ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খুরুশকুলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ২ লাখ টাকা ছিনতাই মিয়ানমারে কিছু বাংলাদেশি আটকা পড়ে আছে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ আধুনিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকারে পূর্ব জোয়ারিয়ানালা এলাকাবাসীর মতবিনিময় ২৩ ডিসেম্বর সাবেক মন্ত্রী মৌলভী ফরিদ আহমদের ৫৩তম শাহাদত বার্ষিকী চমকপ্রদ কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইয়ুথ হিউম্যানিট্যারিয়ান সার্ভিস অর্গানাইজেশন – পুলিশ সুপার আল-আসাদ কুতুবদিয়ার তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে সারা বছর: রয়েছে সুখ্যাতি আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দু’মাসে ঢুকেছে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শিশু হত্যার জেরে এক বছর নিষিদ্ধ টিকটক শীতের মধ্যেই কক্সবাজার শহরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সাগরে নিম্নচাপ: হতে পারে বৃষ্টি বছরের দীর্ঘতম রাত আজ উখিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে টিসিবি পণ্য জব্দ, তিন ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড আজ বিছানা না গোছানোর দিন!

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 640

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার এলাকা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডু শহর দখলের দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। ফলে সীমান্তের প্রায় পৌনে তিনশ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।

সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা কয়েক মাসের লড়াইয়ের পর রবিবার সকালে মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত জান্তার সর্বশেষ সীমান্ত ঘাঁটি,বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ দখল করেছে।

সোমবার রাখাইন মিডিয়া জানায়, মংডু যুদ্ধের পর সামরিক অপারেশন কমান্ড ১৫-এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন টুন এবং প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ জান্তা বাহিনীর সদস্যদের আটক করেছে আরাকান আর্মি।

মে মাসের শেষ দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। পুরো শহর নিজেদের দখলে নিতে তাদের ছয় মাস সময় লেগেছে।

আরাকান আর্মির দাবি, তারা মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিনটি শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এগুলো হলো-রাখাইন রাজ্যের মংডু ও বুথিডং এবং ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন চিন রাজ্যের পালেতোয়া।

রাখাইনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরুদ্ধার রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী মানুষের দুর্দশা লাঘব করতে সহায়ক হবে।

জাতিসংঘ গত মাসে জানিয়েছিল যে রাখাইনের ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে।

জান্তা সরকার রাজ্যের সড়ক এবং জলপথ অবরোধ করেছে। ফলে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্যের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বিশ্লেষক আরও বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে জটিল রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হলে বাংলাদেশের সরকারকে আরাকান আর্মির সঙ্গে অর্থবহ আলোচনায় বসতে হবে। কারণ তারা এখন দক্ষিণ রাখাইনের গওয়া, তাউংগুপ এবং আন শহরের দখল নেওয়ার জন্য লড়াই করছে। এরই মধ্যে আন শহরের বেশিরভাগ অংশ এবং ৩০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি ও অবস্থান দখল করেছে তারা।

 

ট্যাগ :

খুরুশকুলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ২ লাখ টাকা ছিনতাই

This will close in 6 seconds

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার এলাকা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডু শহর দখলের দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। ফলে সীমান্তের প্রায় পৌনে তিনশ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।

সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা কয়েক মাসের লড়াইয়ের পর রবিবার সকালে মংডু শহরের বাইরে অবস্থিত জান্তার সর্বশেষ সীমান্ত ঘাঁটি,বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫ দখল করেছে।

সোমবার রাখাইন মিডিয়া জানায়, মংডু যুদ্ধের পর সামরিক অপারেশন কমান্ড ১৫-এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন টুন এবং প্রায় ৮০ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহীসহ জান্তা বাহিনীর সদস্যদের আটক করেছে আরাকান আর্মি।

মে মাসের শেষ দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। পুরো শহর নিজেদের দখলে নিতে তাদের ছয় মাস সময় লেগেছে।

আরাকান আর্মির দাবি, তারা মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিনটি শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এগুলো হলো-রাখাইন রাজ্যের মংডু ও বুথিডং এবং ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন চিন রাজ্যের পালেতোয়া।

রাখাইনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরুদ্ধার রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী মানুষের দুর্দশা লাঘব করতে সহায়ক হবে।

জাতিসংঘ গত মাসে জানিয়েছিল যে রাখাইনের ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে।

জান্তা সরকার রাজ্যের সড়ক এবং জলপথ অবরোধ করেছে। ফলে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্যের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বিশ্লেষক আরও বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে জটিল রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হলে বাংলাদেশের সরকারকে আরাকান আর্মির সঙ্গে অর্থবহ আলোচনায় বসতে হবে। কারণ তারা এখন দক্ষিণ রাখাইনের গওয়া, তাউংগুপ এবং আন শহরের দখল নেওয়ার জন্য লড়াই করছে। এরই মধ্যে আন শহরের বেশিরভাগ অংশ এবং ৩০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি ও অবস্থান দখল করেছে তারা।