ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ২ মাস ইসির প্রতীক থেকে নৌকা বাদ দিতে বললো এনসিপি মহিলাদের রাজনৈতিক শক্তিশালী করা না গেলে পিছিয়ে যাবে দেশ- রামুতে সাবেক এমপি কাজল পরীক্ষা ছাড়া ৬৫ চিকিৎসক নিয়োগ শিশু হাসপাতালে বিদ্রোহীদের হামলার মুখে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেল মিয়ানমারের ১০০ সেনা চাপাতি ধরে ফোন-মানিব্যাগ-ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে গায়ের জামা-জুতাও নিল ছিনতাইকারীরা সিইসির সঙ্গে বৈঠকে পাটোয়ারী-হাসনাত-সারজিসরা পুলিশের অসহযোগীতার অভিযোগ ভুক্তভোগীর ডাকাত শাহীনের ‘ক্যাশিয়ার’ ইকবালসহ র‍‍্যাবের হাতে দু’জন গ্রেফতার এসএসসিতে সাফল্য ধরে রেখেছে কুতুবদিয়া মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ পায়ুপথে ইয়াবা পাচার: বিএনপি নেতা আটক পাঁচ পুলিশ সদস্য ক্লোজড “আমার ছেলেটা বুকে ফিরে আসুক” উখিয়ার ইউপি সদস্য কামাল হত্যা: বিএনপি নেতাসহ ৮ জনের নামে হত্যা মামলা উখিয়ায় দোকানদার কর্তৃক নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি, থানায় মামলা

ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ ২২ অঙ্গরাজ্যের

৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারে কড়া বিধিনিষেধ আরোপের নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত ২২টি অঙ্গরাজ্য ও নাগরিক অধিকার সংগঠন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে আইনি উপায়ে মোকাবিলা করতে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেল তার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছেন, অভিবাসনের ওপর ট্রাম্পের কঠোরতা হ্রাস করতে এসব মামলা করা হয়েছে। তার আদেশ বাস্তবায়িত হলে আধুনিক মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবার বছরে দেড় লাখ শিশু নাগরিকত্ব বঞ্চিত হবে।

ক্যাম্পবেল বলেছেন, কারও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেই।

সোমবার হোয়াইট হাউজের মসনদে বসেই নির্বাহী আদেশ দেওয়া ঝড় তোলেন ট্রাম্প। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, কোনও শিশুর বাবা বা মা কেউই যদি মার্কিন নাগরিক না হন বা বসবাসের বৈধ অনুমতি না থাকে, তবে ওই শিশুকে নাগরিকত্ব প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিষেধা করা হচ্ছে।

তার এই আদেশকে মার্কিন সংবিধানের লঙ্ঘন বলে বোস্টন ও সিয়াটলের ফেডারেল আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেছে ওয়াশিংটন ডিসি, সিটি অব স্যান ফ্র্যানসিসকো এবং ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন ২২টি অঙ্গরাজ্য।

এছাড়া, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন , অভিবাসী সংগঠন এবং একজন প্রসূতি মায়ের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অঙ্গরাজ্যগুলোর দাবি, নাগরিকত্ব হারালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য বিমার মতো ফেডারেল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। পরবর্তীতে দেশটিতে বৈধভাবে কাজ করা বা ভোটাধিকার প্রয়োগ করাও সম্ভব হবে না।
নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্ল্যাটকিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের দেশের বসবাসকারীদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় তাদের পাশে আমরা সবসময় আছি। এই মামলাগুলোর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আমরা সুস্পষ্টভাবে তা জানিয়ে দিতে চাই।

মামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউজের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তাদের দিক থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

ডেমোক্র্যাট প্রধান অঙ্গরাজ্য ও অধিকার সংস্থাগুলো ট্রাম্পের বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা নিয়ে আরও মামলা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের রাশ টেনে ধরতে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির কার্যক্রম ও সরকারি কর্মচারীদের চাকরির সুরক্ষা হ্রাসকরণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

 

ট্যাগ :

সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ২ মাস

This will close in 6 seconds

ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ ২২ অঙ্গরাজ্যের

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারে কড়া বিধিনিষেধ আরোপের নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত ২২টি অঙ্গরাজ্য ও নাগরিক অধিকার সংগঠন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে আইনি উপায়ে মোকাবিলা করতে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেল তার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছেন, অভিবাসনের ওপর ট্রাম্পের কঠোরতা হ্রাস করতে এসব মামলা করা হয়েছে। তার আদেশ বাস্তবায়িত হলে আধুনিক মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবার বছরে দেড় লাখ শিশু নাগরিকত্ব বঞ্চিত হবে।

ক্যাম্পবেল বলেছেন, কারও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেই।

সোমবার হোয়াইট হাউজের মসনদে বসেই নির্বাহী আদেশ দেওয়া ঝড় তোলেন ট্রাম্প। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, কোনও শিশুর বাবা বা মা কেউই যদি মার্কিন নাগরিক না হন বা বসবাসের বৈধ অনুমতি না থাকে, তবে ওই শিশুকে নাগরিকত্ব প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিষেধা করা হচ্ছে।

তার এই আদেশকে মার্কিন সংবিধানের লঙ্ঘন বলে বোস্টন ও সিয়াটলের ফেডারেল আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেছে ওয়াশিংটন ডিসি, সিটি অব স্যান ফ্র্যানসিসকো এবং ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন ২২টি অঙ্গরাজ্য।

এছাড়া, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন , অভিবাসী সংগঠন এবং একজন প্রসূতি মায়ের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অঙ্গরাজ্যগুলোর দাবি, নাগরিকত্ব হারালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য বিমার মতো ফেডারেল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। পরবর্তীতে দেশটিতে বৈধভাবে কাজ করা বা ভোটাধিকার প্রয়োগ করাও সম্ভব হবে না।
নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্ল্যাটকিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের দেশের বসবাসকারীদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় তাদের পাশে আমরা সবসময় আছি। এই মামলাগুলোর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আমরা সুস্পষ্টভাবে তা জানিয়ে দিতে চাই।

মামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউজের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তাদের দিক থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

ডেমোক্র্যাট প্রধান অঙ্গরাজ্য ও অধিকার সংস্থাগুলো ট্রাম্পের বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা নিয়ে আরও মামলা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের রাশ টেনে ধরতে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির কার্যক্রম ও সরকারি কর্মচারীদের চাকরির সুরক্ষা হ্রাসকরণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন