গেলো মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন রোহিঙ্গা নেতারা। টিটিএন কথা বলেছে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ এন্ড হিউম্যান রাইটস’ সংগঠনটির চেয়ারম্যান মাস্টার মো. জুবায়েরের সাথে।
সংগঠনটি প্রত্যাবাসন ও রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে৷ এর সাবেক চেয়ারম্যান আলোচিত মাস্টার মুহিব উল্লাহ নিজ কার্যালয়ে হত্যার শিকার হয়েছিলেন।
সম্প্রতি জুবায়ের টিটিএনকে বলেন, আরাকানের আদি বাসিন্দা হলো রোহিঙ্গারা। সেখানে রাখাইনরা রোহিঙ্গাদের উপর নতুন করে নির্যাতন শুরু করেছে। তারা আরাকান থেকে রোহিঙ্গাদের পরিষ্কার ভাবে তাড়িয়ে দিতে চায়। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় নেয়ার এই সময়ে যখনই ফিরে যাওয়ার কথা জোরালো ভাবে উঠে তখনই আরাকানে এসব করা হয়। এখন আবার এখানে পোড়ানো হচ্ছে।
মাস্টার জুবায়ের সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, রাখাইনের দালালরা এখানে এসেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটাতে পারে। কারন ওরা চায়, রোহিঙ্গারা যেনো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমন অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারলে রোহিঙ্গারা ভারত থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া চলে যেতে পারে।
জুবায়ের বলেন, রোহিঙ্গারা যেনো নিজ দেশে যেতে না পারে তাই ওপারে নির্যাতন, আর এখানে আগুন দেয়া। যা পরিকল্পিত।
এদিকে ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন -এপিবিএন ১৪ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ সিরাজ আমীন মুঠোফোনে বলেন, তাদের কাছে এমন কোনো পরিকল্পনার খবর নেই। এটা রোহিঙ্গা নেতার নিজস্ব ধারনা।
এপিবিএন সব সময় রোহিঙ্গাদের জানমাল রক্ষা ও নিরাপত্তায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সচেষ্ট আছে বলেও জানান মোহাম্মদ সিরাজ আমীন।