ঢাকা ১০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন মহেশখালীর সলিমুল্লাহ খানসহ ১০ জন কক্সবাজার শহরে নিম্নমানের সড়ক বাতি: সন্ধ্যা হলে জ্বলেনা মহেশখালীতে দিনে বালি পাচারের অভিযোগ: রাতে খননযন্ত্রসহ ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি অনুমোদন ১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য এবার ৫ স্কুলের ১৫০ শিক্ষার্থী পাচ্ছে সুন্দর হস্তাক্ষর পুরস্কার কুতুবদিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বিজিবি টেকনাফ থেকে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করলো যেভাবে! সেন্ট মার্টিনে কুকুর নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ বাঁচতে চায় জটিল রোগে আক্রান্ত আজিজ, সাহায্যের প্রয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব এবং উদ্ভাবনী ও উদ্যোক্তা মেলা শুরু ‘স্বেচ্ছায় পাচার’ হতে গিয়ে ফিরলেন লাশ হয়ে টেকনাফে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ পাপ্পু হুজি শহীদুলের আপন ভাতিজা নয়

অতিরঞ্জিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম- উদীচী

টানা কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক টানাপড়েন, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা-ভাংচুর এবং দুই দেশেই মৌলবাদীদের উস্কানির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এক বিবৃতিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, যেকোন ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি সম্পর্কে সর্বোচ্চ সংযম এবং সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে উদীচীর নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে অমুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ধারাবাহিক হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ করে আসছে ভারত। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করছে ভারতের কোন কোন গণমাধ্যম। কিছুদিন আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এক পর্যায়ে একে অপরের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের তরুণ প্রজন্ম। সবচেয়ে নিন্দাজনক ঘটনা ঘটে যখন ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা করে ভাংচুর এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মী। একইসাথে কলকাতা ও মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনেও বিক্ষোভ হয়।

এতোগুলো ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটা বিচ্ছিন্ন কিছু নয় বলে মনে করে উদীচী। এর পেছনে দুই দেশেরই উগ্র সাম্প্রদায়িক, স্বাথান্বেষী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর ইন্ধন আছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন উগ্র সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী চরম উস্কানিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন, যা কিনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকারক। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন, যা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। একইভাবে এদেশের সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোও ধারাবাহিকভাবে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। এতে করে ওইসব গোষ্ঠীর রাজনৈতিক সুবিধা হলেও সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দুই দেশের মানুষ। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন দুই দেশের তরুণ প্রজন্ম। সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং দুই দেশের জনগণের ঐতিহ্যবাহী সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান উদীচীর নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে উদীচীর নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারকে দ্রুত যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। একইসাথে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন এবং সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত ও বাংলাদেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন, প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’

This will close in 6 seconds

অতিরঞ্জিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম- উদীচী

আপডেট সময় : ০৫:২৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

টানা কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক টানাপড়েন, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা-ভাংচুর এবং দুই দেশেই মৌলবাদীদের উস্কানির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এক বিবৃতিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, যেকোন ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি সম্পর্কে সর্বোচ্চ সংযম এবং সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে উদীচীর নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে অমুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ধারাবাহিক হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ করে আসছে ভারত। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করছে ভারতের কোন কোন গণমাধ্যম। কিছুদিন আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এক পর্যায়ে একে অপরের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের তরুণ প্রজন্ম। সবচেয়ে নিন্দাজনক ঘটনা ঘটে যখন ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা করে ভাংচুর এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মী। একইসাথে কলকাতা ও মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনেও বিক্ষোভ হয়।

এতোগুলো ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটা বিচ্ছিন্ন কিছু নয় বলে মনে করে উদীচী। এর পেছনে দুই দেশেরই উগ্র সাম্প্রদায়িক, স্বাথান্বেষী ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর ইন্ধন আছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন উগ্র সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী চরম উস্কানিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন, যা কিনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকারক। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন, যা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। একইভাবে এদেশের সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোও ধারাবাহিকভাবে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। এতে করে ওইসব গোষ্ঠীর রাজনৈতিক সুবিধা হলেও সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দুই দেশের মানুষ। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন দুই দেশের তরুণ প্রজন্ম। সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং দুই দেশের জনগণের ঐতিহ্যবাহী সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান উদীচীর নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে উদীচীর নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারকে দ্রুত যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। একইসাথে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন এবং সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত ও বাংলাদেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন, প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।