কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক, উখিয়া হাসপাতাল ফটক থেকে ১০০ গজ দূরে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি।
হঠাৎ কক্সবাজারমুখী একটি ট্রাক থামান সিএনজি যোগে ঘটনাস্থলে আসা দুই পুলিশ সদস্য। বস্তাভর্তি ট্রাকটির উপরে উঠে পোশাকবিহীন অপর এক পুলিশ সদস্য কিছু একটা খুঁজছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক পথচারীর (রেকর্ড সংরক্ষিত) ভাষ্য বলছে, সেই ট্রাকে একাধিক ব্যক্তি ছিলেন।
তার মতে, তল্লাশির পর ইয়াবার প্যাকেট সাদৃশ্য বস্তু মিললে ট্রাকটি সহ উখিয়ার দিকে চলে যান অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যরা।
পথচারী দাবী করেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশ সদস্য স্বাস্থ্যবান ছিলেন, পরে তাকে ছবি দেখানো হলে সেই ব্যক্তি ‘এস আই সাইফুদ্দিন’ বলে জানান তিনি।
প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে পথচারী বর্ণিত সময় ও বিবরণের মিলে এমন একটি বস্তা ভর্তি ট্রাকের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে।
তবে থানায় এমন কোন জব্দ ট্রাকের অস্তিত্ব মিলেনি এবং ওসি অভিযান প্রসঙ্গে কিছু জানেন না বলে দাবী করেন।
ওসি জিয়াউল হক মুঠোফোনে বলেন,’ এরকম কোন অভিযান ঘটেনি, আপনার কাছে তথ্য থাকলে প্রতিবেদন করেন সমস্যা নেই। সাইফুদ্দিনের কাছে আমি জিজ্ঞেস করেছি সে জানিয়েছে এমন কিছু হয়নি।’
এস আই সাইফুদ্দিনও অভিযানের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘ আমি সেখানে কোন অভিযান পরিচালনা করিনি। ‘
এদিকে বিষয়টি আলোচনায় আসার পর নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ওসির বডিগার্ড হিসেবে দায়িত্বরত এক কনস্টেবল অভিযানটির নেপথ্যে ছিলেন এবং তার মধ্যস্থতায় থানায় নিয়ে যাওয়া ট্রাকটি টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে সেখানে ইয়াবা বা অন্যকিছু ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস বলেন, ‘ নিয়ম বহির্ভূত কোন কাজে জড়িত যেই হোক বিধি অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংশোধনী – প্রত্যক্ষদর্শীকে দেখানো ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছিলো পরে নতুন তথ্য পাওয়ায় প্রতিবেদনটি সাংবাদিকতার নীতি অনুসরণ করে সংশোধন করা হলো।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
















