বার্তা পরিবেশক :
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। ঐ সময়ে এ-স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষক প্রত্যক্ষভাবে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।
২ নং সেক্টরের (কে ফোর্স) কমান্ডার ইন চিফ খালেদ মোশাররফ এ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র (১৯৫৩ সালে মেট্রিকুলেশন)। ১৯৭১ সালে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত শাহ আলম ও বশির আহমদ ঢাকায় বি.এড প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। তাঁদের স্মৃতিস্বরূপ কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনকে ‘শহীদ শাহ আলম-বশির আহমদ মিলনায়তন’ নামকরণ করা হয়। ছাত্রদের মধ্যে স্বপন ভট্টাচার্য, সুভাষ দাশ, শিশির বড়ুয়া স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
১৯৭১ সালে পাক হানাদারের হাতে নির্মম ও নৃশংসভাবে শহীদ হন হাইস্কুলের ততকালীন ছাত্র শহীদ সুভাষ, শহীদ ফরহাদসহ অসংখ্য সাহসী যুবক। স্বাধীনতা সংগ্রামে কক্সবাজারে হানাদারমুক্ত করার পেছনে রয়েছে কসউবি’র গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস। মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল এই বিদ্যালয়ের অসংখ্য নাম না জানা ছাত্র-শিক্ষক। তাদের প্রতি সম্মান রেখে ২০১৬ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানিয়েছিল কসউবি পুনর্মিলনী ২০১৬ উদযাপন পরিষদ।
এ বছর মহান স্বাধীনতা দিবসে ৭১ এর মহান শহীদদের সম্মানে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কসউবিয়ানরা।
“৭১ এ হাইস্কুল” শির্ষক এই আলোচনায় অংশ নেবেন শিক্ষাবিদ সোমেশ্বর চক্রবর্তী, ৭১ এর জয়বাংলা বাহিনী প্রধান কামাল হোসেন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য হেলালুদ্দীন আহমেদ,সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন। ২৬ মার্চ
দুপুর ৩-১৫ হতে বিকেল ৪-৩০ পর্যন্ত
সরাসরি সম্প্রচার করা হবে নিম্নে দেয়া ফেসবুক পেইজে। www.facebook.com/cghsian
পাশাপাশি টিটিএনও এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে।