বর্ষার মৌসুম আসার সাথে সাথেই আমাদের ঠাণ্ডা,কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে এমন ঋতুতে কমে যায় আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। এক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা এসব সমস্যা থেকে প্রতিকারের জন্য অনেক রকমের ঘরোয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যার মধ্যে হলুদের চা এবং আদার চা শীর্ষে রয়েছে। যেহেতু এই মৌসুমে ঠাণ্ডা-সর্দিজনিত রোগের প্রবণতা বেড়ে যায় তখন আপনার শরীরের সুস্থতার জন্য কোনটি উপকার হতে পারে টা নিয়েও থাকছে সন্দেহ !
হলুদ ও আদা চায়ের উপকারিতা
‘হলুদের চা’ বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। কারণ এতে আছে কারকিউমিন বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপাদান যা আপনার শরীরকে যেকোনো রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করতে পারে এবং এটি আপনার শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। অন্যদিকে, জ্বর, সর্দি-কাশি এবং ঠান্ডার জন্য জনপ্রিয় প্রতিকার হলো ‘আদা চা’। আদা চা খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আদা চা নাকি হলুদের চা কোনটি বেছে নেবেন?
যদিও হলুদ এবং আদার চা উভয়েরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপকারিতা রয়েছে। তবে, বিশেষ করে বর্ষাকালে যেহেতু রোগের প্রবণতা বেশি থাকে এজন্য আদা চা বেছে নেওয়া হতে পারে উত্তম কারণ এটি তাৎক্ষণিকভাবে উপশম দেয়। বর্ষাকালে হওয়া কাশি, সর্দি এবং গলার সমস্যাগুলোর প্রতিরোধে আদা অনেক বেশি উপকারী। অন্যদিকে, হলুদ জল দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির জন্য আরও ভালো। তবে দুটিই আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
যেভাবে তৈরি করবেন আদা চা
একটি তাজা আদা কুঁচি করে ৫-৭ মিনিট পানিতে ফুটাতে দিন। কয়েক মিনিট ঢেকে রাখুন তারপর তুলসী পাতা যোগ করুন যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করবে। তারপর সেই পানিটা হালকা ঠাণ্ডা হলে একটু কাপে ঢেলে এক চামচ মধু মিশিয়ে তারপর পান করুন।
পরামর্শ
আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় নতুন কিছু যোগ করার আগে, বিশেষ করে যাদের অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তারা একজন ডাক্তার বা একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি ফুড