Monday, May 13, 2024

আমরণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, এ পণের সমাপ্তি একমাত্র মৃত্যু- আবছার

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসায় দীর্ঘ ২২ বছর কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার। যা দেশের পৌরসভার ইতিহাসে বিরল। চেয়ারম্যান থাকাকালীন কোন মোহ তাকে ছুঁতে পারেনি। ২২ বছরে নিজের জন্য কিছু না করলেও অসংখ্য গরীব অসহায় মানুষের মেয়েকে নিজের টাকায় বিয়ে দিয়েছেন। হতদরিদ্র সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পাশে ছিলেন সবসময়। বেকারদের জন্য তিনি ছিলেন আস্থার প্রতীক। এভাবেই আজীবন নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করে গেছেন জনদরদী নুরুল আবছার। তাঁর প্রাপ্তির খাতাটি কালো টাকা আর অবৈধ সম্পদে ভরপুর না হলেও মানুষের ভালবাসায় পরিপূর্ণ। নিজের জন্য কিছুই করেননি।এতো বছর পরও তার নেই মাথা গোঁজার স্থায়ী কোন ঠাঁই। ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন চারবারের এই সাবেক পৌর চেয়ারম্যান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার শুধু একজন চেয়ারম্যান ছিলেন না,দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে রাজনীতির সাথে জড়িত । ছিলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের জিএস। ছাত্র থাকাকালীন জড়িয়ে পড়েন দেশের স্বাধীকার আন্দোলনে। প্রয়াত ক্যাপ্টেন আবদুস সোবহানের নেতৃত্বে অংশ নেন একাধিক দুঃসাহসিক অভিযানে।

ছাত্রজীবন থেকেই নুরুল আবছার মানুষের দুঃখ—দুর্দশায় পাশে থাকেন। এক পর্যায়ে গণমানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় জায়গা করে নেন তিনি।

জীবনের শেষ বেলায় এসে তিনি আবারও মানুষের জন্য হাল ধরতে চাইছেন। দ্বীন ও মানুষের খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার পণ করেছেন। মোটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার বলেন, ‘মানুষের সেবা করতে করতে আমার জীবনটা অতিবাহিত হয়েছে। তাতেও আমার তৃপ্তি হয়নি। আজীবন আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। এই পণের সমাপ্তি একমাত্র মৃত্যু। তাই সবার প্রতি আমার অনুরোধ, সবকিছু যাচাই—বাছাই করুন, তারপর জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুন। মনে রাখবেন, একটি ভুল সিদ্ধান্ত আগামী ৫ টি বছর আপনাদের ভোগাতে পারে। মোটর সাইকেল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে। ইনশাআল্লাহ আমার বিজয়ের মালা হবে জনতার।’

জনদরদী নুরুল আবছারকে তাই জীবনের শেষবারে আবারও উপজেলার মসনদে বসানোর দায়িত্ব নিয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলাবাসী। আবছারের জন্য প্রাণপণে লড়ছেন ভোটের মাঠে। এবার একজন মেধাবী ও মানবতাবাদী নেতা পেতে যাচ্ছে সদর উপজেলাবাসী! এমন অভিমত সাধারণ ভোটারদের।

সাধারণ ভোটারদের অভিমত, মানুষ এখন বোকা নেই। কথার ফুলঝুরি দিয়ে মানুষকে ঠকানো যাবে না। কোন প্রার্থী কেমন সবাই এখন ভালভাবে জানে ও বুঝে। ভোট দেওয়ার আগে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর আমলনামায় হিসেব কষেছেন ভোটাররা। তাই মানুষ এবার আর ভুল করবে না। সবাই চায় একজন সৎ, জনবান্ধব, শান্ত ও দক্ষ চেয়ারম্যান। যার কাছে ধনী—গরীব কোন ভেদাভেদ থাকবে না। সেক্ষেত্রে ভোটারেরা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারকে পছন্দের শীর্ষে রেখেছেন।

চৌফলদণ্ডী খামার পাড়ার মুদি দোকানি নজু মিয়া জানান, ‘আমাদের হুংকার দিয়ে লাভ নেই। আমরা সঠিক মানুষকেই মূল্যবান ভোটটি প্রদান করবো। এ ক্ষেত্রে কারো ভয়ভীতি কাজে আসবে না।’

ভারুয়াখালীর ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি সাধারণ মানুষ কার কাছে গিয়ে সুখ—দুঃখের কথা বলতে পারবে। চরম সংকটে নুরুল আবছারের কাছে গিয়ে আমরা অন্তত শান্তনার বাণী পাবো। এটাই আমাদের কাম্য। ভারুয়াখালীতে নিরবে মোটর সাইকেল প্রতীকে বিপুল ভোট পড়বে।’

পিএমখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আবছার ভাই একজন পরীক্ষিত মানুষ। অন্তত তার কাছে গিয়ে আমাদের গালি শুনতে হবে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। কোন বিচার শালিস করতে টাকা দিতে হবে না। তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন নির্লোভ ও নিরহংকার মানুষ। এমন একজন সাদা মনের মানুষকে পিএমখালীবাসী চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেবেন।’

খুরুশকুল ইউনিয়নের রাজিব কান্তি দাশ বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষের জন্য নুরুল আবছার নিরাপদ একজন মানুষ। তিনি কখনো মানুষের জমি—হোটেল দখল করেননি। তাই আমরা তাকেই ভোট দিব।’

ঝিলংজা ইউনিয়নের চাঁন্দের পাড়ার শহিদুল আলম বলেন, ‘মানুষ ভুলে যায়নি মাওলানা গফুর চেয়ারম্যানের ভোটের সময় কেমন রক্তের হোলি খেলা খেলেছেন সাবেক মেয়র। যুগে যুগে তিনি ঝিলংজার মানুষকে নিপীড়ন করেছেন। তাই মানুষ ভুলেও তার দিকে আর পা বাড়াবে না।’

কক্সবাজার পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ জানিয়েছেন, পৌর এলাকায় নিরব ভোট বিপ্লব হবে মোটর সাইকেল প্রতীকের পক্ষে। কোন ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এখানকার মানুষকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ভোটের দিন কোন রকম কারসাজির প্রচেষ্টা করা হলে পৌরবাসী শক্তহাতে মোকাবেলা করবে। জনতার আবছার ভাইয়ের বিকল্প কেউ হতে পারে না।’

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page