Saturday, May 18, 2024

কক্সবাজার পৌর নির্বাচনে আচরণ বিধি মানছে না প্রার্থীরা: হার্ড লাইনে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে দিনরাত প্রচারণা। আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী,স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার ছেয়ে গেছে পৌর এলাকা। তবে পোস্টার লাগানো ও প্রচারণার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধ মানছেনা অনেক প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশন বলছেন, প্রার্থীদের পোস্টার রশি দিয়ে টানাতে হবে। পোস্টারে পারিবারিক বা সামাজিক কোন পরিচিতি এবং প্রার্থীর ও দলীয় প্রধানের ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি ব্যাবহার করা যাবেনা। এছাড়াও একজন মেয়র প্রার্থী চার লাখ টাকার অধিক খরচ করতে পারবে না।

তবে সরেজমিনে দেখা যায় তার উল্টো চিত্র। সরকারী অফিসের দেয়াল, ঘরের দেয়াল, খুটি, গাছ ও শৌচাগারেও লাগানো হয়েছে পোস্টার। একজন প্রার্থী যত ইচ্ছে খরচ করছে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না কেউ।

তবে প্রার্থীদের দাবী, তারা আচরণবিধি মেনেই প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে পৌর বাসি বলছেন, নির্বাচনী প্রচারণা ও পোস্টার লাগানোর বিধিনিষেধ মানছেন না অনেক প্রার্থী। বিধিনিষেধ প্রয়োগে নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা দেখা গেলেও যে যার মত করে মাইকিং করছেন, যেখানে-সেখানে পোস্টার লাগিয়েছেন এবং ব্যাঙ্গের ছাতার মত নির্বাচনী অফিস বানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে কক্সবাজার পৌরসভা এলাকার প্রধান সড়ক ও অলিগলি। বাদ যায়নি শৌচাগারও। পোস্টার ও ব্যানারে ব্যাবহার করা হয়েছে পারিবারিক ও সামাজিক পরিচিতি। লাগানো হয়েছে পারিবারিক ও বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি। পোস্টার তৈরীর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নাম ও সিরিয়াল লিখার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি।
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কত ব্যয় করা যাবে নির্দিষ্ট আইন থাকলেও মানছেন না কেউ। তবে কোনো কোনো মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ইতিমধ্যে কোটি টাকার উপরে খরচ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও একজন মেয়র প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় ৫টি অফিস ও কাউন্সিলর প্রার্থী ১টি অফিস এবং মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ৩টি করে নির্বাচনী অফিস করার নিয়ম থাকলেও মানেনি কেউ। সরেজমিনে দেখা গেছে, একজন মেয়র প্রার্থী ১২টি ওয়ার্ডে ৩০টিরও অধিক নির্বাচনী অফিস চালু করেছে। পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তারাও নিয়ম না মেনে একের অধিক নির্বাচনী অফিস নির্মাণ করেছে।

তবে এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের নগদ টাকা প্রদানে টোকেন পেয়ে নির্বাচন আইনের ১৮ এর (ঘ) এর ৩১ ধারা মতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের সমর্থক কহিনুর আকতারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে একই অপরাধ না করার শর্তে প্রার্থী মুচলেকা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও আওয়ামীলীগের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান মাবুর সমর্থকদেরকেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রচারনার গাড়ী জব্দ হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইতিমধ্যে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থককে জরিমানা করা হয়েছে। একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীকেও জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। কেউ যদি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page