ঢাকা ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জেলা প্রশাসনের কর্মচারী নজরুল ইসলাম আর নেই: মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জানাজা ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে ৫ দিন বৃষ্টির আভাস টেকনাফ পাহাড়ে পাচারকারীদের হাতে জিম্মি ২২ নারী-পুরুষ উদ্ধার ভুয়া কাগজে জমি দখলের চেষ্টা, আদালত রায় দিলো প্রকৃত মালিকের পক্ষে পেকুয়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩ সাগরে ঘূর্ণিঝড় মোনথা, ২ নম্বর সংকেত সাংবাদিক আব্দুল আজিজের পিতৃবিয়োগ: জানাজা বাদ মাগরিব পেকুয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অনলাইন জুয়ার ২ এজেন্ট আটক উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে দ্রুত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন চায় শিবির টেকনাফে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে আটক-১ সাংবাদিক হাফিজের বাবার জানাজা সোমবার সকাল ১০ টায় সাংবাদিক হাফিজের বাবার ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক “গোলদীঘিতে ধরা পড়া কাতলা মাছটি ১১ কেজি নয়, প্রকৃত ওজন ৬ কেজি” আসছে “মন্থা”, কক্সবাজারে বৃষ্টি

নবজাতক মেয়েশিশুর কানে কি আজান দিতে হবে?

সন্তান জন্মের পর সন্তানের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নাতি হাসানের কানে আজান দিয়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আবু রাফে (রা.) বলেন,

رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ أَذّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصّلَاةِ.

আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাসান বিন আলি (রা.) জন্মগ্রহণ করার পর তার কানে নামাজের আজানের মত আজান দিতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১০৫)।

বিখ্যাত হাদিস ব্যাখ্যাকার মোল্লা আলি কারি (রহ.) এ হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন, এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নবজাতকের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। (মিরকাতুল মাফাতিহ: ৮/৮১)

এ ছাড়া কিছু হাদিসে ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই আলেমরা নবজাতকের ডান কানে আজান দেওয়ার পাশাপাশি বাম কানে ইকামত দেওয়াও মুস্তাহাব বলেছেন।

আজান-ইকামতের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য নেই। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই জন্মের পর কানে আজান-ইকামত দেওয়া সুন্নত। অনেকে ছেলে হলে কানে আজান-ইকামত দেয়, মেয়ে হলে দেয় না বা শুধু আজান দেয় ইকামত দেয় না। এটা ঠিক নয়। ছেলে ও মেয়ে সন্তান উভয়ের ক্ষেত্রেই ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে হবে।

নবজাতকের কানে নামাজের আজানের মতোই আজান দিতে হবে। আজানের সব বাক্য উচ্চারণ করতে হবে। হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ বলার সময় নামাজের আজানের মতোই চেহারা ডানে-বামে ঘোরানো উত্তম।

পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নবজাতক শিশুর কানে আজান দিতে পারেন। এই আজানের মাধ্যমে মানুষকে নামাজের দিকে ডাকা হয় না, তাই অনেক বেশি উচ্চৈস্বরে এ আজান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নারীরা নিচু স্বরে শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ওই নারীর হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র থাকা জরুরী।

সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর মসজিদে আজান হলেও নবজাতকের কানে পৃথকভাবে আজান দেওয়া সুন্নত। কারণ এটি একটি স্বতন্ত্র সুন্নত, মসজিদের আজানের মাধ্যমে এ সুন্নত আদায় হবে না।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

জেলা প্রশাসনের কর্মচারী নজরুল ইসলাম আর নেই: মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জানাজা

This will close in 6 seconds

নবজাতক মেয়েশিশুর কানে কি আজান দিতে হবে?

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সন্তান জন্মের পর সন্তানের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নাতি হাসানের কানে আজান দিয়েছেন বলে বর্ণিত হয়েছে। আবু রাফে (রা.) বলেন,

رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ أَذّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصّلَاةِ.

আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাসান বিন আলি (রা.) জন্মগ্রহণ করার পর তার কানে নামাজের আজানের মত আজান দিতে দেখেছি। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১০৫)।

বিখ্যাত হাদিস ব্যাখ্যাকার মোল্লা আলি কারি (রহ.) এ হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন, এই হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নবজাতকের কানে আজান দেওয়া সুন্নত। (মিরকাতুল মাফাতিহ: ৮/৮১)

এ ছাড়া কিছু হাদিসে ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই আলেমরা নবজাতকের ডান কানে আজান দেওয়ার পাশাপাশি বাম কানে ইকামত দেওয়াও মুস্তাহাব বলেছেন।

আজান-ইকামতের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য নেই। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই জন্মের পর কানে আজান-ইকামত দেওয়া সুন্নত। অনেকে ছেলে হলে কানে আজান-ইকামত দেয়, মেয়ে হলে দেয় না বা শুধু আজান দেয় ইকামত দেয় না। এটা ঠিক নয়। ছেলে ও মেয়ে সন্তান উভয়ের ক্ষেত্রেই ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে হবে।

নবজাতকের কানে নামাজের আজানের মতোই আজান দিতে হবে। আজানের সব বাক্য উচ্চারণ করতে হবে। হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ বলার সময় নামাজের আজানের মতোই চেহারা ডানে-বামে ঘোরানো উত্তম।

পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নবজাতক শিশুর কানে আজান দিতে পারেন। এই আজানের মাধ্যমে মানুষকে নামাজের দিকে ডাকা হয় না, তাই অনেক বেশি উচ্চৈস্বরে এ আজান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নারীরা নিচু স্বরে শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ওই নারীর হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র থাকা জরুরী।

সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর মসজিদে আজান হলেও নবজাতকের কানে পৃথকভাবে আজান দেওয়া সুন্নত। কারণ এটি একটি স্বতন্ত্র সুন্নত, মসজিদের আজানের মাধ্যমে এ সুন্নত আদায় হবে না।