নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে বিমানের বিশাল প্রতিকৃতি স্বরুপ অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেছিলো একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি নিয়ে টিটিএন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসন সরানোর নির্দেশ দিলে তড়িঘড়ি করে বিমান আকৃতির স্থাপনাটি সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে নির্মাণে জড়িত প্রতিষ্ঠান ‘ব্র্যান্ড সলিউশন লিমিটেড’।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ‘ আদালতের নির্দেশনা ও শর্ত অমান্য করে স্থাপনা তৈরি করায় সেটি সরাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।’
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইরশাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ কিছু করার নেই প্রশাসন যখন সরাতে বলেছে আমরা সেটি সরিয়ে নিয়েছি। ‘
পরিবেশ সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, ‘ সৈকতের বালিয়াড়িতে ইসিএ এলাকায় অস্থায়ী বা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা আছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ায় সাধুবাদ জানাচ্ছি আশা করছি ভবিষ্যতে তারা এবিষয়ে কঠোর তদারকি জারি রাখবে।’
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে টেকনাফ সমুদ্রসৈকতের ১০ হাজার ৪৬৫ হেক্টর এলাকাকে প্রাণবৈচিত্র্য, নির্মল জলরাশি এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় ১৯৯৯ সালে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে সরকার।
নির্দেশনা মতে, কক্সবাজার পৌরসভার নাজিরারটেক থেকে টেকনাফের বদর মোকাম পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত, সৈকতের ঝাউ গাছসমৃদ্ধ ৩০০ মিটার উন্নয়ন নিষিদ্ধ ও ৫০০ মিটার সংরক্ষিত এলাকা, যেখানে সব ধরনের স্থাপনা বা অবকাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ। এছাড়াও এই নির্দেশনা মানতে উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকেও একটি আদেশ বলবৎ রয়েছে।
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক 




















