ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গোপন ‘গুদামে’ মাদক রাখে কারা? নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ইমাম হোসেন: দ্রুত গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিলো প্রাণ মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই : প্রেস উইং নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এবার শূকর ও কুকুরের প্রাণহানি প্রেসক্লাবের ইফতার সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি মাধ্যম-ইউএনও চকরিয়া আবুল কাসেম বাবুর ২য় মৃত্যু বার্ষিকীতে জেলা খেলাঘরের স্মরণ সভা বিয়ের দু’মাসেই সড়ক দূর্ঘটনায় দম্পতি: স্বামী নিহত স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি উত্তর ধূরুং ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন উখিয়ায় তরুণ সংবাদকর্মীদের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন “মোহাম্মদ জাবেরের সন্ধান চাই” আমরা দুনিয়ার মাঠে খেলার খেলোয়াড়, ছোট মাঠের না: প্রধান উপদেষ্টা যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ মাদককারবারি আটক এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে হত্যার ৮ ঘন্টার ব্যবধানে তিন সহোদরসহ গ্রেফতার চার পেকুয়ায় সাপের কামড়ে মৃত্যু: ওঝার কাছে যাওয়ায় দেরি হয় হাসপাতালে নিতে

অনিয়ম প্রমাণ হলেও উখিয়ার সেই ‘আলোচিত’ কাজী বহাল! নেপথ্যে সমাজসেবা কর্তা?

১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার আগেই বিয়ে করাতে পারদর্শী তিনি, কৌশল করে সম্পন্ন করেছিলেন অগ্রিম ৪০ টি বিয়ের নিকাহনামা।

২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার তথা  কাজী আখতার হোসাইনের এমন অনিয়মের হাতে নাতে প্রমাণ পান উখিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসাইন।

সেসময় এই ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়, আড়াই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বহাল তবিয়তে দায়িত্বে আছেন তিনি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, তৎকালীন ইউএনও ইমরান হোসেন সজীবের নির্দেশে নিজের সহকর্মী শিশু সুরক্ষা কর্মী নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে আখতারের অনিয়ম প্রমাণ করেন ৪ বছর ধরে উখিয়ায় কর্মরত সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসাইন।

রহস্যজনকভাবে যথেষ্ট প্রমাণ থাকার পরও আখতারের বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সূত্র বলছে, নিজে প্রমাণ করার পরও আখতারের কাছে পাওয়া মোটা অংকের উৎকোষে তার পক্ষে অবস্থান নেন আল মাহমুদ এবং দফারফা করেন মাহমুদের সহযোগী নজরুল ইসলাম।

এবিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ফোন করা হলেও সমাজসেবা কর্মকর্তার উত্তর মেলেনি।

আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সহযোগিতায় নিকাহ রেজিস্ট্রার হওয়া আখতার হলদিয়াপালংয়ে স্থায়ী বাসিন্দা নন, যা আইন বহির্ভূত।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী রামুর খুনিয়াপালংয়ের ছৈয়দুর রহমানের এই পুত্র নিজের কাজী অফিসকে বানিয়েছেন দুর্নীতির আঁতুড়ঘর।

অর্থের বিনিময়ে ভুয়া কাবিননামা, বাল্য বিবাহ করানো সহ নানা অনিয়মে আখতার জড়িত জানিয়ে তার নিয়োগ বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে। প্রকাশ্যে অনিয়ম ধরা পড়লেও অভিযোগ এড়িয়ে যান আলোচিত এই কাজী।

তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসাইন চৌধুরী।

ভুক্তভোগী সহ হলদিয়াপালংয়ের স্থানীয়দের প্রত্যাশা অচিরেই আখতারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিবে প্রশাসন, কমবে জনভোগান্তি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের গোপন ‘গুদামে’ মাদক রাখে কারা?

This will close in 6 seconds

অনিয়ম প্রমাণ হলেও উখিয়ার সেই ‘আলোচিত’ কাজী বহাল! নেপথ্যে সমাজসেবা কর্তা?

আপডেট সময় : ০৬:১১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার আগেই বিয়ে করাতে পারদর্শী তিনি, কৌশল করে সম্পন্ন করেছিলেন অগ্রিম ৪০ টি বিয়ের নিকাহনামা।

২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার তথা  কাজী আখতার হোসাইনের এমন অনিয়মের হাতে নাতে প্রমাণ পান উখিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসাইন।

সেসময় এই ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়, আড়াই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বহাল তবিয়তে দায়িত্বে আছেন তিনি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, তৎকালীন ইউএনও ইমরান হোসেন সজীবের নির্দেশে নিজের সহকর্মী শিশু সুরক্ষা কর্মী নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে আখতারের অনিয়ম প্রমাণ করেন ৪ বছর ধরে উখিয়ায় কর্মরত সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসাইন।

রহস্যজনকভাবে যথেষ্ট প্রমাণ থাকার পরও আখতারের বিরুদ্ধে কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সূত্র বলছে, নিজে প্রমাণ করার পরও আখতারের কাছে পাওয়া মোটা অংকের উৎকোষে তার পক্ষে অবস্থান নেন আল মাহমুদ এবং দফারফা করেন মাহমুদের সহযোগী নজরুল ইসলাম।

এবিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়ে ফোন করা হলেও সমাজসেবা কর্মকর্তার উত্তর মেলেনি।

আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সহযোগিতায় নিকাহ রেজিস্ট্রার হওয়া আখতার হলদিয়াপালংয়ে স্থায়ী বাসিন্দা নন, যা আইন বহির্ভূত।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী রামুর খুনিয়াপালংয়ের ছৈয়দুর রহমানের এই পুত্র নিজের কাজী অফিসকে বানিয়েছেন দুর্নীতির আঁতুড়ঘর।

অর্থের বিনিময়ে ভুয়া কাবিননামা, বাল্য বিবাহ করানো সহ নানা অনিয়মে আখতার জড়িত জানিয়ে তার নিয়োগ বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের কাছে। প্রকাশ্যে অনিয়ম ধরা পড়লেও অভিযোগ এড়িয়ে যান আলোচিত এই কাজী।

তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসাইন চৌধুরী।

ভুক্তভোগী সহ হলদিয়াপালংয়ের স্থানীয়দের প্রত্যাশা অচিরেই আখতারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিবে প্রশাসন, কমবে জনভোগান্তি।