ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারে ফের বাড়ছে ছিনতাই এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে গণ ইফতার করবেন ইউনূস ও গুতেরেস উখিয়ায় রোহিঙ্গা কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার ভাগিনার ইয়াবাকান্ডে সহযোগী ‘মামা’! – বালুখালীতে তোলপাড় শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাসহ তাদের সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে খেলাঘরের সমাবেশ কাল সেহরি ও ইফতারে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয় কল দিতে বললেন শেখ সাদী, ফোনে টাকা নেই পরীমণির ফেসবুকে ‘ডাকাত’ গুজব! নিয়ন্ত্রণে আছে আইনশৃঙ্খলা – ওসি উখিয়া চকরিয়ায় ছয় দোকান,চৌদ্দটি বসতঘর পুড়ে ছাই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মাদকের এডি দিদারের প্রত্যাহার চেয়ে সাংবাদিকদের মানববন্ধন আমি আর বাঁচতে চাইনা,ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ’ চেয়ে কক্সবাজারে মশাল মিছিল কুতুবদিয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত

সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরনে একজনের পা বিচ্ছিন্ন: দুজন গুরুত্বর আহত

মিয়ানমারে পণ্য ও গরু আনতে গিয়ে পৃথক মাইন বিস্ফোরণে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। এর মধ্যে আলী হোসেনের (৪০) বাঁ-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

শুক্রবার সকাল ৬টায় মিয়ানমার সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী সীমান্তের শূণ্যরেখায় সেখানকার বিদ্রোহীদের পুঁতে রাখা মাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আলী হোসেন আশারতলী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় সীমান্তের আরেক পয়েন্ট জামছড়ি এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে স্থানীয় আরিফ উল্লাহ (৩০) গুরুতর আহত হন। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাফর আলমের ছেলে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার দোছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রাসেল আহত হয়েছে। তার পিতার নাম মুজিবুর রহমান।

স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আলী হোসেনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চোরাকারবারের অভিযোগ রয়েছে। তারা সীমান্তের ৪৭নং সীমান্ত পিলারের কাছে ২-এস পয়েন্টে গেলে বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়। পরে সঙ্গে থাকা লোকজন আহত আলী হোসেনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিস্ফোরণে দুইজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের পাচার বেড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচারের পাশাপাশি ওপার থেকে আসছে ইয়াবাসহ অবৈধ গরু।

প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী, ফুলতলী, জামছড়ি, চাকঢালা, লেমুছড়ি, ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকার মালামাল পাচার হচ্ছে মিয়ানমারে। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা এসব কাজে জড়িত। ইদানিং চোরাকারবারিরা প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট মজবুত করেছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরনে একজনের পা বিচ্ছিন্ন: দুজন গুরুত্বর আহত

আপডেট সময় : ১০:২২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

মিয়ানমারে পণ্য ও গরু আনতে গিয়ে পৃথক মাইন বিস্ফোরণে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। এর মধ্যে আলী হোসেনের (৪০) বাঁ-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

শুক্রবার সকাল ৬টায় মিয়ানমার সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী সীমান্তের শূণ্যরেখায় সেখানকার বিদ্রোহীদের পুঁতে রাখা মাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আলী হোসেন আশারতলী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় সীমান্তের আরেক পয়েন্ট জামছড়ি এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে স্থানীয় আরিফ উল্লাহ (৩০) গুরুতর আহত হন। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাফর আলমের ছেলে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার দোছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রাসেল আহত হয়েছে। তার পিতার নাম মুজিবুর রহমান।

স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আলী হোসেনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চোরাকারবারের অভিযোগ রয়েছে। তারা সীমান্তের ৪৭নং সীমান্ত পিলারের কাছে ২-এস পয়েন্টে গেলে বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়। পরে সঙ্গে থাকা লোকজন আহত আলী হোসেনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিস্ফোরণে দুইজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের পাচার বেড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচারের পাশাপাশি ওপার থেকে আসছে ইয়াবাসহ অবৈধ গরু।

প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী, ফুলতলী, জামছড়ি, চাকঢালা, লেমুছড়ি, ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকার মালামাল পাচার হচ্ছে মিয়ানমারে। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা এসব কাজে জড়িত। ইদানিং চোরাকারবারিরা প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট মজবুত করেছে।