ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক ইকবাল হত্যায় মামলা দায়ের জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর টেকনাফে অপহরণকারীদের সাথে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি: গুলিবিদ্ধ এক সুফি/কাওয়ালী সংগীত বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু কক্সবাজার শিল্পকলায় ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজার সিটি কলেজে ছাত্রদলের মানববন্ধন ডিসি নিয়োগ ও বই ছাপানোয় অনিয়মের অভিযোগ: এনসিপি থেকে তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি উখিয়া কলেজের শিক্ষক ইকবালের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের তালিকা প্রকাশ প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল আমরা চীনের খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক নিশানের পিতার মৃত্যুতে রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার’র শোক হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’ পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে এবার গ্রেপ্তার দেখানো হল হত্যা মামলায় বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর তিনবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না কেউ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৭০ কাছিমের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৭০ টি কাছিমের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট (বরি)। কাছিমগুলো জলপাই রঙের বা অলিভ রিডলি প্রজাতির।

শনিবার, রোববার ও সোমবার (২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১ টা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের টেকনাফ থেকে হিমছড়ি সৈকতের পাড় থেকে মৃত কাছিমগুলো উদ্ধার করে বালিচাপা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া টিটিএন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষক দল শনিবার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং জিরো পয়েন্ট থেকে উখিয়ার রূপপতি এলাকা পর্যন্ত ১২টি কচ্ছপের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন রোববার রূপপতি থেকে সোনারপাড়া পর্যন্ত ৫০টি এবং প্যাঁচার দ্বীপ থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত আটটি কচ্ছপের মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।

তিনি জানান, সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় কিছু সংখ্যক কচ্ছপের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেন স্থানীয় লোকজন। এ তথ্যের ভিত্তিতে ইনস্টিটিউটের একটি গবেষক দলের সদস্যরা শনিবার সকাল থেকে সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা কচ্ছপ উপকূলে ডিম দিতে আসে। তখন অনেক কচ্ছপ জেলেদের জালে আটকে, সমুদ্রে চলাচলকারী বড় নৌযানের ধাক্কায় মারা যায়। তবে তদন্তের পর কচ্ছপগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।

তবে এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, কাছিমগুলো গেলো দুই মাসে মারা গেছে। এক দুদিনে মারা গেছে এমনটি নয়। আমরা অনেকগুলো কঙ্কাল পেয়েছি। অনেকগুলো কয়েকদিন আগেও মারা গেছে।

এদিকে প্রজনন মৌসুমে এভাবে কাছিমের মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ টিটিএন-কে বলেন, কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন এবং সোনাদিয়া দ্বীপ, টেকনাফ, সোনারপাড়া, পেঁচারদ্বীপ, হিমছড়ি এলাকায় আগে কাছিম ডিম পাড়তে আসত। এখন অনিয়ন্ত্রিত পর্যটকদের কারণে কাছিম ডিম পাড়তে আসতে পারছে না। অন্যদিকে সন্দীপ, সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া সহ বিভিন্ন উপকূলে প্রায় ২০ হাজার ট্রলার মাছ ধরতে গভীর সমুদ্র যায়। জেলেরা গভীর সাগরে ভাসমান জাল, ডুবাজাল, যন্ত্রযাপিত ট্রলার সহ ৪০/৬০ ফুট লম্বা বিহুন্দি ও লাইক্ষ্যা জাল পেতে রাখে। যেখানে কাছিম আটকে পড়ে। জেলেরা ঝামেলা এড়াতে বাঁশ, কাঠ, লোহাসহ বিভিন্ন কঠিন জিনিস দিয়ে কাছিমগুলো হত্যা করে। পরে মৃত কাছিমগুলো উপকূলে ভেসে আসে।

সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ জানান, আমরা জেলা প্রশাসন, সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং মৎস্য কর্মকর্তাদের এগুলো নিয়ে কিভাবে সমাধান করা যায় সেটির দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাব। আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর কাছিম বাঁচাতে স্মারকলিপি দেব।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষক ইকবাল হত্যায় মামলা দায়ের

This will close in 6 seconds

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৭০ কাছিমের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৮:১৯:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৭০ টি কাছিমের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট (বরি)। কাছিমগুলো জলপাই রঙের বা অলিভ রিডলি প্রজাতির।

শনিবার, রোববার ও সোমবার (২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১ টা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের টেকনাফ থেকে হিমছড়ি সৈকতের পাড় থেকে মৃত কাছিমগুলো উদ্ধার করে বালিচাপা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিমুল ভূঁইয়া টিটিএন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষক দল শনিবার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং জিরো পয়েন্ট থেকে উখিয়ার রূপপতি এলাকা পর্যন্ত ১২টি কচ্ছপের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন রোববার রূপপতি থেকে সোনারপাড়া পর্যন্ত ৫০টি এবং প্যাঁচার দ্বীপ থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত আটটি কচ্ছপের মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।

তিনি জানান, সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় কিছু সংখ্যক কচ্ছপের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেন স্থানীয় লোকজন। এ তথ্যের ভিত্তিতে ইনস্টিটিউটের একটি গবেষক দলের সদস্যরা শনিবার সকাল থেকে সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা কচ্ছপ উপকূলে ডিম দিতে আসে। তখন অনেক কচ্ছপ জেলেদের জালে আটকে, সমুদ্রে চলাচলকারী বড় নৌযানের ধাক্কায় মারা যায়। তবে তদন্তের পর কচ্ছপগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।

তবে এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জানান, কাছিমগুলো গেলো দুই মাসে মারা গেছে। এক দুদিনে মারা গেছে এমনটি নয়। আমরা অনেকগুলো কঙ্কাল পেয়েছি। অনেকগুলো কয়েকদিন আগেও মারা গেছে।

এদিকে প্রজনন মৌসুমে এভাবে কাছিমের মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ টিটিএন-কে বলেন, কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন এবং সোনাদিয়া দ্বীপ, টেকনাফ, সোনারপাড়া, পেঁচারদ্বীপ, হিমছড়ি এলাকায় আগে কাছিম ডিম পাড়তে আসত। এখন অনিয়ন্ত্রিত পর্যটকদের কারণে কাছিম ডিম পাড়তে আসতে পারছে না। অন্যদিকে সন্দীপ, সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া সহ বিভিন্ন উপকূলে প্রায় ২০ হাজার ট্রলার মাছ ধরতে গভীর সমুদ্র যায়। জেলেরা গভীর সাগরে ভাসমান জাল, ডুবাজাল, যন্ত্রযাপিত ট্রলার সহ ৪০/৬০ ফুট লম্বা বিহুন্দি ও লাইক্ষ্যা জাল পেতে রাখে। যেখানে কাছিম আটকে পড়ে। জেলেরা ঝামেলা এড়াতে বাঁশ, কাঠ, লোহাসহ বিভিন্ন কঠিন জিনিস দিয়ে কাছিমগুলো হত্যা করে। পরে মৃত কাছিমগুলো উপকূলে ভেসে আসে।

সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ জানান, আমরা জেলা প্রশাসন, সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং মৎস্য কর্মকর্তাদের এগুলো নিয়ে কিভাবে সমাধান করা যায় সেটির দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাব। আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর কাছিম বাঁচাতে স্মারকলিপি দেব।