ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
“মাদক ডিলারদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপারেশন চাই”: টেকনাফে এনসিপি নেতা সুজা অ’স্ত্র, নগদ টাকাসহ কলাতলীর কামরুল গ্রেফতার উখিয়ার ওসি জানেন না অভিযানের খবর! ১৬১১১ এ কল পেয়ে বিকল ফিশিং বোটের ১১ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করলো কোস্ট গার্ড কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ির সকল দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ বিএনপিতে যোগ দিলেন মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ মহেশখালীতে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রতিযোগিতা সম্পন্ন: চ্যাম্পিয়ন টাইম বাজার প্রাইমারি স্কুল পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে আবারো শিশুর মৃত্যু: ৪ দিনে গেলো ৫ শিশুর প্রাণ কক্সবাজার ২ আসনে এনসিপির প্রার্থী সুজা, ছাড়ের রাজনীতিতে সমঝোতার ইঙ্গিত! কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত ও ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা রোহিঙ্গা নারীদের ৯৭ শতাংশই শিক্ষার বাইরে, বৈশ্বিক প্রতিনিধিদলের উদ্বেগ খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চট্টগ্রামের ৬ আসনে বিএনপির নতুন মুখ প্রলোভনের ফাঁদে জিম্মি,উদ্ধার ২৫: আটক ২ সাগরে লঘুচাপ: কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ৩ নং সতর্ক সংকেত
বস্তা ভর্তি ট্রাক গেলো কোথায়

উখিয়ার ওসি জানেন না অভিযানের খবর!

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক, উখিয়া হাসপাতাল ফটক থেকে ১০০ গজ দূরে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি।

হঠাৎ কক্সবাজারমুখী একটি ট্রাক থামান সিএনজি যোগে ঘটনাস্থলে আসা দুই পুলিশ সদস্য। বস্তাভর্তি ট্রাকটির উপরে উঠে পোশাকবিহীন অপর এক পুলিশ সদস্য কিছু একটা খুঁজছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এক পথচারীর (রেকর্ড সংরক্ষিত) ভাষ্য বলছে, সেই ট্রাকে একাধিক ব্যক্তি ছিলেন।

তার মতে, তল্লাশির পর ইয়াবার প্যাকেট সাদৃশ্য বস্তু মিললে ট্রাকটি সহ উখিয়ার দিকে চলে যান অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যরা।

পথচারী দাবী করেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশ সদস্য স্বাস্থ্যবান ছিলেন, পরে তাকে ছবি দেখানো হলে সেই ব্যক্তি ‘এস আই সাইফুদ্দিন’ বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে পথচারী বর্ণিত সময় ও বিবরণের মিলে এমন একটি বস্তা ভর্তি ট্রাকের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে।

তবে থানায় এমন কোন জব্দ ট্রাকের অস্তিত্ব মিলেনি এবং ওসি অভিযান প্রসঙ্গে কিছু জানেন না বলে দাবী করেন।

ওসি জিয়াউল হক মুঠোফোনে বলেন,’ এরকম কোন অভিযান ঘটেনি, আপনার কাছে তথ্য থাকলে প্রতিবেদন করেন সমস্যা নেই। সাইফুদ্দিনের কাছে আমি জিজ্ঞেস করেছি সে জানিয়েছে এমন কিছু হয়নি।’

এস আই সাইফুদ্দিনও অভিযানের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘ আমি সেখানে কোন অভিযান পরিচালনা করিনি। ‘

এদিকে বিষয়টি আলোচনায় আসার পর নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ওসির বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্বরত এক কনস্টেবল অভিযানটির নেপথ্যে ছিলেন এবং তার মধ্যস্থতায় থানায় নিয়ে যাওয়া ট্রাকটি টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে সেখানে ইয়াবা বা অন্যকিছু ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস বলেন, ‘ নিয়ম বহির্ভূত কোন কাজে জড়িত যেই হোক বিধি অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংশোধনী – প্রত্যক্ষদর্শীকে দেখানো ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছিলো পরে নতুন তথ্য পাওয়ায় প্রতিবেদনটি সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করে সংশোধন করা হলো।

ট্যাগ :

“মাদক ডিলারদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপারেশন চাই”: টেকনাফে এনসিপি নেতা সুজা

This will close in 6 seconds

বস্তা ভর্তি ট্রাক গেলো কোথায়

উখিয়ার ওসি জানেন না অভিযানের খবর!

আপডেট সময় : ১১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক, উখিয়া হাসপাতাল ফটক থেকে ১০০ গজ দূরে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি।

হঠাৎ কক্সবাজারমুখী একটি ট্রাক থামান সিএনজি যোগে ঘটনাস্থলে আসা দুই পুলিশ সদস্য। বস্তাভর্তি ট্রাকটির উপরে উঠে পোশাকবিহীন অপর এক পুলিশ সদস্য কিছু একটা খুঁজছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এক পথচারীর (রেকর্ড সংরক্ষিত) ভাষ্য বলছে, সেই ট্রাকে একাধিক ব্যক্তি ছিলেন।

তার মতে, তল্লাশির পর ইয়াবার প্যাকেট সাদৃশ্য বস্তু মিললে ট্রাকটি সহ উখিয়ার দিকে চলে যান অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যরা।

পথচারী দাবী করেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশ সদস্য স্বাস্থ্যবান ছিলেন, পরে তাকে ছবি দেখানো হলে সেই ব্যক্তি ‘এস আই সাইফুদ্দিন’ বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে পথচারী বর্ণিত সময় ও বিবরণের মিলে এমন একটি বস্তা ভর্তি ট্রাকের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে।

তবে থানায় এমন কোন জব্দ ট্রাকের অস্তিত্ব মিলেনি এবং ওসি অভিযান প্রসঙ্গে কিছু জানেন না বলে দাবী করেন।

ওসি জিয়াউল হক মুঠোফোনে বলেন,’ এরকম কোন অভিযান ঘটেনি, আপনার কাছে তথ্য থাকলে প্রতিবেদন করেন সমস্যা নেই। সাইফুদ্দিনের কাছে আমি জিজ্ঞেস করেছি সে জানিয়েছে এমন কিছু হয়নি।’

এস আই সাইফুদ্দিনও অভিযানের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘ আমি সেখানে কোন অভিযান পরিচালনা করিনি। ‘

এদিকে বিষয়টি আলোচনায় আসার পর নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ওসির বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্বরত এক কনস্টেবল অভিযানটির নেপথ্যে ছিলেন এবং তার মধ্যস্থতায় থানায় নিয়ে যাওয়া ট্রাকটি টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে সেখানে ইয়াবা বা অন্যকিছু ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস বলেন, ‘ নিয়ম বহির্ভূত কোন কাজে জড়িত যেই হোক বিধি অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংশোধনী – প্রত্যক্ষদর্শীকে দেখানো ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছিলো পরে নতুন তথ্য পাওয়ায় প্রতিবেদনটি সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করে সংশোধন করা হলো।