সানজীদুল আলমঃ
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর আবু ছৈয়দকে হত্যার পর তার পা কেটে উল্লাস করার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পেকুয়া উপজেলার মগনামা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ২নং আসামী ও অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী নেজামুল ইসলাম মোজাহিদ’সহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৫ ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন (১) নেজামুল ইসলাম মুজাহিদ (২৮), পিতা-নুরুল ইসলাম, সাং-আফজলিয়াপাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, মগনামা ইউনিয়ন,থানা-পেকুয়া, জেলা-কক্সবাজার।
(২) আমিরুজ্জামান (২৮), পিতা-মৃত নুরুন্নবী, সাং-আফজলিয়াপাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, মগনামা ইউনিয়ন, থানা-পেকুয়া, জেলা-কক্সবাজার।
(৩) জামিল ইব্রাহিম ছোটন (২৫), পিতা-মৃত নুরুন্নবী, সাং-আফজলিয়াপাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, মগনামা ইউনিয়ন, থানা-পেকুয়া, জেলা-কক্সবাজার।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক জানায় , ঘটনার ৩ দিন আগে হত্যাকারীদের গোপন সভার পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ অক্টোবর বিকেলে আবু ছৈয়দকে তার শ্বশুরবাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং পরে ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যান ঘাটতকেরা । পরে সেই কাটা পা নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠে তারা ।
পরে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আবু সৈয়দের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার রাতে ৩ জন আসামী র্যাবের হাতে আটকের পর ঘটনার দায় স্বীকার করে এমন রোমহর্ষক বর্ণনা দেন।
র্যাব সুত্রে আরো জানা যায় , ১০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ রোজ মঙ্গলবার বিকেল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়াপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আবু ছৈয়দ’কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাসহ তার একটি পা কেটে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।এছাড়াও এ ঘটনায় আবু ছৈয়দের স্ত্রীসহ চারজন গুরুতর আহত হয়।
পরবর্তীতে গত ১১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে নিহতের ছেলে ছৈয়দ মোহাম্মদ ইমন বাদী হয়ে এজাহানামীয় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, নিহত আবু ছৈয়দ ২০২১ সালে মগনামায় আলোচিত জয়নাল আবেদীন হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি। সে দীর্ঘ ছয় মাস কারাভোগ শেষে গত তিন মাস আগে জামিনে বেরিয়ে আসেন। মূলত জয়নাল হত্যাকান্ডের জের ধরেই আবু ছৈয়দকে হত্যা করা হয়েছে।