•কাব্য সৌরভ
মহেশখালীর কুতুবজোমের ঘটিভাঙা থেকে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ ইয়াবা কারবারীকে আটক করেছে র্যাব-১৫।
বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুতুবজোমের ঘটিভাঙা ঘাটে র্যাব এই অভিযান চালায়। এসময় একটি ট্রলার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার, তিনটি মোবাইল, পাঁচটি সিম ও ইয়াবা পরিবহন করা ট্রলার জব্দ এবং ৪ জনকে আটক করা হয় বলে জানায় র্যাব।
আটককৃতরা হলেন, জাহিদ হোসেন (৩২) পিতা- মসলুম মিয়া, কবির হোসেন (৪০) পিতা- মৃত তাজুর মুল্লুক, রুহুল আমিন, পিতা- মৃত মজু বলী, ছালাম্মত উল্লাহ (২১) পিতা- মৃত হাবিবুল্লাহ। তারা সকলে কুতুবজোম ইউনিয়নের বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মায়ানমার থেকে টেকনাফ ও কক্সবাজার হয়ে মহেশখালীর কুতুবজোম সোনাদিয়া উপকূলে ইয়াবা আনার কথা স্বীকার করেছে আটককৃতরা। তারা মায়ানমারের আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানকারী চক্রের যোগসাজশে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এসব মাদক দেশে নিয়ে আসে। তারপর দেশের সড়ক ও সাগরপথ ব্যবহার করে মহেশখালীর উপকূলে এসব ইয়াবা এনে তা পরবর্তীতে সাগর পথে লবণ ও মাছের ট্রলার এবং সড়ক পথে ট্রাক ও লবণের কাভার্ডভ্যানে করে সারাদেশে এই ইয়াবা চালান করে। দেশজুড়ে রয়েছে তাদের সিন্ডিকেট।
র্যাব জানায়, মহেশখালী উপকূলের কুতুবজোম সোনাদিয়া নৌ-পথ নিরবিচ্ছিন্ন হওয়ায় এই পথে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পরিবহনের নিরাপদ। এ-পথে দীর্ঘদিন ইয়াবা কারবারিরা অবৈধ মাদক পরিবহন করে আসছে। আটককৃতরা ছাড়াও রয়েছে এই সিন্ডিকেটের বিশাল গ্রুপ। তারা মহেশখালীতে মাদক এনে তা সারাদেশে চালান করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় র্যাব।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কুতুবজোম ও সোনাদিয়া নৌ-পথে কৌশলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ইয়াবাসহ নানা মাদকদ্রব্য আনছে এই সিন্ডিকেট। তাদের সাথে রয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ অনেকে। যারা ইতিমধ্যে আটক হয়েছে তারা শুধুমাত্র পরিবহনকারী, পেশার আড়ালে মাদক পরিবহন করে। এখনো আড়ালে থেকে গেছে ইয়াবা চোরাচালানকারী চক্রের বড় বড় রাঘববোয়ালরা।
সূত্র আরো জানায়, মাদক কারবারিরা কৌশলে সাগর ও সড়ক পথে মাছের ট্রলার, লবণের কাভার্ডভ্যান ব্যবহার করে সারাদেশে ইয়াবা পাচার করে। বিগত সময় গুলোতে কুতুবজোমে ইয়াবা কিনতে আসা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের লোক আটক হলেও এইসব ইয়াবাকাণ্ড স্থানীয় চক্রটি ধামাচাপা দেওয়ায় সবসময় আড়ালে থেকে যায় চক্রের মূলহোতারা।
স্থানীয়রা জানায়, মহেশখালীতে ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। নদী ও সড়ক পথ ব্যবহার করে গড়ে উঠা একাধিক মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনা না গেলে তা মহেশখালীসহ সারাদেশের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে।