ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক ইকবাল হত্যায় মামলা দায়ের জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর টেকনাফে অপহরণকারীদের সাথে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি: গুলিবিদ্ধ এক সুফি/কাওয়ালী সংগীত বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু কক্সবাজার শিল্পকলায় ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজার সিটি কলেজে ছাত্রদলের মানববন্ধন ডিসি নিয়োগ ও বই ছাপানোয় অনিয়মের অভিযোগ: এনসিপি থেকে তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি উখিয়া কলেজের শিক্ষক ইকবালের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের তালিকা প্রকাশ প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল আমরা চীনের খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক নিশানের পিতার মৃত্যুতে রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার’র শোক হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’ পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে এবার গ্রেপ্তার দেখানো হল হত্যা মামলায় বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর তিনবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না কেউ

কলেরার প্রকোপ কমাতে টিকা কার্যক্রম শুরু, দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ১৩ লাখ টিকা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং আশপাশের এলাকায় কলেরা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘ওরাল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ সাম্প্রতিক সময়ে কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠী সহ অংশীজনদের সহযোগিতায় বৃহৎ এই ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির, উখিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা, রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো হবে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন। যাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৯৭ জন।

২১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ১ হাজার ৬০৫টি দলে বিভক্ত হয়ে ৩ হাজার ২১০ জন স্বেচ্ছাসেবী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন খাওয়াবেন। পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিদের জন্য ২৭২টি দলের ৭৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দেবেন।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, ‘জেলায় এখন পর্যন্ত কলেরা শনাক্ত হওয়া রোগীদের কেউ মারা যায়নি, সবাই সুস্থ আছে।’

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ইউভিকল এবং ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার এই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এই টিকা দেওয়া সম্ভব। তবে গর্ভবতী নারী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে না।

কারও কারও এই টিকা খাওয়ার পর অল্প অল্প বমিভাব, পেটব্যাথা, ডায়রিয়াসহ অন্য সমস্যা হতে পারে, তবে তা দ্রুত সেরে যাবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষক ইকবাল হত্যায় মামলা দায়ের

This will close in 6 seconds

কলেরার প্রকোপ কমাতে টিকা কার্যক্রম শুরু, দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ১৩ লাখ টিকা

আপডেট সময় : ০২:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এবং আশপাশের এলাকায় কলেরা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় শুরু হয়েছে টিকা কার্যক্রম।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘ওরাল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ সাম্প্রতিক সময়ে কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠী সহ অংশীজনদের সহযোগিতায় বৃহৎ এই ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির, উখিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা, রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো হবে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন। যাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৯৭ জন।

২১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ১ হাজার ৬০৫টি দলে বিভক্ত হয়ে ৩ হাজার ২১০ জন স্বেচ্ছাসেবী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন খাওয়াবেন। পাশাপাশি স্থানীয় বাংলাদেশিদের জন্য ২৭২টি দলের ৭৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দেবেন।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, ‘জেলায় এখন পর্যন্ত কলেরা শনাক্ত হওয়া রোগীদের কেউ মারা যায়নি, সবাই সুস্থ আছে।’

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ইউভিকল এবং ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার এই টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এই টিকা দেওয়া সম্ভব। তবে গর্ভবতী নারী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে না।

কারও কারও এই টিকা খাওয়ার পর অল্প অল্প বমিভাব, পেটব্যাথা, ডায়রিয়াসহ অন্য সমস্যা হতে পারে, তবে তা দ্রুত সেরে যাবে বলে জানান তিনি।