আব্দুর রশিদ মানিক
মিয়ানমারের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে এবার মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিল মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২ সদস্য। গতকাল সকাল থেকে আজ পর্যন্ত ১৬ মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী এবং সেনা সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিল বাংলাদেশে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে সর্বশেষ দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি।
এর আগেরদিন রোববার রাতের দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং খারাংখালী এবং ঝিমংখালী সীমান্ত দিয়ে জীবন বাঁচাতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে একইদিন সকালে খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ মিয়ানমার বর্ডারগার্ড পুলিশের ৯ জন সদস্য আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এর আগে ৩০ মার্চ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু কোনাপাড়া সীমান্ত দিয়ে ৩ সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। এছাড়া ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ -বিজিপি সদস্যরা। এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৯৮ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশের আশ্রয়ে রয়েছে। তাদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রাখা হয়েছে। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি।
তারও আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপি সহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এদের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।