আব্দু রশিদ মানিক:
ওবায়দুল হাসান শিহাদ, কক্সবাজার শহরের একজন চামড়া ব্যবসায়ী।এবারের ইদুল আজহায় তিনি কিনেছেন ২ হাজার পশুর চামড়া। তার কেনা বেশীর ভাগ চামড়া ১০ বর্গফুট সাইজের যার প্রতি বর্গফুটের দাম ৪০ টাকা। তিনি জানান,ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৪৫ টাকা থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
শ্রমিকের বেতন, পরিবহন খরচ লবনের দাম বাদ দিলে প্রতি বর্গফুটে তার লোকসান হয় ৪ টাকা। এমতাবস্থায় তার চোখে সর্ষে ফুল দেখছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর ডিককুলের তার চামড়ার গুদামে গিয়ে দেখা যায়,২০ জন শ্রমিক চামড়া লবন দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করার কাজ করছে।তবে সেখানে দেখা দিয়েছে লবনের সংকট।
একদিকে প্রতি বর্গফুটে লোকসান তার উপর লবনের সংকটে অনেক চামড়াই নষ্ট হয়ে যাওয়ার নতুন করে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে এ তরুন ব্যবসায়ী। এ নিয়ে বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রিদুওয়ানুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান,লবনের যেনো কেউ কৃত্রিম সংকট করতে না পারে এবং লবন সবরাহ পর্যাপ্ত থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করছে তারা।
তবে চামড়া ব্যবসায়ী ওবায়দুল হাসান এই সহকারী মহাব্যবস্থাপক কে তার লবন সংকট নিয়ে ফোন করে সহযোগীতা চাইলে আশানুরুপ সাড়া পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় আরেক চামড়া ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাজুর সাথে, তিনি বলেন এ বছর ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। কক্সবাজার শহরে ছোট থেকে বড়ো লবন ছাড়া চামড়া কেনা হয়েছে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। তারপরও লাভ তো দুরের কথা আসলই পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। শুধু কক্সবাজার পৌর শহরে নয় জেলায় সবখানে চামড়া কিনে বিপাকে ব্যবসায়ীরা।