ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ নিয়ে ব্যবস্থার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চকরিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেলো ট্রাক, চালক-হেলপার আহত শহরের শীর্ষ ছিনতাইকারী সাগর বাদশা ও সিহাব আটক রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু : দূর্ঘটনা নাকি আত্নহত্যা! তদন্তে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন স্থল নিম্নচাপ আরসা থেকে বের হয়ে নতুন করে সক্রিয় ‘হালিম গ্রুপ’ আরসা থেকে বের হয়ে নতুন করে সক্রিয় ‘হালিম গ্রুপ’ পক্ষপাতদুষ্ট’ হওয়ায় খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের তালিকা বাতিল আরাকানে রোহিঙ্গা-রাখাইন সম্প্রীতি ফেরাতে চেয়েছিলো ‘হয়রাতি সংগঠন’ জনগণ সচেতন হলে মব চাঁদাবাজি হবেনা- কক্সবাজারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশী অস্ত্রের কেনাবেচা করছে নবী হোসেন গ্রুপ’ “অবদান কখনো টাকা দিয়ে পোষানো যাবেনা” ১ দিনের সফরে সোমবার কক্সবাজার আসছেন ২ উপদেষ্টা “অরিত্র কোথায়? সে ফোন করে বলুক-বাবা আমি বেঁচে আছি” দৃশ্যমাধ্যম সমাজের উদ্যোগে ‘কইলজ্যা কাঁপানো ৩৬ দিন’
বিজয় দিবস হাফ ম্যারাথন'২৪

‘চাইর নম্বর পাইয়ি আঁরা ফোঁয়াতি জামাই-বউয়ে’

ভোরের আলো ফুটতেই পাহাড়ের সবুজ মেখে মেরিন ড্রাইভের পিচঢালা রাস্তা ধরে দৌঁড়াচ্ছেন তরুণরা। এর এক পাশে দিগন্ত ছোঁয়া নীল জলের বিশাল সমুদ্রের হাওয়া মেখে যাচ্ছে শরীরে। এমন দৃশ্যই ছিলো শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে।

উপলক্ষ ছিলো বিজয় দিবস হাফ ম্যারাথন। যার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

শনিবার ভোরে সমুদ্রের কূল ঘেঁষে যাওয়া কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের দরিয়া নগর থেকে শুরু হয়ে ইনানী পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দূরত্বের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ৩শতাধিক দেশী বিদেশী প্রতিযোগী।

ভিন্ন আঙ্গিকের এই প্রতিযোগিতা ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিলো অংশগ্রহণকারীদের। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া সেনাবাহিনীর কর্মীরা জানান, সমুদ্র দেখে ২১ কিলোমিটার দৌড়ে তারা খুবই আনন্দিত।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা অংশগ্রহণকারীরা জানালেন এক পাশে পাহাড় অন্যপাশে সমুদ্র এমন মনোরম দৃশ্য দেখে দৌড়ানোর অনুভূতি। প্রকৃতির সাথে নান্দনিক পরিবেশে এমন আয়োজন অসাধারণ।

কক্সবাজারে কাজের সুবাদে বাস করা আমেরিকান এক দম্পতি অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। তারা কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষাও আয়ত্তে আনেন অনেকটা। তাদের মধ্যে স্ত্রী বলেন, “আঁরা জামাই বউয়ে এন সুন্দর রাস্তাত হারা হারা দুইজ্জি। চাইর নম্বর পাইয়ি ফোয়াতি। আততু বেশি গম লাইজ্ঞে এডে দুরিয়ারে।” ( আমরা স্বামী স্ত্রী এমন সুন্দর রাস্তায় তাড়াতাড়ি দোড়াইছি। চার নম্বর হয়েছি একসাথে। আমার ভালো লেগেছে এখানে দৌড়ে।)

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম ফিনিস লাইন অতিক্রম করে মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিনি ঢাকা থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন আশরাফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম।এসময় তিনি বলেন, শুধু বিজয় দিবস মেরাথনই নয়,আগামীতে এমন মনোরম পরিবেশে একটি সাইক্লিং রেস ও আরও একটি মেরাথন আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে আয়োজকরা। ২৫০০ বছর পুরোনো এই মেরাথনের সাথে সামরিক বাহিনীর সম্পৃক্ততা থেকেই আজকের এই আয়োজন।

জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ৩৯৮ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ২৪৮ জন রেসটি সম্পন্ন করেছে। সকলের সমন্বয়ে আয়োজন সফল করতে পেরে খুশি আমরা।

মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি সম্মান ও পরিবেশের প্রতি সচেতনতা তৈরি করতেই এমন আয়োজন। যার উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

ম্যারাথনের সবচেয়ে উপভোগ্য ছিলো সাগরের গর্জনের সাথে হিমেল হাওয়া মেখে শরীর মিলিয়ে দেয়া প্রকৃতির মাঝে, এমনটাই অভিমত অংশগ্রহণকারীদের।

ট্যাগ :

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ নিয়ে ব্যবস্থার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

This will close in 6 seconds

বিজয় দিবস হাফ ম্যারাথন'২৪

‘চাইর নম্বর পাইয়ি আঁরা ফোঁয়াতি জামাই-বউয়ে’

আপডেট সময় : ১১:০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ভোরের আলো ফুটতেই পাহাড়ের সবুজ মেখে মেরিন ড্রাইভের পিচঢালা রাস্তা ধরে দৌঁড়াচ্ছেন তরুণরা। এর এক পাশে দিগন্ত ছোঁয়া নীল জলের বিশাল সমুদ্রের হাওয়া মেখে যাচ্ছে শরীরে। এমন দৃশ্যই ছিলো শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে।

উপলক্ষ ছিলো বিজয় দিবস হাফ ম্যারাথন। যার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

শনিবার ভোরে সমুদ্রের কূল ঘেঁষে যাওয়া কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের দরিয়া নগর থেকে শুরু হয়ে ইনানী পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দূরত্বের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ৩শতাধিক দেশী বিদেশী প্রতিযোগী।

ভিন্ন আঙ্গিকের এই প্রতিযোগিতা ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিলো অংশগ্রহণকারীদের। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া সেনাবাহিনীর কর্মীরা জানান, সমুদ্র দেখে ২১ কিলোমিটার দৌড়ে তারা খুবই আনন্দিত।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা অংশগ্রহণকারীরা জানালেন এক পাশে পাহাড় অন্যপাশে সমুদ্র এমন মনোরম দৃশ্য দেখে দৌড়ানোর অনুভূতি। প্রকৃতির সাথে নান্দনিক পরিবেশে এমন আয়োজন অসাধারণ।

কক্সবাজারে কাজের সুবাদে বাস করা আমেরিকান এক দম্পতি অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। তারা কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষাও আয়ত্তে আনেন অনেকটা। তাদের মধ্যে স্ত্রী বলেন, “আঁরা জামাই বউয়ে এন সুন্দর রাস্তাত হারা হারা দুইজ্জি। চাইর নম্বর পাইয়ি ফোয়াতি। আততু বেশি গম লাইজ্ঞে এডে দুরিয়ারে।” ( আমরা স্বামী স্ত্রী এমন সুন্দর রাস্তায় তাড়াতাড়ি দোড়াইছি। চার নম্বর হয়েছি একসাথে। আমার ভালো লেগেছে এখানে দৌড়ে।)

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম ফিনিস লাইন অতিক্রম করে মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিনি ঢাকা থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন আশরাফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম।এসময় তিনি বলেন, শুধু বিজয় দিবস মেরাথনই নয়,আগামীতে এমন মনোরম পরিবেশে একটি সাইক্লিং রেস ও আরও একটি মেরাথন আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে আয়োজকরা। ২৫০০ বছর পুরোনো এই মেরাথনের সাথে সামরিক বাহিনীর সম্পৃক্ততা থেকেই আজকের এই আয়োজন।

জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ৩৯৮ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ২৪৮ জন রেসটি সম্পন্ন করেছে। সকলের সমন্বয়ে আয়োজন সফল করতে পেরে খুশি আমরা।

মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি সম্মান ও পরিবেশের প্রতি সচেতনতা তৈরি করতেই এমন আয়োজন। যার উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

ম্যারাথনের সবচেয়ে উপভোগ্য ছিলো সাগরের গর্জনের সাথে হিমেল হাওয়া মেখে শরীর মিলিয়ে দেয়া প্রকৃতির মাঝে, এমনটাই অভিমত অংশগ্রহণকারীদের।