টিটিএন ডেস্ক:
ভারতে আটকে থাকা বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাস পেয়েছেন। দেশে ফিরতে আর বাধা নেই এই বিএনপি নেতার।
সোমবার (১২ জুন) ‘ট্রাভেল পাস’ হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সালাহ উদ্দিন। দেশে ফেরার আগে ভারতে বেশকিছু আইনি প্রকিয়া শেষ করতে হবে তাকে। তাছাড়া ফেরার আগে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করিয়ে নিতে চান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘গতকালই ট্রাভেল পাস বাংলাদেশ মিশন থেকে পেয়েছি। এটি ৮ জুন ইস্যু করা হয়েছে। এখন দেশে ফেরার পথ খুলল।’
ওইদিনই সালাহ উদ্দিন দেশে ফেরার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার আবেদন গ্রহণ করার কথা জানান। তবে ভারতে আরও কিছু আইনি শেষে দেশে ফিরতে পারবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘এই তো ট্রাভেল পাস পেলাম। দেশে ফেরার আগে শারীরিক চেকআপ করিয়ে নিতে চাই। সেজন্য দিল্লি যেতে হবে। যে হাসপাতালে আমি চিকিৎসা করিয়েছি সেখানকার ডাক্তারদের দেখাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কবে দেশে ফিরব এখনই বলতে পারছি না। কারণ শারীরিক যেসব সমস্যায় ভুগছি তা দেখানোর পর সময়সূচি ঠিক করতে পারব। দেশ যাওয়ার প্রতীক্ষায় আছি। কিন্তু চিকিৎসাটা এখানে সেরে যেতে না পারলে দেশে ফিরে কী অবস্থায় পড়ব, তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বেশ কিছু রোগে ভুগছেন দীর্ঘ দিন ধরে।
গত ৫ বছর আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি শিলংয়ের বাইরে যেতে পারেননি তিনি। এসব কারণে তার চিকিতসার ফলোআপ করতে পারেননি তিনি। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তার কিডনি ও ঘাড়ে দুইটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। এরও আগে বাংলাদেশে তার হার্টে তিনটি রিং বসানো হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আট বছর আগে ভারতের বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অনুপ্রবেশের মামলায় গ্রেপ্তার হন, তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়।
সেই মামলায় গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি খালাস পেলেও ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ না পাওয়ায় তিনি দেশে ফিরতে পারছিলেন না। কারণ তার কাছে পাসপোর্ট নেই।
বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে নামেন।
২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য হন, পরে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পান। সালাহ উদ্দিন শিলংয়ে থাকার সময়ই বিএনপির কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।