ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মহেশখালীতে পুলিশের অভিযানে আটক-১ সাংবাদিক হাফিজের বাবার জানাজা সোমবার সকাল ১০ টায় সাংবাদিক হাফিজের বাবার ইন্তেকাল: টিটিএনের শোক “গোলদীঘিতে ধরা পড়া কাতলা মাছটি ১১ কেজি নয়, প্রকৃত ওজন ৬ কেজি” আসছে “মন্থা”, কক্সবাজারে বৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে: আঘাত হানবে মঙ্গল বা বুধবার প্রথম দিনই ধরা পড়ল আড়াই কেজির ইলিশ, ৯২০০ টাকায় বিক্রি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, কোথায়, কখন আঘাত হানতে পারে সবুজ ঘাসে ঢাকা চট্টগ্রামের উইকেট, কেমন হবে রান পাবনায় ট্রাকচাপায় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩ কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর

আজ আন্তর্জাতিক সমুদ্র দিবস

আজ ৮ জুন, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমুদ্র দিবস। পরিবেশ রক্ষার প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত ধরিত্রী সম্মেলনে দিবসটি পালনের ধারণা উঠে আসে। ঐ বছরই প্রথমবারের মতো এই দিবসটি পালন শুরু হয়। এরপর ২০০৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৩তম অধিবেশনে এটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে। ফলস্বরূপ, ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিনে সাগরকেন্দ্রিক নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক সম্পদের বিচারে সমুদ্র এ দেশের জন্য শুধু প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য নয়, এক বিশাল সম্ভাবনার উৎস। বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশি ঘিরে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের নীল অর্থনীতির ভিত্তি। এই সমুদ্রসীমা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আর্থসামাজিক কাঠামোতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।

তবে এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে বড় কিছু চ্যালেঞ্জও। দেশের সমুদ্রবিজ্ঞানী ও সংশ্লিষ্ট গবেষকদের মতে, একটি পৃথক ‘সমুদ্র মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, সমুদ্রদূষণ ঠেকাতে এবং সাগরসম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুসংগঠিত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হলে একটি নির্দিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ থাকা আবশ্যক। বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থা আলাদাভাবে কাজ করলেও, তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই বললেই চলে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় অবিলম্বে ‘মেরিন কনজারভেশন অ্যাকশন প্ল্যান’ বা সামুদ্রিক সংরক্ষণ নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন। এখনো আলাদা মন্ত্রণালয় না থাকায় সমুদ্রসম্পদের দেখভালের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অভিভাবক নেই। ফলে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ট্যুরিস্ট পুলিশের মতো বিভিন্ন সংস্থা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছে, কিন্তু কোনো সমন্বিত উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।

এই বাস্তবতায়, আন্তর্জাতিক সমুদ্র দিবসে বাংলাদেশের সামনে প্রশ্ন জাগে—আমাদের সমুদ্র কি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে? শুধু প্রতীকী উদযাপন নয়, চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও যৌথ প্রয়াস।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

আজ আন্তর্জাতিক সমুদ্র দিবস

আপডেট সময় : ০১:০২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

আজ ৮ জুন, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমুদ্র দিবস। পরিবেশ রক্ষার প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত ধরিত্রী সম্মেলনে দিবসটি পালনের ধারণা উঠে আসে। ঐ বছরই প্রথমবারের মতো এই দিবসটি পালন শুরু হয়। এরপর ২০০৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৩তম অধিবেশনে এটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে। ফলস্বরূপ, ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিনে সাগরকেন্দ্রিক নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক সম্পদের বিচারে সমুদ্র এ দেশের জন্য শুধু প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য নয়, এক বিশাল সম্ভাবনার উৎস। বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশি ঘিরে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের নীল অর্থনীতির ভিত্তি। এই সমুদ্রসীমা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আর্থসামাজিক কাঠামোতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।

তবে এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নের পথে রয়েছে বড় কিছু চ্যালেঞ্জও। দেশের সমুদ্রবিজ্ঞানী ও সংশ্লিষ্ট গবেষকদের মতে, একটি পৃথক ‘সমুদ্র মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, সমুদ্রদূষণ ঠেকাতে এবং সাগরসম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুসংগঠিত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হলে একটি নির্দিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষ থাকা আবশ্যক। বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থা আলাদাভাবে কাজ করলেও, তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই বললেই চলে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় অবিলম্বে ‘মেরিন কনজারভেশন অ্যাকশন প্ল্যান’ বা সামুদ্রিক সংরক্ষণ নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন। এখনো আলাদা মন্ত্রণালয় না থাকায় সমুদ্রসম্পদের দেখভালের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অভিভাবক নেই। ফলে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ট্যুরিস্ট পুলিশের মতো বিভিন্ন সংস্থা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছে, কিন্তু কোনো সমন্বিত উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।

এই বাস্তবতায়, আন্তর্জাতিক সমুদ্র দিবসে বাংলাদেশের সামনে প্রশ্ন জাগে—আমাদের সমুদ্র কি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে? শুধু প্রতীকী উদযাপন নয়, চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও যৌথ প্রয়াস।