Thursday, May 16, 2024

আরা বাংলাদেশত আর থাকিতো নচাই, ঘরত যাইয়ুম গই

বিশেষ প্রতিনিধি :

দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বাংলাদেশে আছে রোহিঙ্গা শিশুরা, দুই হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে তারাও মিনতি জানালো বড়জনদের সাথে।তাদের এই মিনতি মাতৃভূমিতে ফেরার।

বৃহস্পতিবার নিজ দেশ মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন করার দাবী নিয়ে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে এক কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।

যার অংশ হিসেবে প্রায় দশ হাজার রোহিঙ্গা উখিয়ার লম্বাশিয়া ১ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নেয়।

সমাবেশের বক্তারা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের নিজ নিজ গ্রামে পুনর্বাসন শুরু করা, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা, রাখাইন রাজ্যে আইডিপি ক্যাম্প বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা, মায়ানমারে নিরপরাধ মানুষের উপর নির্যাতন বন্ধ করা সহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন।

সমাবেশে আত্নপ্রকাশ করা এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটির মুখপাত্র রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী কামাল বলেন, ” আমরা গৃহহীন থাকব? আমরা আর গৃহহীন থাকতে চাই না। আমরা আমাদের এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা মিয়ানমারে আমাদের মাতৃভূমি আরাকানে ফিরে যেতে চাই এবং সেখানে যথাযথ অধিকার নিয়ে নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে চাই।”

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান “প্রত্যাবাসন সম্পর্কে সাধারণ রোহিঙ্গাদের বোঝাতে আশ্রয়শিবিরগুলোতে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা। আজ এক দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফের সব কটি আশ্রয়শিবিরে গো হোম ক্যাম্পেইন চলেছে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।”

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। কিন্তু এ পর্যন্ত গত ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি।

তবে প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চলমান আলোচনার মধ্যে এই সমাবেশ করল রোহিঙ্গারা।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page