Sunday, May 12, 2024

চৌফলদন্ডীতে হবু স্ত্রী’কে ভিডিও কলে গালমন্দ, সংযোগে রেখে আত্মহত্যা

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডীতে হালিমা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আত্মহত্যাকারী হালিমা আক্তার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বদিউল আলমের কন্যা। তবে তার জন্ম সৌদি আরবে, বদিউল আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী রয়েছে বলে জানা গেছে। ছোট বেলায় তাকে স্বদেশে নিয়ে আসে বাবা বদিউল আলম। বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনাটি ঘটে বসত ঘরের রুমে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আমানুল হক আমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানালা থেকে উঁকি দিয়ে দেখতে পান ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে হালিমা।

পরে পুলিশকে জানানো হয়। সদর মডেল থানার একদল পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। একই দিন বিকেলে দাফন সম্পন্ন করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত হালিমা আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মোবারক নামের এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের কথা উভয় পরিবারে জানাজানি হলে সামাজিক ভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে রাজি হয়। মেয়ের বয়স পূর্ণ না হওয়ায় নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প মূলে বিয়ের চুক্তিপত্র সম্পাদন করে উভয় পরিবার।তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও আসা যাওয়া ছিল।

স্থানীয়রা জানান, হালিমা আক্তার ঘটনার ৬ দিন পূর্বে বড় বোনের বাড়িতে মাছুয়া খালী যায়, সেখানে একটি স্বর্ণের চেইন হারিয়ে যায়। চেইন হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বড় বোন মুঠোফোনে তার মা বাবাকে অবগত করলে পরদিন চৌফলদন্ডী বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে আনার পর সৎ মা এবং পিতা মিলে বকাঝকা করে হালিমাকে। ঘটনাটি শুনে যায় হবু স্বামী মোবারক, স্বর্ণ চুরির বিষয় নিয়ে ভিডিও কলে তাদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরে মোবারক অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং আত্মহত্যা করে মরে যাওয়ার প্ররোচিত করে। হালিমা আক্তার ভিডিও কল কেটে না দিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। দীর্ঘক্ষন সাড়াশব্দ না পেয়ে হবু স্বামী মোবারক মেয়ের বাবা বদিউল আলমকে মুঠোফোনে জানালে রুমে গিয়ে দেখতে পান মেয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। এ ঘটনায় হবু স্বামী মোবারককে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান পিতা বদিউল আলম।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর শফিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ওসির নির্দেশে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে।

ভিকটিমের পরিবার মামলা দায়ের করলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
নিহত হালিমা আক্তার চৌফলদন্ডী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page