ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রোহিঙ্গাদের ‘খাদ্য বরাদ্দ’ কমাবে না বিশ্ব খাদ্য সংস্থা!- আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা আরসা প্রধান আতাউল্লাহ : আরাকানে উত্থান, রহস্যে ঘেরা যত কর্মকান্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দোয়া কবুল হয় সিগারেটে কর বাড়ছে না আগামী বাজেটে ইফতারে তরমুজের পুডিং তৈরির রেসিপি সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা পুলিশের কল্যাণে ৫ সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ রোহিঙ্গা ইস্যু ঘিরে তৎপর বড় মাঠের ‘খেলোয়াড়’ বাংলাদেশ জমি দখলে নিতেই ‘পাহাড়তলীর মুজিবকে’ হত্যা – মানববন্ধনে স্থানীয়রা টেকনাফ সীমান্তের ওপারে ফের বিস্ফোরণ: কেঁপে উঠল এপার নাটক সাজিয়ে টেকনাফে সাংবাদিকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ কেনো উখিয়ায় বিএনপির পদ হারালেন দুই নেতা? ‘গ্র‍্যান্ড ইফতারে’ উপস্থিত থাকবেন প্যালেস্টাইনের নাগরিক, সংহতি জানাতে আসবেন বরেণ্য আলোকচিত্রী শহীদুল

কানাডার হোটেলে বাংলাদেশি নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, ১৫ দিনেও মেলেনি তথ্য

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • 197

কানাডার সাসস্কাচিয়েন অঙ্গরাজ্যের সাসস্কাটন শহরের ‘হেরিটেজ ইন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন’ সেন্টারের এক বাংলাদেশি নারী কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনও তথ্য জানাতে পারেনি দেশটির পুলিশ।

গত ১৫ অক্টোবর কানাডার সাসস্কাটন শহরের ওই হোটেলের নিচ থেকে নন্দিতা ভট্টাচার্য মুনমুন নামে বাংলাদেশি নারীর লাশ উদ্ধার করে সাসস্কাটন পুলিশ সার্ভিস। তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকার সাবেক কমিশনার বলাই ভট্টাচার্যের তৃতীয় সন্তান অনুপ ভট্টাচার্যের স্ত্রী।

মুনমুন প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের শ্রীমঙ্গল শাখায় একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালে জুন মাসের দিকে সপরিবারে উন্নত জীবনযাপনের লক্ষ্যে কানাডার সাসস্কাচিয়েন অঙ্গরাজ্যের সাসস্কাটন শহরে অভিবাসন নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই কর্মজীবী ছিলেন।

অনুপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তার স্ত্রী নন্দিতা ভট্টাচার্য মুনমুন সাসকাটন শহরের হেরিটেজ ইন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন অনুপ ভট্টাচার্য তার স্ত্রীকে সকালে গাড়ি করে নিয়ে পৌঁছে দেন। বিকাল ৪টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য সেখানে যান।

ওইদিন প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাকে মোবাইলে বারবার কল দেওয়ার পর হোটেল থেকে পুলিশ অফিসার তার স্ত্রীর মোবাইল নিয়ে এসে তাকে দিয়ে বলেন যে, তার স্ত্রী আর নেই। কিন্তু কখন, কীভাবে ছাদের উপরে গিয়ে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন তা পুলিশ জানাতে পারেনি। কোনও সাক্ষী নেই, সিসিটিভি ফুটেজ নেই ও তার পার্সে থাকা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডগুলোও নেই, জানান অনুপ।

