উখিয়া থেকে ১০ ফিট লম্বা বার্মিজ অজগর উদ্ধার করে আবারো বনে অবমুক্ত করেছে উখিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তারা।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩ টার দিকে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের মুহুরিপাড়া এলাকা থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয় বলে জানায় দৌছড়ির বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হাসান রনি।
তিনি জানান, বিকেল ৩টার দিকে উখিয়া সদর বিটের আওতাধীন মুহুরি পাড়ার স্থানীয় এক বাসিন্দার ঘরে প্রবেশ করে অজগরটি, পরে স্থানীয়রা বনবিভাগকে খবর দিলে তারা এসে উদ্ধার করে।
বিকেলের দিকে দৌছড়ি বিটের গহীন জঙ্গলে সাপটিকে নিরাপদে অবমুক্ত করা হয় বলে জানান বিট কর্মকর্তা রনি।
অজগরটির দৈর্ঘ্য লম্বায় ১০ ফিট এবং ওজন ১৫ কেজি।
এদিকে এর আগেও বেশ কয়েকবার উখিয়ার দৌছড়ি বিট, সদর বিট ও ইনানী রেঞ্জের অধীনে জালিয়া পালং বিট থেকে বার্মিজ অজগর উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট উখিয়া রেঞ্জের অধীনে দোছড়ি বিটের নাপিতপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের বাড়ি থেকে ১০ ফিট লম্বা, আনুমানিক ২৫ কেজি ওজনের একটি বার্মিজ অজগর উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর সেটাও সংরক্ষিত বনের প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়।
এর আগে ২২ জুন উখিয়া সদর বিটের আওতাধীন কিল্লামোরা বাগানপাড়া এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ১৪ ফুট দৈর্ঘ্যের ২৫ কেজি ওজনের অজগর।
গত ৩১ আগস্ট রাজাপালং ইউনিয়নের হাতিমোড়া বাজার এলাকা থেকে আরও একটি বার্মিজ অজগর উদ্ধার করে বনবিভাগ, অজগরটির দৈর্ঘ্য ১৫ ফিট ও ওজনে ৩৫ কেজি বলে জানায় বনবিভাগ।
বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, গত ৬ মাসে উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ টি বার্মিজ অজগর উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়, এসব অজগরের বেশিরভাগ ১২-১৫ ফুট এবং ওজন ৩০ কেজির ভিতরে।
তিনি জানান, বার্মিজ অজগরের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে মনে করছেন, খাবারের সন্ধানে মিয়ানমার থেকে এপারে চলে আসতে পারে, তাছাড়া এসব অজগর ছাগলের বাচ্চা এবং মুরগিসহ ছোট প্রাণী খেতে পছন্দ করে, তাই জঙ্গল থেকে লোকালয়ে এসে খাবারের সন্ধানে মানুষের বাড়িঘরে প্রবেশ করছে।
আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা আই ইউ সি এন( IUCN) প্রাণীটিকে ২০১২ সাল থেকে রেডলিস্টে রেখেছে, তাছাড়া এই প্রাণীটির বিস্তৃতি সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে দেখা যায় বলে উল্লেখ করে সংস্থাটি।