ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মুলহোতা বাবু আটক: বাকীদের খুঁজছে পুলিশ চুপ প্রশাসন, নিষেধাজ্ঞা না মেনে আতশবাজি ফুটল সৈকতে বার্মিজ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা বকুল আর নেই: জানাজা বৃহস্পতিবার ভালো কিছু শুরুর আশা পঁচিশের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে আসা পর্যটকদের স্বামীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া জনজোয়ারে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং দেশপ্রেমিক মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে আধিপত্যবাদের চক্রান্তকে বানচাল করে দিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন।

তিনি বলেন, এটি ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের একদলীয় বাকশাল থেকে দেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্র এনে দেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করেন, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করেন।

ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আজ (শুক্রবার) জাতীয় শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান তার রাষ্ট্র পরিচালনার মাত্র চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশে একদিকে রাজনৈতিক অবস্থার, অন্যদিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আমূল সংস্কার সাধন করেন। একদলীয় বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করেন, জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন এবং একইসঙ্গে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন। সুখী ও সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নিশ্চতকরণের জন্য তিনি যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, পরবর্তীকালে তার ওপর ভিত্তি করেই দেশ সেই দিকে এগিয়ে যায়। সেজন্য আজকের দিনটি শুধু বিএনপির কাছে নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গণঅভ্যুত্থানের পর আজ বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদেরকে সেই পথেই পরিচালিত করে যে পথে গেলে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। জনগণের ভোটের অধিকার, বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

সূত্র:ঢাকা পোস্ট

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৩:৫২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং দেশপ্রেমিক মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে আধিপত্যবাদের চক্রান্তকে বানচাল করে দিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন।

তিনি বলেন, এটি ছিল বাংলাদেশের প্রগতির টার্নিং পয়েন্ট। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের একদলীয় বাকশাল থেকে দেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্র এনে দেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করেন, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করেন।

ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আজ (শুক্রবার) জাতীয় শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান তার রাষ্ট্র পরিচালনার মাত্র চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশে একদিকে রাজনৈতিক অবস্থার, অন্যদিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আমূল সংস্কার সাধন করেন। একদলীয় বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করেন, জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন এবং একইসঙ্গে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেন। সুখী ও সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নিশ্চতকরণের জন্য তিনি যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, পরবর্তীকালে তার ওপর ভিত্তি করেই দেশ সেই দিকে এগিয়ে যায়। সেজন্য আজকের দিনটি শুধু বিএনপির কাছে নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গণঅভ্যুত্থানের পর আজ বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদেরকে সেই পথেই পরিচালিত করে যে পথে গেলে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। জনগণের ভোটের অধিকার, বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

সূত্র:ঢাকা পোস্ট