ঘটনার দিন স্টোর রুম পর্যন্ত তাকে ( মুনমুন) যেতে সিসিটিভি ফুটে গিয়ে দেখা গেছে। এরপর আর দেখা যায়নি। এমনকি ছাদে গিয়ে নিচে পড়া পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে খবর পাওয়া গেছে। ছয়তলা বিশিষ্ট হোটেলটির ছাদে গিয়ে উপর থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জানা গেছে যে, কানাডা বা পাশ্চাত্য দেশের আইন অনুযায়ী হোটেলের ছাদে ওঠার কোনও আইন নেই। পুরো হোটেল সিসিটিভির আওতাধীন ও সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ফুটেজ মনিটরিং করা পলিসি রয়েছে। ছাদে ওঠার চাবিও ছিল মেনটেনেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, মুনমুন কীভাবে, কার কাছ থেকে চাবি নিয়ে গিয়ে ছাদের উপর থেকে পরে মৃত্যুবরণ করলেন। ফলে ঘটনার পেছনে গভীর, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও রহস্য লুকিয়ে আছে বলে মনে করছে তার পরিবার।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

কানাডার হোটেলে বাংলাদেশি নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, ১৫ দিনেও মেলেনি তথ্য

আপডেট সময় : ১১:১৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

কানাডার সাসস্কাচিয়েন অঙ্গরাজ্যের সাসস্কাটন শহরের ‘হেরিটেজ ইন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন’ সেন্টারের এক বাংলাদেশি নারী কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনও তথ্য জানাতে পারেনি দেশটির পুলিশ।

গত ১৫ অক্টোবর কানাডার সাসস্কাটন শহরের ওই হোটেলের নিচ থেকে নন্দিতা ভট্টাচার্য মুনমুন নামে বাংলাদেশি নারীর লাশ উদ্ধার করে সাসস্কাটন পুলিশ সার্ভিস। তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকার সাবেক কমিশনার বলাই ভট্টাচার্যের তৃতীয় সন্তান অনুপ ভট্টাচার্যের স্ত্রী।

মুনমুন প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের শ্রীমঙ্গল শাখায় একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালে জুন মাসের দিকে সপরিবারে উন্নত জীবনযাপনের লক্ষ্যে কানাডার সাসস্কাচিয়েন অঙ্গরাজ্যের সাসস্কাটন শহরে অভিবাসন নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই কর্মজীবী ছিলেন।

অনুপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তার স্ত্রী নন্দিতা ভট্টাচার্য মুনমুন সাসকাটন শহরের হেরিটেজ ইন হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন অনুপ ভট্টাচার্য তার স্ত্রীকে সকালে গাড়ি করে নিয়ে পৌঁছে দেন। বিকাল ৪টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য সেখানে যান।

ওইদিন প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাকে মোবাইলে বারবার কল দেওয়ার পর হোটেল থেকে পুলিশ অফিসার তার স্ত্রীর মোবাইল নিয়ে এসে তাকে দিয়ে বলেন যে, তার স্ত্রী আর নেই। কিন্তু কখন, কীভাবে ছাদের উপরে গিয়ে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন তা পুলিশ জানাতে পারেনি। কোনও সাক্ষী নেই, সিসিটিভি ফুটেজ নেই ও তার পার্সে থাকা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডগুলোও নেই, জানান অনুপ।

ঘটনার দিন স্টোর রুম পর্যন্ত তাকে ( মুনমুন) যেতে সিসিটিভি ফুটে গিয়ে দেখা গেছে। এরপর আর দেখা যায়নি। এমনকি ছাদে গিয়ে নিচে পড়া পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে খবর পাওয়া গেছে। ছয়তলা বিশিষ্ট হোটেলটির ছাদে গিয়ে উপর থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জানা গেছে যে, কানাডা বা পাশ্চাত্য দেশের আইন অনুযায়ী হোটেলের ছাদে ওঠার কোনও আইন নেই। পুরো হোটেল সিসিটিভির আওতাধীন ও সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ফুটেজ মনিটরিং করা পলিসি রয়েছে। ছাদে ওঠার চাবিও ছিল মেনটেনেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, মুনমুন কীভাবে, কার কাছ থেকে চাবি নিয়ে গিয়ে ছাদের উপর থেকে পরে মৃত্যুবরণ করলেন। ফলে ঘটনার পেছনে গভীর, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ও রহস্য লুকিয়ে আছে বলে মনে করছে তার পরিবার।