নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০ হাজার টাকা জরিমানা আর মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলো নারিকেল গাছ মার্কার নারী কর্মী কোহিনুর আক্তার কে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাহারছড়া প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় টাকা বিতরনের করছে নারিকেল গাছ তথা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের নারী কর্মীরা, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অবস্থান নেয় ডিবি পুলিশের একটি দল।
তাদের তদন্ত চলাকালে উত্তেজনা দেখা দিলে সেখানে কয়েক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অবশেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ হাজির হন ঘটনাস্থলে। সেখানে তিনি টোকেন দেখতে পান, যে টোকেন দিয়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তবে ঘটনাস্থলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক উপস্থিত হয়ে দাবী করেন পুরো ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক। তবে তার সমর্থকেরা দাবী করেন টোকেন দিয়ে কর্মীদের টাকা দেয়া হচ্ছিলো, ভোটারদের নয়।
দীর্ঘ সময় দফায় দফায় শ্লোগান আর উত্তেজনার একপর্যায়ে প্রার্থী রাশেদ ও তার সমর্থকেরা রাস্তার বসে পড়ে প্রতিবাদী অবস্থান নেয়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, টোকেন জব্দ করেন এবং নারিকেল গাছ মার্কার নারী কর্মী কোহিনুর আক্তার কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেন।
মুঠোফোনে ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ টিটিএনকে জানান, নির্বাচনে আচরণ বিধির ১৮ গ ধারা লংঘনের অভিযোগে ৩১ ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে হয়রানী করার অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের কর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল করে শহরে। পরে প্রার্থীর নিজবাসস্থান হকশনে সংবাদ সম্মেলন করে মাসেদুল হক রাশেদ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।