন তিনি।

গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এসএমএ করিম সরকারি নানা কর্মসূচিতে তার অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। কুতুবদিয়ায় অবস্থান করেও স্বাধীনতা দিবসের মত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ না করার অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পিআইও অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরেছে স্থানীয়রা।

জেএম তারেক জিয়া নামে একজন লিখেছেন, পুরাতন প্রকল্পকে নতুন দেখিয়ে কুতুবদিয়া পিআইও অফিস লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছে এসব প্রকল্পে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বাদ জায়নি। তিনি এসব অনিয়ম তদন্ত করে পিআইও’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য পিআইও এসএমএ করিমের ব্যবহারিক মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, “অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত অফিস করা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। মাদকসেবনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”