ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাত দিন শোক পালনের কর্মসূচি বিএনপির রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার ৪১ বছর বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু দেশের রাজনীতিতে বিশাল শূন্যতা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড়দিন উদযাপন

উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উদযাপিত হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ক্যাম্প এলাকায় ঝলমলে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) উখিয়ার ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১ ব্লকে আয়োজিত বড়দিনের অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ও দর্শনার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। দুই দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবটি উদযাপন করা হয়।

সূত্র জানায়, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৪০টি খ্রিস্টান পরিবার বসবাস করছে। তাঁরা প্রতিবছর নিয়মিতভাবে বড়দিন পালন করে থাকেন। এ বছরও দুই দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে বড়দিনের আয়োজন করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সিরাজুল কবির বলেন, বড়দিন উপলক্ষে ক্যাম্পে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকে, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। সবাই যেন নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে—সে লক্ষ্যেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের আওতাধীন ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প-ইন-চার্জ আল ইমরান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত সব ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে ক্যাম্পে সকল ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

উৎসব চলাকালে ক্যাম্প ইনচার্জ ও এপিবিএন পুলিশের তত্ত্বাবধানে সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড়দিন উদযাপন

আপডেট সময় : ১২:৪০:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উদযাপিত হয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ক্যাম্প এলাকায় ঝলমলে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) উখিয়ার ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-১ ব্লকে আয়োজিত বড়দিনের অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ও দর্শনার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। দুই দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবটি উদযাপন করা হয়।

সূত্র জানায়, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৪০টি খ্রিস্টান পরিবার বসবাস করছে। তাঁরা প্রতিবছর নিয়মিতভাবে বড়দিন পালন করে থাকেন। এ বছরও দুই দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে বড়দিনের আয়োজন করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সিরাজুল কবির বলেন, বড়দিন উপলক্ষে ক্যাম্পে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকে, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। সবাই যেন নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে—সে লক্ষ্যেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের আওতাধীন ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প-ইন-চার্জ আল ইমরান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত সব ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে ক্যাম্পে সকল ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

উৎসব চলাকালে ক্যাম্প ইনচার্জ ও এপিবিএন পুলিশের তত্ত্বাবধানে সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।