ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাগিবের ” প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ ” অর্জন পোকখালীতে আলোচিত শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দুজন হেফাজতে চকরিয়ায় মহাসড়কে রশির ফাঁদে আটকিয়ে ডাকাতি, নিহত ১ রামু কেন্দ্রীয় প্রবারণা ও কল্প জাহাজ ভাসা উদযাপন পরিষদ গঠিত টেকনাফে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযান- নারী-শিশুসহ অপহৃত ৬৬ জন উদ্ধার কক্সবাজারে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স- দুই মাসে গ্রেফতার ৫৫৬ মাদক ব্যবসায়ী এবারের দুর্গাপুজায় দর্শনার্থীদের সাথে সাদা পোশাকে মিশে যাবে র‍্যাব চাকসু নির্বাচনে লড়ছেন পেকুয়ার শাওন তালেবানের আমন্ত্রণে আফগানিস্তান সফরে মামুনুল হকসহ সাত আলেম টেকনাফে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে যুবক আটক টেকনাফে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে যুবক আটক কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করল ড. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন রামুর বাঁকখালী নদীতে ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুক্রবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনের দাবিতে রামুতে বিএনপির মানববন্ধন চকরিয়ায় মার্কেটের ছাদ ধস: ভাসমান ব্যবসায়ী আহত

তিনটি ট্রলারসহ ১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনের পূর্বে সাগর থেকে তিনটি মাছ ধরার ট্রলারসহ বাংলাদেশি ১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা। সাগরে মাছ ধরার সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিকটবর্তী সীতা এলাকা থেকে রবিবার (৩১ আগস্ট) রাতের দিকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, মো. আলমগীর, আবদুর রহিম, মো. আলম, মো. সব্বির, মো. তৈয়ুব, আবু তাহের, মনি উল্লাহ, রহমত উল্লাহ, আবু বক্কর ছিদ্দিক, সৈয়দ উল্লাহ, মো. রফিক, আবছার মাঝি, মো. তাহের, আবদুল মতলব, হাফেজ আহমেদ, আমিনুরুল হোসেন ও সালা উদ্দিন। তারা সবাই দ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরার সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সীতা এলাকা তিনটি ট্রলারসহ ১৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এ নিয়ে জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।’

স্থানীয় এক জেলে বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের পূর্বে সাগরে মাছ ধরার সময় মিয়ানমার জলসীমা থেকে হঠাৎ করে অস্ত্রের মুখে একটি স্পিডবোট এসে জেলেদের ধাওয়া করে। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা বাংলাদেশ জলসীমায় ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা তিনটি নৌযানকে ধাওয়া করে ধরে নিয়ে যায়। এসব নৌযানে ১৮ জন জেলে ছিল।’

ট্রলার মালিকরা বলেন, ‘মাছ শিকারের সময় আমার ট্রলারসহ তিনটি ট্রলার ধরে নিয়ে যায়। তাদের ফিরিয়ে আনতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চাই।’

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের তিনটি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

ট্রলার মালিক সমিতি ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদসংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩১৮ জেলেকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। তাদের মধ্যে বিজিবির সহায়তায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। বাকি ১১৮ জন জেলে এখনও তাদের হেফাজতে রয়েছেন। এর মধ্যে গত কয়েকদিনে ৬৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাগিবের ” প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ ” অর্জন

This will close in 6 seconds

তিনটি ট্রলারসহ ১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি

আপডেট সময় : ০২:০৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনের পূর্বে সাগর থেকে তিনটি মাছ ধরার ট্রলারসহ বাংলাদেশি ১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা। সাগরে মাছ ধরার সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিকটবর্তী সীতা এলাকা থেকে রবিবার (৩১ আগস্ট) রাতের দিকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, মো. আলমগীর, আবদুর রহিম, মো. আলম, মো. সব্বির, মো. তৈয়ুব, আবু তাহের, মনি উল্লাহ, রহমত উল্লাহ, আবু বক্কর ছিদ্দিক, সৈয়দ উল্লাহ, মো. রফিক, আবছার মাঝি, মো. তাহের, আবদুল মতলব, হাফেজ আহমেদ, আমিনুরুল হোসেন ও সালা উদ্দিন। তারা সবাই দ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরার সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সীতা এলাকা তিনটি ট্রলারসহ ১৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এ নিয়ে জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।’

স্থানীয় এক জেলে বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের পূর্বে সাগরে মাছ ধরার সময় মিয়ানমার জলসীমা থেকে হঠাৎ করে অস্ত্রের মুখে একটি স্পিডবোট এসে জেলেদের ধাওয়া করে। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা বাংলাদেশ জলসীমায় ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা তিনটি নৌযানকে ধাওয়া করে ধরে নিয়ে যায়। এসব নৌযানে ১৮ জন জেলে ছিল।’

ট্রলার মালিকরা বলেন, ‘মাছ শিকারের সময় আমার ট্রলারসহ তিনটি ট্রলার ধরে নিয়ে যায়। তাদের ফিরিয়ে আনতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ চাই।’

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের তিনটি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

ট্রলার মালিক সমিতি ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদসংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩১৮ জেলেকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। তাদের মধ্যে বিজিবির সহায়তায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। বাকি ১১৮ জন জেলে এখনও তাদের হেফাজতে রয়েছেন। এর মধ্যে গত কয়েকদিনে ৬৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন