ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজ্ঞাপনী সংস্থা কক্স এ্যাড ও ফাহিম এ্যাড এর মালিক আবছার,হারুন ও জাহেদ এর বিরুদ্ব্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ রমজানে পণ্য মূল্যের কোন ব্যত্যয় হবে না- বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন কেন নয়: হাইকোর্টের রুল যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ঘুরে দেখলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে দুদকের চিঠি দেশে ক্যানসার চিকিৎসা এখনও অপ্রতুল শাবান মাসে নফল রোজা রাখবেন যেভাবে বিপিএলে যেমন খেলছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ স্কোয়াডের ১৫ তারকা ‘চট্টল সুরাঙ্গন’- এর অভিষেক অনুষ্ঠান যেন সংস্কৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলা.. গানে-আনন্দে সত্যেন সেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর প্রীতি সম্মিলন সম্পন্ন মিয়ানমার সীমান্তে আবারো মাইন বিস্ফোরণ, যুবকের পা বিচ্ছিন্ন মহেশখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন: সভাপতি-জয়নাল, সা: সম্পাদক-জিকু পরিবেশ অপরাধে জর্জরিত পালংখালী!  সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে প্রশাসনের নাভিশ্বাস কক্সবাজারে শতাধিক মন্ডপে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা..

কক্সবাজারের পর্যটনে উৎসব! “যাত্রাপথের ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে সমুদ্র দেখে”

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে যেদিকে তাকাই সেদিকেই মানুষ আর মানুষ। হাজার হাজার মানুষের সমাগম তখন।

কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছুটছেন এদিক-সেদিক, কেউ মুঠোফোনে ছবি তোলায় ব্যস্ত। কেউ আবার দ্রুতগতির নৌযান ‘জেডস্কি’ নিয়ে ঘুরে আসছেন সমুদ্রের বিশাল জলরাশি থেকে। শীতের শুরু মানেই ভ্রমণের আনন্দ। ভ্রমণ যদি হয় নীল দিগন্ত ছুঁয়ে আর পাহাড়ের সাথে মিতালী করে! তবে তো কথায় নেই!

প্রকৃতির এমন অসাধারণ মেলবন্ধনে হারাতে মানুষ আসে কক্সবাজার। কর্মক্ষেত্রে ছুটি পেলেই ভ্রমণ পিপাসুরা আপনজনদের নিয়ে চলে আসেন সমুদ্র দর্শনে। বছরেরও শেষ। বছরের শেষ সময়ের ছুটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও। আর তাই লেখাপড়ার চাপ না থাকায় ছেলে-মেয়েদের সাথে করে পরিবার নিয়ে ছুটে আসছেন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে।

সিলেট থেকে সমুদ্র দেখতে আসা সাবিলা জানান, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র দেখার স্বপ্ন আমার অনেক পুরনো। আজ বাস্তবে এই সমুদ্রের বিশালতা দেখে আমি মুগ্ধ। গত দু’দিন সমুদ্র ঘুরে দেখেছি। যাত্রাপথের ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে সমুদ্র দেখে।

কক্সবাজারে প্রথম মধুচন্দ্রিমায় এসেছেন আরেক  নবদম্পতি।  তাঁরা জানান বিয়ের পূর্বে সমুদ্র দেখা হয়নি। ইচ্ছে ছিলো বিয়ের পর একসাথে প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে সমুদ্রের ঢেউ দেখবো। তাই প্রথম মধুচন্দ্রিমা যাপনের জন্য বেছে নিলাম সমুদ্র নগরীকে।

শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সব ঋতুতেই পর্যটন নগরী কক্সবাজার তার রূপ সৌন্দর্যের ডানা মেলে ধরে। সেই সৌন্দর্যে বিভোর হতেই এখন সারাবছর পর্যটকরা আসে সমুদ্র সৈকতে। এর ফলে দীর্ঘদিন নানা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখে থাকা পর্যটন ব্যবসায়ও কিছুটা আলোর মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন পর পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার। ডিসেম্বর মাসের প্রতিদিনই লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটছে সমুদ্র নগরীতে। অতীতের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার প্রত্যাশা করছি৷

সেন্টমার্টিন ভ্রমণের আগামী এক সপ্তাহের টিকিট বুকিংয়ের পাশাপাশি হোটেল মোটেল গুলোতেও ৮০-৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।

