বিশেষ প্রতিবেদক :
জটিল সমীকরনে চলে গেলো চকরিয়া-পেকুয়া সংসদীয় আসনটি। একদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে আপিল বিভাগ। অন্যদিকে জাফর আলমের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ খারিজ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এক্ষেত্রে জাফরের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠলো কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম। সেখানে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের প্রার্থী থাকলেও তা টিকে থাকার সম্ভাবনা খুব একটা নেই বলছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
এমনকি জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াসের স্ত্রী হোসনে আরা থাকলেও তার মাঠে হাক ডাক নেই।
এদিকে বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ সালাউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের আদেশ দেন। একই দিন নির্বাচন কমিশন জাফর আলমের বিরুদ্ধের অভিযোগ খারিজ করে।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহউদ্দিন আহমদ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা সালাহউদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
এছাড়াও ৬ ডিসেম্বর হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে জাফর আলমের প্রার্থীতা বাতিলের আবেদন করে কল্যান পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন। যা খারিজ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
এদিকে নৌকার প্রার্থী সালাউদ্দিনের প্রার্থীতা বাতিল এবং জাফর আলমের প্রার্থীতা টিকো যাওয়ায় নতুন করে গুঞ্জন উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে যাওয়া জাফর আলমের ঘাটেই কি নৌকা ভিড়বে নাকি আওয়ামীলীগ এ আসনে কল্যান পার্টিকে ছেড়ে দিবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, কল্যান পার্টিকে ছেড়ে দিলে তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলে জাফর আলম জিতে যাবে তাই আওয়ামীলীগ হয়ত এ ভাবনা থেকে হয়ত জাফর আলমকেই নৌকা ফিরিয়ে দিতে পারে।