ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার সৈকতে ‘লোক সমুদ্র’ ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ৫টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর নারী নেতৃত্বকে জাতির গৌরব বললেন লুৎফুর রহমান কাজল কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভায় বক্তারা: ‎কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের বিকল্প নেই ‎ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আস্থা গড়ার বদলে চাপ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ চৌফলদন্ডীর আমজাদ হত্যার আসামী ছৈয়দ নুর গ্রেফতার সমুদ্রবন্দর থেকে নামল সতর্ক সংকেত রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘের দ্বৈত ন্যারেটিভ: কেন এই দ্বন্দ্ব? উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু! বাঁকখালী নদীর তীরে পুনঃদখল উচ্ছেদে প্রশাসনের ফের অভিযান টেকনাফে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ নাফ নদীতে

যুদ্ধের পর প্রথম রায়েরবাজারে একাত্তরের শহীদদের শ্রদ্ধা জানালো শিবির!

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১২:২৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 211

মুক্তিযুদ্ধের পর এই প্রথম রায়েরবাজারে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের নেতারা। সূত্রমতে, এবারই প্রথম শিবিরের কোনো নেতাকর্মী একাত্তরের শহীদদের শ্রদ্ধা জানালো।

এর আগে ডাকসুর নেতারা শ্রদ্ধা জানান -২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের গণকবরে। এসময় নেতারা জানান, ৭১ এবং ২৪ -এর শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে এগিয়ে যেতে চান তারা।

এসময় সদ্য নির্বাচিত ডাকসু ভিপি সাদিক কায়ম জানান, যেভাবে জুলাইয়ে কাজ করেছেন সেভাবেই ঢাবি থেকে গণতান্ত্রিক বার্তা সর্বত্র পৌঁছে দিতে চান তারা।

তিনি বলেন, শহীদরা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। তাদের আকাঙ্ক্ষা নতুনভাবে পুনরুজ্জীবিত করার জন্যে চেষ্টা করে যাবে নতুন কমিটি।

ডাকসু জিএস এহসান ফরহাদ এসময় বলেন, বিজয়টা ছাত্র শিবিরের বিজয় না, শিক্ষার্থীদের বিজয়। শিক্ষার্থীদের জন্যে কাজ করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

হিজাব নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছে বলেও জানান ডাকসু নেতারা।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের পর রায়েরবাজারের প্রথম পরিচিতি ছিলো বধ্যভূমি হিসেবে। যেখানে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মরদেহ আবিষ্কৃত হয়েছিলো। এই স্থানে পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়, যা ১৯৯৬-১৯৯৯ সালে তৈরি করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৪ ডিসেম্বর রায়েরবাজারের একটি নিচু এলাকায় হাজার হাজার বুদ্ধিজীবীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই স্থানটি বুদ্ধিজীবীদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের গণহত্যার একটি ভয়াবহ প্রতীক।

এই ঐতিহাসিক বধ্যভূমির স্মৃতি রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৯ সালে তা সম্পন্ন হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

This will close in 6 seconds

যুদ্ধের পর প্রথম রায়েরবাজারে একাত্তরের শহীদদের শ্রদ্ধা জানালো শিবির!

আপডেট সময় : ১২:২৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের পর এই প্রথম রায়েরবাজারে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের নেতারা। সূত্রমতে, এবারই প্রথম শিবিরের কোনো নেতাকর্মী একাত্তরের শহীদদের শ্রদ্ধা জানালো।

এর আগে ডাকসুর নেতারা শ্রদ্ধা জানান -২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের গণকবরে। এসময় নেতারা জানান, ৭১ এবং ২৪ -এর শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে এগিয়ে যেতে চান তারা।

এসময় সদ্য নির্বাচিত ডাকসু ভিপি সাদিক কায়ম জানান, যেভাবে জুলাইয়ে কাজ করেছেন সেভাবেই ঢাবি থেকে গণতান্ত্রিক বার্তা সর্বত্র পৌঁছে দিতে চান তারা।

তিনি বলেন, শহীদরা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। তাদের আকাঙ্ক্ষা নতুনভাবে পুনরুজ্জীবিত করার জন্যে চেষ্টা করে যাবে নতুন কমিটি।

ডাকসু জিএস এহসান ফরহাদ এসময় বলেন, বিজয়টা ছাত্র শিবিরের বিজয় না, শিক্ষার্থীদের বিজয়। শিক্ষার্থীদের জন্যে কাজ করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

হিজাব নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছে বলেও জানান ডাকসু নেতারা।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের পর রায়েরবাজারের প্রথম পরিচিতি ছিলো বধ্যভূমি হিসেবে। যেখানে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মরদেহ আবিষ্কৃত হয়েছিলো। এই স্থানে পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়, যা ১৯৯৬-১৯৯৯ সালে তৈরি করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৪ ডিসেম্বর রায়েরবাজারের একটি নিচু এলাকায় হাজার হাজার বুদ্ধিজীবীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই স্থানটি বুদ্ধিজীবীদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের গণহত্যার একটি ভয়াবহ প্রতীক।

এই ঐতিহাসিক বধ্যভূমির স্মৃতি রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৯ সালে তা সম্পন্ন হয়।