ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুতুব‌দিয়া স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সে সেবা নি‌শ্চি‌তের দা‌বি‌ নি‌য়ে মত‌বি‌নিময় “ভালো থেকো প্রিয়তমা” নিহত রিমঝিমকে নিয়ে হবু স্বামীর স্ট্যাটাস শেখ হাসিনা সাত দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা ছেলেকে আলেম বানানোর স্বপ্ন ছিলো বাবার ফ্যাসিষ্টমুক্ত গণমাধ্যম জাতীর জন্য আশীর্বাদ- সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার আয়োজিত সংবাদপত্রের কালো দিবসে বক্তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলোনা রিমঝিমের বাবা-ছেলেসহ নিহত তিন, আহত ১০ সেনাবাহিনীর অভিযান: গোলদীঘি এলাকা থেকে ২০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার, আটক ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু-করোনা প্রতিরোধে মাউশির বিশেষ নির্দেশনা উখিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহিন রেজুখালের ভাঙ্গন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি পেকুয়ার শিক্ষক আরিফ হত্যা মামলার আসামি মুকা গ্রেফতার বহিস্কৃত সেনাসদস্যসহ আটক তিন যারা খেলে খেলুক, আমরা শুধু রেফারি হয়ে কাজ করব: সিইসি

নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা

দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাচ্ছেন না উপকূলের জেলেরা। বুকভরা আশা নিয়ে ১১ জুন মধ্যরাতে সাগরে পাড়ি জমালেও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ও প্রতিকূল আবহাওয়া তাদের পথের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) সরেজমিনে কক্সবাজার ফিশারী ঘাট ঘুরে দেখা যায়, এখনো অধিকাংশ গভীর সমুদ্রগামী ট্রলার ফিরে আসেনি। তবে নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া কিছু ট্রলার ইতোমধ্যে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। এসব ট্রলারে ইলিশ বা বড় আকারের মাছ খুব একটা দেখা না মিললেও চিংড়ি, লইট্টা, ছুরি, শাপলা, কালো চাঁদা ও রূপচাঁদা মাছ কিছুটা পরিমাণে পাওয়া গেছে।

জেলেরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক ট্রলার নির্ধারিত সময়ের আগেই ফিরে আসছে। মাছ ধরতে না পারায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।

ফিশারীঘাটের ব্যবসায়ী মাহবুব আলম বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময় আবহাওয়া খুবই ভালো ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই সাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ কারণে জেলেরা ইলিশ ধরতে পারছে না। তবে কিছু ট্রলারে চিংড়ি ও লইট্টা মাছ ধরা পড়ছে।”

জেলে রহিম উদ্দিন বলেন, “বড় ঢেউ আর বাতাসের কারণে সাগরে দীর্ঘ সময় থাকা যাচ্ছে না। অনেক ট্রলার ফিরে আসছে খালি হাতে। অনেকেই এখনো মাছ ধরতে যেতেও পারেননি।”

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক আশীষ কুমার বৈদ্য টিটিএন-কে জানান, নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী সময়ে ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত প্রায় ৪ টন ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মোট ৪৮ টন মাছ অবতরণ হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪২ লাখ টাকা। এ সময়ে রাজস্ব খাতে আয় হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, “সাগরে আবহাওয়া স্বাভাবিক না থাকায় মাছ ধরা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হলে মাছের পরিমাণ বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।”

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে প্রতিবছরের মতো এবারও ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল গভীর সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধরনের মাছ ধরায়। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা মাছ শিকারে গেলেও প্রকৃতির রুদ্ররূপ তাদের স্বপ্নভঙ্গ করছে।

ট্যাগ :

কুতুব‌দিয়া স্বাস্থ্য কম‌প্লে‌ক্সে সেবা নি‌শ্চি‌তের দা‌বি‌ নি‌য়ে মত‌বি‌নিময়

This will close in 6 seconds

নিষেধাজ্ঞা শেষ : বৈরী আবহাওয়ায় হতাশ জেলেরা

আপডেট সময় : ০৪:২১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

দীর্ঘ ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাচ্ছেন না উপকূলের জেলেরা। বুকভরা আশা নিয়ে ১১ জুন মধ্যরাতে সাগরে পাড়ি জমালেও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ও প্রতিকূল আবহাওয়া তাদের পথের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) সরেজমিনে কক্সবাজার ফিশারী ঘাট ঘুরে দেখা যায়, এখনো অধিকাংশ গভীর সমুদ্রগামী ট্রলার ফিরে আসেনি। তবে নদী ও উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া কিছু ট্রলার ইতোমধ্যে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। এসব ট্রলারে ইলিশ বা বড় আকারের মাছ খুব একটা দেখা না মিললেও চিংড়ি, লইট্টা, ছুরি, শাপলা, কালো চাঁদা ও রূপচাঁদা মাছ কিছুটা পরিমাণে পাওয়া গেছে।

জেলেরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক ট্রলার নির্ধারিত সময়ের আগেই ফিরে আসছে। মাছ ধরতে না পারায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।

ফিশারীঘাটের ব্যবসায়ী মাহবুব আলম বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময় আবহাওয়া খুবই ভালো ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই সাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ কারণে জেলেরা ইলিশ ধরতে পারছে না। তবে কিছু ট্রলারে চিংড়ি ও লইট্টা মাছ ধরা পড়ছে।”

জেলে রহিম উদ্দিন বলেন, “বড় ঢেউ আর বাতাসের কারণে সাগরে দীর্ঘ সময় থাকা যাচ্ছে না। অনেক ট্রলার ফিরে আসছে খালি হাতে। অনেকেই এখনো মাছ ধরতে যেতেও পারেননি।”

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী হিসাব নিয়ন্ত্রক আশীষ কুমার বৈদ্য টিটিএন-কে জানান, নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী সময়ে ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত প্রায় ৪ টন ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মোট ৪৮ টন মাছ অবতরণ হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪২ লাখ টাকা। এ সময়ে রাজস্ব খাতে আয় হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, “সাগরে আবহাওয়া স্বাভাবিক না থাকায় মাছ ধরা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হলে মাছের পরিমাণ বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।”

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে প্রতিবছরের মতো এবারও ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল গভীর সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধরনের মাছ ধরায়। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা মাছ শিকারে গেলেও প্রকৃতির রুদ্ররূপ তাদের স্বপ্নভঙ্গ করছে।