মানবপাচারের ভয়াবহ চিত্র আবারও সামনে এসেছে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে। গতকাল শনিবার দুপুরে উত্তর লম্বরী পাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৩০ জনকে উদ্ধার করেছে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ। পাচারের উদ্দেশ্যে তাদের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হিমেল রায় জানান, সংবাদের ভিত্তিতে উত্তর লম্বরীঘোনা এলাকার সাইফুল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে আবদ্ধ অবস্থায় এই ৩০ জনকে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে নারী,পুরুষ ও শিশু রয়েছে।
দালালরা তাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়ার উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে সাগরপথে পাচারের চেষ্টা করছিল।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, দালালরা তাদের একটি সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। জীবনের কষ্ট দূর হবে এবং পরিবারের জন্য অর্থ এনে দিতে পারবে, এই আশায় তারা তাদের সর্বস্ব দিয়ে পাচারকারীদের হাতে নিজেদের সঁপে দিয়েছিল।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, অভিযানের সময় পাচারকারী পালিয়ে যায়। তবে তাদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং দালালদের আইনের আওতায় আনতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতিও চলছে বলে তিনি জানান।
সীমান্তবর্তী এ এলাকায় দারিদ্র্যপীড়িত মানুষগুলো সহজেই দালালদের প্রলোভনে পা দেয়। উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে দালালরা। এরপর নৌপথে তাদের অনিশ্চিত ও বিপজ্জনক যাত্রার মুখে ঠেলে দেয় এ চক্র।
পুলিশ নানা সময় অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের উদ্ধার করলেও থেমে নেয় মানবপাচার। এর আগেও কয়েক ধাপে পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা নারী পুরুষদের উদ্ধার করেছে পুলিশ।