সমুদ্রে মানুষের আনাগোনা যতো বাড়ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে লাইফগার্ড কর্মীদের কর্মতৎপরতা। সমুদ্রের এক পয়েন্ট থেকে অন্য পয়েন্টে ছুটে যাচ্ছেন লাইফগার্ড কর্মীরা। লাইফগার্ডকর্মী মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, পর্যটকে টইটম্বুর সৈকতে যেনো অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, তাই সার্বক্ষণিক সচেষ্ট রাখা হয়েছে লাইফগার্ডকর্মীদের। সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে যেনো ঝুকিপূর্ণ স্থানে গোসলে না যায় পর্যটকরা।

এছাড়াও পর্যটকরা যেনো নির্বিঘ্নে সময় পার করতে পারে, তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিজ্ঞাপনী সংস্থা কক্স এ্যাড ও ফাহিম এ্যাড এর মালিক আবছার,হারুন ও জাহেদ এর বিরুদ্ব্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ

This will close in 6 seconds

কক্সবাজারের পর্যটনে উৎসব! “যাত্রাপথের ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে সমুদ্র দেখে”

আপডেট সময় : ১১:২৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে যেদিকে তাকাই সেদিকেই মানুষ আর মানুষ। হাজার হাজার মানুষের সমাগম তখন।

কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছুটছেন এদিক-সেদিক, কেউ মুঠোফোনে ছবি তোলায় ব্যস্ত। কেউ আবার দ্রুতগতির নৌযান ‘জেডস্কি’ নিয়ে ঘুরে আসছেন সমুদ্রের বিশাল জলরাশি থেকে। শীতের শুরু মানেই ভ্রমণের আনন্দ। ভ্রমণ যদি হয় নীল দিগন্ত ছুঁয়ে আর পাহাড়ের সাথে মিতালী করে! তবে তো কথায় নেই!

প্রকৃতির এমন অসাধারণ মেলবন্ধনে হারাতে মানুষ আসে কক্সবাজার। কর্মক্ষেত্রে ছুটি পেলেই ভ্রমণ পিপাসুরা আপনজনদের নিয়ে চলে আসেন সমুদ্র দর্শনে। বছরেরও শেষ। বছরের শেষ সময়ের ছুটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও। আর তাই লেখাপড়ার চাপ না থাকায় ছেলে-মেয়েদের সাথে করে পরিবার নিয়ে ছুটে আসছেন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে।

সিলেট থেকে সমুদ্র দেখতে আসা সাবিলা জানান, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র দেখার স্বপ্ন আমার অনেক পুরনো। আজ বাস্তবে এই সমুদ্রের বিশালতা দেখে আমি মুগ্ধ। গত দু’দিন সমুদ্র ঘুরে দেখেছি। যাত্রাপথের ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে সমুদ্র দেখে।

কক্সবাজারে প্রথম মধুচন্দ্রিমায় এসেছেন আরেক  নবদম্পতি।  তাঁরা জানান বিয়ের পূর্বে সমুদ্র দেখা হয়নি। ইচ্ছে ছিলো বিয়ের পর একসাথে প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে সমুদ্রের ঢেউ দেখবো। তাই প্রথম মধুচন্দ্রিমা যাপনের জন্য বেছে নিলাম সমুদ্র নগরীকে।

শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সব ঋতুতেই পর্যটন নগরী কক্সবাজার তার রূপ সৌন্দর্যের ডানা মেলে ধরে। সেই সৌন্দর্যে বিভোর হতেই এখন সারাবছর পর্যটকরা আসে সমুদ্র সৈকতে। এর ফলে দীর্ঘদিন নানা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখে থাকা পর্যটন ব্যবসায়ও কিছুটা আলোর মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন পর পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার। ডিসেম্বর মাসের প্রতিদিনই লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটছে সমুদ্র নগরীতে। অতীতের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার প্রত্যাশা করছি৷

সেন্টমার্টিন ভ্রমণের আগামী এক সপ্তাহের টিকিট বুকিংয়ের পাশাপাশি হোটেল মোটেল গুলোতেও ৮০-৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।

সমুদ্রে মানুষের আনাগোনা যতো বাড়ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে লাইফগার্ড কর্মীদের কর্মতৎপরতা। সমুদ্রের এক পয়েন্ট থেকে অন্য পয়েন্টে ছুটে যাচ্ছেন লাইফগার্ড কর্মীরা। লাইফগার্ডকর্মী মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, পর্যটকে টইটম্বুর সৈকতে যেনো অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, তাই সার্বক্ষণিক সচেষ্ট রাখা হয়েছে লাইফগার্ডকর্মীদের। সমুদ্রস্নানে নামা পর্যটকদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে যেনো ঝুকিপূর্ণ স্থানে গোসলে না যায় পর্যটকরা।

এছাড়াও পর্যটকরা যেনো নির্বিঘ্নে সময় পার করতে পারে, তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন।