শাহিদ মোস্তফা শাহিদ
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন তরুণ সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শরীফ কোম্পানি ও সমাজ সেবক, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইনের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ভোটার ও প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ আভাস পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ভোটারেরা জানিয়েছেন, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইনের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপি নেতা আবদুল কাদের ও ইঞ্জিনিয়ার শাহেদুল ইসলাম। বিএনপি জামায়াত অধ্যুষিত ইউনিয়ন থেকে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার দুইজন,আবার পাশাপাশি এলাকা থেকে তরুণ সমাজসেবক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব ইঞ্জিনিয়ার শাহেদুল ইসলাম নির্বাচনী এলাকায় শক্ত অবস্থানে থাকায় দেলোয়ার হোসাইনের এলাকার ভোট শাহেদের ব্যালেটেও পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা তরুণ সমাজসেবক মোহাম্মদ শরীফ কোম্পানি। আওয়ামী লীগ নেতা হাসান আলী ও ফরিদুল ইসলাম খান নির্বাচনে অংশ নিলেও তেমন একটা প্রভাব পড়ছে না শরীফ কোম্পানির ব্যালেটে।হাসান আলীর বড় ভাই সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর আলমের আমলের উন্নয়নের জন্য কিছু ভোট পাবে এমনটা আশা ভোটারদের। অন্য প্রার্থী ফরিদুল ইসলাম খানের ব্যানার পোস্টারও দেখেননি ভোটাররা।
গত বৃহস্পতিবার অসংখ্য ভোটার, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের প্রায়’জনের মন্তব্য এমন।
তারা বলেছেন,নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শরীফ কোম্পানি ও জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইনের।
স্থানীয়রা বলেন, মোহাম্মদ শরীফ কোম্পানি ও জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইনের গ্রহণযোগ্যতা ও ভোট ব্যাংক রয়েছে। দেলোয়ার হোসাইন গত নির্বাচনে অংশ নিয়ে মোহাম্মদ শরীফ কোম্পানির ভাই আবুল কালামের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এবার আবুল কালামের ভাই শরীফের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই হবে।
মোহাম্মদ শরীফ কোম্পানি বলেন, ‘আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবে জামায়াতের নেতা দেলোয়ার হোসাইন । তিনি গত নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন। বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তুলনামূলক ভাবে দুর্বল। আবদুল কাদেরের এলাকাটি জামায়াত অধ্যুষিত হওয়ায় সে এলাকার ভোট দেলোয়ারের দিকে যেতে পারে, অন্য একজন প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে জিরো। তাছাড়া দেলোয়ারের বাড়ির পাশে আরো একজন প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সাহেদুল ইসলাম থাকায় সাধারণ ভোটারদের রায় তার ব্যালটে আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। শরীফ কোম্পানি বলেন, দীর্ঘদিন সামাজিক কাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। জনগণ তাকেই ভোট দিয়ে ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বানাতে বদ্ধপরিকর।
দেলোয়ার হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার অনুসারী, শুভাকাঙ্ক্ষীরা বললেন, এবারে দেলোয়ার হোসাইনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শরীফ কোম্পানি।শরীফ কোম্পানির একটি ইমেজ রয়েছে। তাছাড়া ভোট ব্যাংকও রয়েছে। তবে প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হলে দেলোয়ার হোসাইন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর ইউনিয়নে এবারের ভোটার সংখ্যা ১৫.১০৮ ভোট।তৎমধ্যে পুরুষ ভোটার ৭.৯৬৪,নারী ৭.১৪৪ ভোট। ৯টি কেন্দ্রের ৪০টি কক্ষে আগামী ২৮ এপ্রিল ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
আগামীকাল প্রকাশ হবে পোকখালী ইউনিয়নের হালচাল।