ভারতীয় কোস্টগার্ড কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ২৮ মাঝিমাল্লাসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ধরে নিয়ে যাওয়া মাঝিমাল্লাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গেলো ১৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে কুতুবদিয়া উপজেলার মলমচর এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগরে রওনা দিলে ঘন কুয়াশায় ফিশিং ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে ভারতের জলসীমা থেকে সেদেশের কোস্টগার্ড তাদের আটক করে নিয়ে য়ায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের নজরআলী মাতবর পাড়া এলাকার এফ.বি আদিব-২ ফিশিং ট্রলারের মালিক নজরুল ইসলাম।
ভারতে আটক জেলেরা হলেন দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন, নুরুল বশর, মোহাম্মদ শাহিন,তারেক মুহাম্মদ নওশাদ,আতিকুর রহমান,শাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন,মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ রাকিব,মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ,নুরুল ইসলাম, জোবাইদুল হক, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের জকির আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ তুহিন আলম,মোহাম্মদ মোজাহেদ,শাহেদুল ইসলাম,মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের হাফিজুর রহমান, লেমশীখালী আবুল বশর, মোহাম্মদ নাজেম উদ্দিন,এনামুল হক,মোহাম্মদ শরীফ, রবিউল হাছান, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ওমর ফারুক, মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, আকতার হোছাইন, নজরুল ইসলাম।
কুতুবদিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কুতুবদিয়া উপজেলার মলমচর এলাকা থেকে ট্রলারটি যাত্রা করে। ১৯ নভেম্বর রাতে ২৮ মাঝি-মাল্লাসহ ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটকের বিষয়টি জানতে পারে তাদের পরিবার সদস্যরা। আটক জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আটকৃত মাঝি মাল্লা পরিবার সূত্রে জানা যায় আটককৃতরা বর্তমানে ভারতের নারায়নপুর কান্দিব থানা হেফাজতে রয়েছেন।
ট্রলারটির মালিক নজরুল ইসলাম জানান, ২৮ জন মাঝি-মাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। এ বিষয়ে লিখিতভাবে কুতুবদিয়ায় থানায় অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমান হোসেন জানান, বিষয়টি থানায় একটি অবহিতকরন ডায়েরী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আবুল কাশেম 
























